ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জামাইয়ের দেয়া আগুনে পুড়ল শ্বশুরের ঘর

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৪ জুলাই ২০১৬

জামাইয়ের দেয়া আগুনে পুড়ল শ্বশুরের ঘর

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৩ জুলাই ॥ শ্যালিকাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার দিনক্ষণ ঠিক করায় এবার হাফেজ জামাইয়ের লাগিয়ে দেয়া আগুনে ভষ্মীভূত হলো শ্বশুরের বাড়ি-ঘর! এমন ঘটনা ঘটেছে, মঙ্গলবার রাতে বদলগাছী উপজেলার কামালপুর গ্রামে। জানা গেছে, বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ৪ কন্যা। তাদের মধ্যে তিনজনের বিয়ে হয়েছে। ২য় জামাই বদলগাছী সদর ইউনিয়নের পারসিন্দুরপুর গ্রামের খাজামদ্দিনের ছেলে হাফেজ আশরাফুল ইসলাম ঘর জামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করত। সে বিভিন্ন সময় শ্বশুর শাশুড়ির নিকট বিভিন্ন রকম আবদার করত। শ্বশুর-শাশুড়ি সেগুলো পূরণ করার চেষ্টাও করত। জামাই হাফেজ বলে কথা! এদিকে সম্প্রতি বদলগাছী সদর ইউনিয়নের আখিট্টি গ্রামের ডাঃ রুহুল আমিনের বড় ছেলের সঙ্গে ৪র্থ কন্যার বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই বিয়ে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় আশরাফুল ইসলামের। এই বিয়ে হলে তার স্বার্থের হানি ঘটবে, এই ভেবে সে এই বিয়ে দিতে বার বার নিষেধ করলেও শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। শ্যালিকার অন্যত্র বিয়ে হলে তার কি সমস্যা, তা পরিষ্কার করে বলেওনি ওই হাফেজ জামাই। এই ক্ষোভে মঙ্গলবার দিনগত রাতে উক্ত হাফেজ জামাই আশরাফুল ইসলাম রাতের অন্ধকারে পেট্রোল ঢেলে শ্বশুর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। কাল আরও আট বনদস্যুর আত্মসমর্পণ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক দস্যু নিহত হওয়ার পর তাদের (দস্যুদের) মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বিশেষ করে বরিশাল র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮) সেসব অভিযানে নিহতের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারেরও ঘটনা ঘটে। যে কারণে দস্যুরা জীবন বাঁচাতে র‌্যাবের দেখানো সরল পথ অনুকরণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রমতে, সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আট দস্যুর আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে। অবশ্য এর আগেও ৩১ মে সুন্দরবনের বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য একইভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই সময় তারা ৫২টি অস্ত্র ও সাড়ে চার হাজার রাউন্ড গুলি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। দস্যুদের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে যা যা করণীয় তাতে সার্বিক সহায়তা দেবে রাষ্ট্র। বর্তমানে ওই ১০ বনদস্যু কারাগারে রয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রশাসনের সেই প্রতিশ্রুতিতে শুক্রবার ফের মনজু এবং ইলিয়াস বাহিনীর আরও আট বনদস্যু আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। র‌্যাবের প্রশংসনীয় উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের ঘটনা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
×