ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় এএফসি অনুর্ধ ১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ;###;রুমেল খান

ঘরের মাঠেও লক্ষ্য শিরোপা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৩ জুলাই ২০১৬

ঘরের মাঠেও লক্ষ্য শিরোপা

২১ ডিসেম্বর, ২০১৫। নেপাল থেকে বাংলাদেশ বালিকা জাতীয় দল ফিরেছিল ‘এফসি অনুর্ধ ১৪ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে। ৩ মে, ২০১৬। তাজিকিস্তান থেকে বাংলাদেশের একই দল ফিরল একই আসরের শিরোপা জিতে। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬। তৃতীয় তারিখটিও কি সাফল্যে মোড়া থাকবে? আগামী ২৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘এএফসি অনুর্ধ ১৬ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ কোয়ালিফায়ার্স’ ‘সি’ গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে স্বাগতিক বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, চাইনিজ তাইপে, ইরান ও কিরগিজস্তান অনুর্ধ ১৬ জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশের ম্যাচগুলো হচ্ছেÑ ইরান (২৭ আগস্ট), সিঙ্গাপুর (৩১ আগস্ট), চাইনিজ তাইপে (৩ সেপ্টেম্বর) ও আরব আমিরাত (৫ সেপ্টেম্বর)। জনকণ্ঠের সঙ্গে একান্ত আলাপনে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন দল সম্পর্কে অনেক কিছুই। * বাংলাদেশ দলের খেলা হবে বঙ্গবন্ধুতে। কিন্তু দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন টার্ফে। এতে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না? ছোটন ॥ না, সমস্যা হবে না। বৃষ্টির কারণে সবসময় ঘাসের মাঠে অনুশীলন করানো সম্ভব হয় না। তাই টার্ফে করাচ্ছি। ঈদ শেষ। এখনও মাস দেড়েক বাকি। দু-একদিনের মধ্যেই আমরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গিয়ে অনুশীলন করা শুরু করব। সিডিউল পেয়ে গেছি ইতোমধ্যে। * ট্রায়ালে ৪৩ জন থেকে আপাতত ৩২ জনকে বেছে নিয়েছেন। বাছাই প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল? ছোটন ॥ আগে আমরা ট্রায়াল থেকে খেলোয়াড় বাছতাম তাদের গেম খেলিয়ে। তবে এবার সেটা হয়নি। এবার ছয়টা সেশন করে স্কিলসহ অন্যান্য দিক যাচাই করে বেছে নেয়া হয়েছে। বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলাম আমি, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু এবং মাহমুদা আক্তার অনন্যা। ৪৩ জনের মধ্যে সবাই কমবেশি ভাল খেলোয়াড়। প্রাথমিকভাবে আমাদের রাখার চিন্তা ছিল ৩০ জনকে। কিন্তু ভাল পারফর্ম করায় আরও দুজনকে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়েছি। তারা ক্যাম্পে থাকলে ভাল করবে। আরেকটা কথা, আমাদের মহিলা ফুটবলে যে খেলোয়াড় সঙ্কট বা পাইপলাইন অপর্যাপ্ত, সেই দিন আর এখন নেই। এই ট্রায়াল দেখে বিষয়টা আরও ভালভাবে বোঝা গেছে। * কাদের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করছেন? তাদের সঙ্গে আমাদের অতীত পরিসংখ্যানটা কেমন? ছোটন ॥ ইরানকে। ২০১৪ সালে ঢাকায় আমরা ইরানকে মোকাবেলা করেছিলাম। ওরা অনেক শক্তিশালী দল ছিল। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই ম্যাচে বাংলাদেশ আগে গোল করেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয়। সেবার ওই জোন থেকে ইরানই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এছাড়া আমরা ১-০ গোলে হারিয়েছিলাম শক্তিশালী জর্দানকে। ৬-০ গোলে হারিয়েছিলাম আরব আমিরাতকে। আর ভারতের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিলাম। ওই খেলাতেও আমরা আগে গোল করে এগিয়ে ছিলাম। আপনারা জানেন, ওই দুটি হারা ম্যাচেই ছিল ত্রুটিপূর্ণ রেফারিং এবং একই রেফারি! তবে এই দুই বছরে আমাদের মেয়েরা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আরও পরিপক্কতা অর্জন করেছে। অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। * এবার মূলত কি ধরনের ফর্মেশনে দলকে খেলানোর পরিকল্পনা করছেন? ছোটন ॥ এবার খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা বুঝে ফর্মেশন ঠিক করব। তবে অনুর্ধ ১৪ লেভেলে খেলায় সাধারণত আমরা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলে থাকি। এটা আক্রমণাত্মক ছক। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা দুটো আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সেটা অনুর্ধ ১৬ লেভেলেও খেলানো হতে পারে। এছাড়া ৪-৪-২ এবং ৫-৩-২ এই দুটো ফর্মেশন নিয়েও কাজ করছি, দলও অভ্যস্ত হচ্ছে। প্রতিপক্ষ বুঝে এই তিন ফর্মেশনের কোন একটি খেলায় প্রয়োগ করব। তাছাড়া ম্যাচের গতি প্রকৃতি অনুযায়ী ফর্মেশন বদলও হতে পারে। * খেলায় আগে গোল হজম করলে বা আগে গোল করলে আপনার রণকৌশল কেমন হবে? ছোটন ॥ গেমের সিচুয়েশন বুঝে সেই অনুযায়ী দলকে খেলানোর চেষ্টা করব। * ফুটবল যেমন শারীরিক খেলা, তেমনি মানসিক খেলাও। দলের খেলোয়াড়দের মনোবল নিয়ে কেমন বা কতটা কাজ করছেন? ছোটন ॥ দেখুন, আসলে বাংলাদেশে মহিলা ফুটবল খুব বেশিদিন হলো শুরু হয়নি। শুরুতে অনেক প্রতিকূলতা নিয়ে তাদের খেলতে হতো। পারিবারিক বাধা, রক্ষণশীল সামাজিক বাধা, কটূক্তি, হুমকি ... অনেক সমস্যা। তার ওপর তাদের অপরিণত খেলা দেখে সবাই হাসাহাসি করত। সব মিলে এগুলো অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলত খেলোয়াড়দের ওপর। তাদের মনোবল-আত্মবিশ^াস থাকত শূন্যের কোঠায়। তবে এখন প্রেক্ষাপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। এখন তারা জেতে, চ্যাম্পিয়ন হয়, অর্থ উপার্জন করে, পুরস্কার পায়, প্রশংসিত হয়। আগের চেয়ে তারা এখন অনেক দৃঢ় মনোবলের অধিকারী। তবে এজন্য আমাদের প্রচুর খাটতে হয়। শুধু মাঠে কোচিং করানোটাই সব বা শেষ নয়। মাঠের বাইরেও বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে আমাদের প্রতিনিয়ত। * একটু বিস্তারিত বলবেন এই প্রসঙ্গে? ছোটন ॥ গত মেতে আমরা তাজিকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরলাম। দেশে ফেরার পর মাসখানেক পর যখন ওরা আবার ক্যাম্পে এলো, তখন দেখা গেল ওরা ফিটনেস তো হারিয়ে ফেলেছেই, সেই সঙ্গে পারফর্মেন্স-আত্মবিশ^াস-মনোবলও! ওদের মতো বাকিদেরও একই অবস্থা। তবে ওরা যে পরিবেশে বাস করে, তাতে করে এটাই স্বাভাবিক। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয় কি, ছুটিতে বাড়ি গিয়েও তারা বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলে ফিটনেস ধরে রাখে। কিন্তু মেয়েরা সেটা পারে না। তারা থাকে ভিন্ন পরিবেশে। তাদের তো বাড়ি গিয়ে মায়ের সঙ্গে ঘর-সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। খেলার সময়-সুযোগ কোথায়? ফলে যা হওয়ার তাই হয়! ফলে সবকিছু আমাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। তবে আসন্ন টুর্নামেন্টের আগে প্রচুর সময় পাচ্ছি, এটা হচ্ছে ইতিবাচক দিক। তাছাড়া ইতোমধ্যেই মাসখানেকের মতো দলকে অনুশীলন করিয়ে সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান করে ফেলেছি। বাকি সময়টাতেও ওভারঅল সবকিছু কভার করে ফেলব ইনশাল্লাহ্। * পাঁচ মাসের মধ্যে মেয়েদের দুটো আসরে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। সেই দলের কতজন এখন আছেন? ছোটন ॥ নেপাালে যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই দলের নয়জনই বয়সের কারণে তাজিকিস্তান দলে ছিল না। তারপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বলতে গেলে ওই দুটি দল মিলিয়ে প্রায় সবাই আছে এই দলেও। শুধু বয়সের কারণে দুজন (দীপা ও রূপা চাকমা) এবং ট্রায়ালে পারফর্মেন্সের কারণে দুজন (সাদিয়া এবং সাজেদা) ... মোট চারজন নেই। আর বাকি সবাই রয়ে গেছে। তারা ইতোমধ্যে এসএ গেমস ও সাফ ফুটবল খেলে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ফলে মানসিকভাবে আরও ভাল করার মতো অবস্থানে পৌঁছে গেছে তারা। * দলের বিভিন্ন পজিশন যেমন গোলকিপিং, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, ফরোয়ার্ড ... এগুলোর কোনটার এখন কি অবস্থা? কোন পজিশনে দুর্বলতা বা ঘাটতি দেখছেন কি? ছোটন ॥ আগেই বলেছি, অনুর্ধ ১৪ দল যে ক’দিন আগে দুটো আসরের শিরোপা জিতল, সেই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় এই অনুর্ধ ১৬ দলেও আছে। তারা সবাই একসঙ্গে গত দুই-তিন বছর ধরে খেলছে। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেছ, সবার মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়াও আছে। এটা সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দলের জন্য প্লাস পয়েন্ট। দলের রিজার্ভ বেঞ্চও আমাদের বেশ সন্তোষজনক। একই পজিশনে আমাদের যেমন দক্ষ একাধিক খেলোয়াড় আছে, তেমনি তারা আবার ভিন্ন পজিশনেও খেলতে পারে খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী। ফলে দলের মূল একাদশের কোন খেলোয়াড় চোট পেলে বা অফ ফর্মে থাকলে যোগ্য-বিকল্প খেলোয়াড়ের জন্য টেনশন করতে হয় না। স্কিল ও টেকনিক্যাল কোয়ালিটিটে সবাই মোটামুটি একই। হয়ত কারও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা একটু বেশি, কারও একটু কম। কিন্তু সেটা বড় কোন সমস্যা নয়। এখন দলের ৩২ জনের মধ্যেই এই গুণাবলী আছে। * দলের কতজন দুই পায়েই খেলতে পারে? এছাড়া দক্ষ হেডার ও ফ্রি কিকার স্পেশালিস্ট আছে কি? ছোটন ॥ দুই পায়েই সমান খেলতে পারে এমন অনেকেই আছে। তেমনি একাধিক দক্ষ হেডার, ফ্রি কিকার স্পেশালিস্টও আছে। তবে সঙ্গত কারণেই আমি তাদের নাম বলতে চাই না। খেলা দেখলেই বোঝা যাবে। * এবারের অনুর্ধ ১৬ আসর শুরুর আগে চূড়ান্ত স্কোয়াড কত জনের করবেন? ছোটন ॥ এর আগে অনুর্ধ ১৪ লেভেলে দুটি আসরে এএফসির নিয়ম অনুযায়ী খেলতে গিয়েছিলাম ১৮ ফুটবলারের স্কোয়াড নিয়ে। তবে এবার যেহেতু আমরা স্বাগতিক এবং এএফসিরও অনুমতি আছে, তাই ইচ্ছে করলে সর্বোচ্চ ২৩ জনকে স্কোয়াডে রাখতে পারব। আমরা ২৩ জনই রাখার পক্ষপাতী। ইতোমধ্যে আমাদের বাফুফে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছে। * ৯০ মিনিট খেলার মতো শারীরিক সক্ষমতা আছে আপনার দলের মেয়েদের? ছোটন ॥ ভাল প্রশ্ন করেছেন। আমাদের হাতে এখনও সময় আছে দেড় মাসের মতো। আশা করি এই সময়ের মধ্যে দলের খেলোয়াড়রা ৯০ মিনিট নয়, তার চেয়েও বেশি সময় ধরে খেলার মতো ফিটনেস অর্জন করে ফেলবে। অবশ্য এখনই ওরা প্রতিদিন ১২০ মিনিট করে অনুশীলন করছে, তাও দুই বেলা করে। এছাড়া পুরো দল একসঙ্গে আক্রমণের জন্য ওপরে উঠলে আবার প্রতিপক্ষ কাউন্টার এ্যাটাক করলে পুরো দল একসঙ্গে দ্রুত নিচে কিভাবে নামবে, এ নিয়েও প্রতিনিয়ত কাজ করছি থিওরিটিক্যালি এবং প্র্যাকটিক্যালি। * পাঁচ মাসের মধ্যে কোচ হিসেবে অনুর্ধ ১৪ দলকে দু-দুটো শিরোপা পাইয়ে দিয়েছেন। আসন্ন টুর্নামেন্টে কি বিষয়টা আপনার ওপর প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি করবে? ছোটন ॥ প্রথম শিরোপা জিতে দ্বিতীয়টি জেতার আগে যখন তাজিকিস্তান যাই দলকে নিয়ে, তখনও একই প্রশ্ন করেছিলেন আপনি। তখন কিন্তু বলে যাইনি যে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। কোন রকম অতি আত্মবিশ^াসী হইনি, দম্ভ করিনি। বার বার বলেছি ভাল খেললে আমাদের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কেননা তখন যে খেলোয়াড়দের পেয়েছিলাম, তারা ছিল অনেক সম্ভাবনাময়। তাই আত্মবিশ^াসী ছিলাম। এখনও ঠিক সেই একই কথা বলব। ওরা যদি ঠিকমতো খেলতে পারে, সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, তাহলে এবারও ওরা একটা কিছু ভাল ফল করতে পারে। আর প্রত্যাশার চাপের কথা বলছেন? আমি অতীতের সাফল্য নিয়ে মাথা ঘামাই না। কাজ করি বর্তমান নিয়ে, যাতে ভবিষ্যতে ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে মিডিয়ায় বা বাইরে মেয়েদের সাফল্য নিয়ে যেভাবে নিউজ করা হয় বা প্রশংসা করা হয়, তাতে মেয়েদের মধ্যে অতি আত্মবিশ^াস বা আত্ম অহংকার বা প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। এমনিতেই তারা বাচ্চা মেয়ে। তাই তাদের মধ্যে এসব যেন জন্ম নিতে না পারে, সেগুলো নিয়ে আমরা কোচিং স্টাফরা মাঠের বাইরে প্রচুর কাজ করি, করছি। যেমন ভিডিও সেশন ক্লাস, কাউন্সিলিং ... এসব। তবে একটা কথা বলতে পারি, মেয়েরা খুবই আন্তরিক, পরিশ্রমী এবং আত্মনিবেদিত শেখার ব্যাপারে। * শিরোপা জয়ের বিষয়ে কতটা আত্মবিশ^াসী? লক্ষ্যটা কি? ছোটন ॥ যতদূর জানি এই মুহূর্তে র‌্যাঙ্কিংয়ে চাইনিজ তাইপে ৩৮, ইরান ৫৭, আরব আমিরাত ৭০, সিঙ্গাপুর ১০৩, কিরগিজস্তান ১০৮ নম্বরে আছে। আর আমাদের র‌্যাঙ্কিং ১২১। এটা অবশ্য অনুর্ধ ১৬ নয়, সিনিয়র দলের র‌্যাঙ্কিং। এই আসরে দুই বছর আগে যখন আমরা খেলি তখন আমরা নিজেদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা জর্দানকে হারিয়েছিলাম এবং বাকিদের সঙ্গে হারলেও দারুণ লড়াই করেছিলাম। সেই আলোকেই বলব, অনুর্ধ ১৪ আসরে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে আমরা আত্মবিশ^াসী। তাছাড়া এবার আমরা স্বাগতিক। এটা প্লাস পয়েন্ট। আশা করি মেয়েরা ঘরের মাঠে দর্শকদের ভাল খেলা উপহার দেবে।
×