ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোর শীর্ষ ৫ ব্যর্থ তারকা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৩ জুলাই ২০১৬

ইউরোর শীর্ষ ৫ ব্যর্থ তারকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরের পর্দা নেমেছে রবিবার। সব হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথবারের মতো ট্রফি জিতেছে পর্তুগাল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের গায়ে ফেবারিটের তকমা না থাকলেও শেষ হাসি হেসেছে তারাই। অনেকটা আলোচনার বাইরে থেকে বাজিমাত করেছে পর্তুগীজরা। অন্যদিকে ফেবারিট দলগুলো ব্যর্থতার স্বাক্ষর রেখেছে। তেমনি আসর শুরুর আগে অনেক ফুটবলারকে নিয়েই আলোচনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু ময়দানী লড়াইয়ে তাদের খুঁজেই পাওয়া যায়নি। এবারের ইউরোর তেমনি সেরা ৫ ব্যর্থ তারকাকে খুঁজে বের করা হয়েছে। জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ (সুইডেন) ॥ এবারের ইউরোতে বড় তারকাদের মধ্যে ব্যর্থতার শীর্ষ নাম নিশ্চিতকরেই জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ। সুইডেনের এই তারকা ফুটবলার ফরাসী ক্লাব পিএসজিতে খেলেছেন দীর্ঘদিন। শুরু হতে যাওয়া মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিলেও ফ্রান্সের সঙ্গে তার নাড়ির টান সৃষ্টি হয়েছে। প্যারিসে নিয়মিত খেলার সুবাদে ইউরোতে তিনি মাঠ মাতাবেন এমনই আশা করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু ইব্রা ও তার দল সুইডেন নিদারুণ ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখে। গ্রুপ পর্বের গ-িই পেরুতে পারেনি সুইডেন। ‘ই’ গ্রুপে চার দলের মধ্যে চতুর্থ হয় তারা। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই হার, একটিতে ড্র। ইব্রাহিমোভিচ কোন ম্যাচেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। টমাস মুলার (জার্মানি) ॥ ২০১০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন জার্মান তারকা টমাস মুলার। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপেও আলো ছড়ান বেয়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড। এবারও নিজ দেশ জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পথে করেন পাঁচ গোল। কিন্তু সাফল্যের এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে এবার। ইউরোতে ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার ছিলেন সুপারফ্লপ। জার্মানি সেমিফাইনালে উঠলেও প্রতি ম্যাচেই মুলার ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জো হার্ট (ইংল্যান্ড) ॥ বড় স্বপ্ন নিয়েই এবারের ইউরোতে এসেছিল ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বে একমাত্র দেশ হিসেবে সব ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বর ছিল ইংলিশরা। কিন্তু মূল যজ্ঞে এসে বরাবরের মতো আবারও খেই হারিয়ে বসে ওয়েন রুনির দল। ফুটবলের জনকদের ব্যর্থতার এই দায় অনেকটাই বর্তায় গোলরক্ষক জো হার্টের উপর। বিশেষ করে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আইসল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয়া ম্যাচে হার্টের পারফর্মেন্স ছিল হতাশাজনক। তার বাজে গোলকিপিংয়ের খেসারত দিতে হয় ইংলিশদের। সার্জিও রামোস (স্পেন) ॥ বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন স্পেন দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়েও তার অবদান অসামান্য। এবার রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়েও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রামোস। মুকুট ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিল স্পেন। কিন্তু স্পানিশরা নিদারুণ ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখে। শেষ ষোলো থেকেই বিদায়ঘণ্টা বাজে তাদের। ইতালির কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় ডেল বস্কের দলের। স্পেনের এ ব্যর্থতার দায় অনেকটাই বর্তায় রামোসের কাঁধে। অধিনায়ক হিসেবে যেমন সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি নিজেও ছিলেন ফ্লপ। আরডা টুরান (তুরস্ক) ॥ ভাল কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই ইউরোতে এসেছিল তুরস্ক। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই মিশন শেষ হয় তাদের। ‘ডি’ গ্রুপে ক্রোয়েশিয়া ও স্পেনের পরে থেকে বাদ পড়ে তারা। তুর্কীদের ব্যর্থতার এ দায় অনেকটাই মিডফিল্ডার আরডা টুরানের ওপর বর্তায়। বার্সিলোনার এ তারকা ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত আলো ছড়িয়েছেন। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হন তিনি। ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাঝমাঠে দলকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে ব্যর্থ হন। তুরস্ককেও গ্রুপ পর্বে বাদ পড়তে হয়েছে।
×