ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার বেলজিক কোচের অধীনে ভাগ্য পরীক্ষা বাংলাদেশের ফুটবলের!

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৩ জুলাই ২০১৬

এবার বেলজিক কোচের অধীনে ভাগ্য পরীক্ষা বাংলাদেশের ফুটবলের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত ২ ও ৭ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের প্লে অফ ম্যাচে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে খেলে বাংলাদেশ। কোয়ালিফাই করার জন্য তাই এই ম্যাচ দুটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু দুই ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ (যথাক্রমে ৫-০ এবং ১-০)। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্লে অফ হারলেও আরেকটা ‘লাইফ লাইন’ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। সেক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তাদের প্লে অফের আরও দুটি ম্যাচ খেলতে হবে প্রতিপক্ষ ভুটানের বিপক্ষে। ভুটানকে হারালে বাছাইপর্বে উঠে যাবে বাংলাদেশ। যদি হারানো না যায়, তাহলে আগামী তিন বছর- অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত এএফসি আয়োজিত কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে পারবে না বাংলাদেশ। পুরনো ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফকে মূলত তাজিকিস্তানের সঙ্গে দুটি ম্যাচের জন্যই আবারও আনা হয়েছিল। ম্যাচ দুটি শেষ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ক্রুইফের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে আবারও তাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল বাফুফে। তবে তার আগেই দৃশ্যপটে হাজির হন বেলজিয়ামের টম সেইন্টফিট। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর না করলেও দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু করেন টম। এজন্য বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুর কাছে রিপোর্ট করেন ফুটবলাররা। তবে প্রাথমিক তালিকার ৩২ জনের মধ্যে ২৯ জন হাজির ছিলেন। অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত ছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন এবং শাহেদুল আলম শাহেদ। আর ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি মোনায়েম খান রাজু। দলের ফুটবলারদের প্রসঙ্গে টম বলেন, ‘যে ৩২ জনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এর বাইরেও অন্য খেলোয়াড়কে ডাকতে পারি। আমি সব দলের খেলা দেখতে পারিনি (ফেডারেশন কাপে)। সবাইকে দেখা যেহেতু সম্ভব হয়নি, তাই সে দ্বার সবসময় খোলা থাকবে। ১২ খেলোয়াড়কে পছন্দ করেছি। অন্যদের সাইফুল বারী টিটু (দলের সহকারী কোচ) পছন্দ করেছেন। লীগের খেলাগুলো দেখব। সেখান থেকে আরও খেলোয়াড়দের বাছাই করব। আমার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি দল হিসেবে তৈরি করা। কোন খেলোয়াড় তৈরি করা নয়। বাংলাদেশ হবে সেই দল। যেটি প্রাথমিকভাবে ভুটান এবং ভবিষ্যতে ভাল ফুটবল খেলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারবে। আমি আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুশীলন করাব। তারপর খেলোয়াড়রা নিজ ক্লাবে ফিরে যাবে।’ জাতীয় দলে ফিরেছেন প্রাণতোষ কুমার দাস, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, জাহিদ হোসেন ও তৌহিদুল আলম। সর্বশেষ তাজিকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ক্রুইফের দল থেকে বাদ পড়েছেন নাসিরুল ইসলাম ও ফয়সাল মাহমুদ। তিন নতুন মুখের দুজন এবারের ফেডারেশন কাপ রানার্সআপ আরামবাগের উইঙ্গার জাফর ইকবাল ও মিডফিল্ডার মোঃ আবদুল্লাহ। আরেক উইঙ্গার কাউসার আলী রাব্বী খেলেন ব্রাদার্সে। প্রায় তিন বছর পর আবারও জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিরেছেন প্রাণতোষ। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে খেলে চোটে পড়েছিলেন আবাহনীর এই মিডফিল্ডার। তার ক্লাব সতীর্থ হেমন্ত ভিনেসেন্ট বিশ্বাস চোটের কারণেই মাঠের বাইরে ছিলেন প্রায় পাঁচ মাস। ফিট হওয়ার পরও এবার ফেডারেশন কাপজয়ী আবাহনী দলে এই মিডফিল্ডারকে খেলানোর ঝুঁকি নেননি কোচ জর্জ কোটান। ২৪ জুলাই শুরু এই মৌসুমের প্রিমিয়ার লীগ। এর আগে সপ্তাহ খানেকের জন্য হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রথমে ঠিক ছিল জাতীয় দলের ক্যাম্প হবে সাভারের জিরানির বিকেএসপিতে। পরে এ সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ঢাকাতেই ক্যাম্প হবে। তবে বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ মহিলা জাতীয় দলের ক্যাম্প বাফুফে ভবনে হওয়াতে পুরুষ জাতীয় দলের ক্যাম্প রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে হবে। বাংলাদেশ প্রাথমিক দল ॥ রাসেল মাহমুদ লিটন, শহীদুল আলম সোহেল, আশরাফুল ইসলাম রানা, মাজহারুল ইসলাম হিমেল, রায়হান হাসান, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, তপু বর্মন, ইয়ামিন মুন্না, মামুন মিয়া, শাকিল আহমেদ, আরিফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, প্রাণতোষ কুমার দাস, জাফর ইকবাল, ওয়ালী ফয়সাল, জামাল ভূঁইয়া, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, মোনায়েম খান রাজু, শাহেদুল আলম শাহেদ, মোঃ শাহেদুল আলম শাহেদ, মাসুক মিয়া জনি, ইমন মাহমুদ বাবু, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, কাওসার আলী রাব্বী, তৌহিদুল আলম, মোঃ আবদুল্লাহ, জুয়েল রানা, রুবেল মিয়া, জাহিদ হোসেন, নাবিব নেওয়াজ জীবন ও সৈয়দ রাশেদ তুর্য্য।
×