ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শঙ্কা কাটিয়ে রিও অলিম্পিকে ফিরছেন বোল্ট

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৩ জুলাই ২০১৬

শঙ্কা কাটিয়ে রিও অলিম্পিকে ফিরছেন বোল্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত দুই অলিম্পিকে কেউ ছুঁতে পারেননি তাকে। ২০০৮ সালে বেজিং এবং ২০১২ সালে লন্ডনে সবাইকে ছাড়িয়ে অগ্রে ছিলেন উসাইন বোল্ট। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম এ মানব শুধু ব্যক্তিগত দুটি ইভেন্টেই জেতেননি, জ্যামাইকা দলের হয়ে রিলে ইভেন্টেও জিতেছেন। তাই ট্রিপল জয়ের ডাবল হয়ে গেছে। এবার রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে তার সুযোগ ট্রিপলের হ্যাটট্রিক করার যা আজ পর্যন্ত অলিম্পিক ইতিহাসে কোন এ্যাথলেট করে দেখাতে পারেননি। কিন্তু এবার অলিম্পিক ট্রায়ালেই দুঃসংবাদ সঙ্গী হয়েছে স্প্রিন্ট তারকা বোল্টের। ইনজুরিতে পড়ে ট্রায়ালের সেমি থেকে ছিটকে যান। অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সম্ভাবনাটাও ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে। কিন্তু এরপরও জ্যামাইকা তাদের ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড দলের জন্য ঘোষিত ৫৯ জনের প্রাথমিক তালিকায় নাম রেখেছে বোল্টের। ফলে দ্রুততম গতির এ মানবের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি আরও অলিম্পিক গৌরব ও ইতিহাস সৃষ্টির। টানা দুই অলিম্পিক এবং বিশ্ব আসরে বোল্ট ছিলেন গতিতে অপ্রতিরোধ্য। খুব কাছাকাছি থেকেই তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জে রেখেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন। কিন্তু বোল্টকে ছুঁতে পারেননি। গতির কারণে ‘বিদ্যুৎ বোল্ট’ নাম পাওয়া এ স্প্রিন্টার এবার অলিম্পিকেও ছিলেন অন্যতম ফেবারিট। কারণ, গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্ব এ্যাথলেটিক্সেও বিশ্বসেরা গতিতারকার খেতাব অক্ষুণœ রেখেছিলেন। কিন্তু জ্যামাইকার অলিম্পিক ট্রায়ালে বিপত্তি ঘটল। ১০০ মিটারের সেমিফাইনালে ইনজুরিতে আক্রান্ত হলেন। আর সেই ইনজুরির কারণে আর ২০০ মিটার স্প্রিন্টে নামতেই পারেননি। ট্রায়াল থেকেই নাম প্রত্যাহার করে নেন বোল্ট। কিন্তু জ্যামাইকার তাদের বিশ্বসেরা অপরিহার্য এ স্প্রিন্টারকে সুযোগ করে দিতে সদাই প্রস্তুত। নিয়মের বাইরে হলেও শেষ সময় পর্যন্ত বোল্টকে অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতেও রাজি। এ কারণেই ট্রায়াল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেও বোল্টকে ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডের ঘোষিত ৫৯ সদস্যের প্রাথমিক দলে রেখেছে জ্যামাইকা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (আইওসি) কাছে দেয়া হয়েছে সেই সংক্ষিপ্ত তালিকা। জ্যামাইকার ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং ৪ী১০০ মিটার রিলে ইভেন্টে নাম রাখা হয়েছে বোল্টের। সোমবার বিকেলে কিংস্টনে জ্যামাইকা অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন (জেওসি) এক সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণা করা হয়। তবে জ্যামাইকা এ্যাথলেটিক্স এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এ্যাসোসিয়েশনের (জেএএএ) নির্বাচন প্রণালী সব সময়ই কোন প্রতিযোগিতায় শীর্ষ তিন এ্যাথলেটকে অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে। চূড়ান্তভাবে দল ঘোষণার আগেই নির্বাচিত এ্যাথলেটদের মেডিক্যাল ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হয় এবং শারীরিক সক্ষমতায় পুরোপুরি ঠিত থাকতে হয়। তাই বোল্টকেও জেএএএ’র পরবর্তী মেডিক্যাল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। আজ পর্যন্ত অলিম্পিক ইতিহাসে কোন এ্যাথলেট টানা তিন আসরে নিজের অংশগ্রহণ করা সবগুলো ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিততে পারেননি। কিন্তু বোল্টের এবার মোক্ষম সুযোগ রিও ডি জেনিরোয় সেই নতুন ইতিহাস রচনা করার। কারণ এখনও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এ স্প্রিন্টার। তিনি ২০০৮ সালের বেজিং এবং ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং ৪ী১০০ মিটার রিলে ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে ডাবল-ট্রিপল জয়ের গৌরব দেখিয়েছেন। বোল্ট গ্রেড-১ পর্যায়ের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন। চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগেই ফাইনাল ফিটনেস টেস্টে তাকে উত্তীর্ণ হতে হবে অলিম্পিকে অংশ নিতে হলে।
×