ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মেসিকে ন্যুক্যাম্পে রাখতে আশাবাদী বার্সিলোনা

অবসর নিতে চেয়েছিলেন নেইমার!

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৩ জুলাই ২০১৬

অবসর নিতে চেয়েছিলেন নেইমার!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বুনেছিল ব্রাজিল। কিন্তু দুই বছর আগে ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল সেলেসাওদের। কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরি আক্রান্ত হওয়ায় ওই ম্যাচ খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক নেইমার। সেই যন্ত্রণার স্মৃতি স্মরণ করতে যেয়ে বার্সিলোনা তারকা সম্প্রতি জানিয়েছেন, সেই সময় অবসরের দুশ্চিন্তাও ভর করেছিল মাথায়। ব্রাজিল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার কামিলো জুনিগার হাঁটুর আঘাতে নেইমারের পিঠে মারাত্মক চিড় ধরে। ফলে বাকি টুর্নামেন্টে আর খেলা হয়নি তার। সেই ঘটনা আজও ভোলেননি নেইমার। জানিয়েছেন, সেটা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত। সাক্ষাতকারে নেইমার বলেন, আমার ক্যারিয়ারে অনেক কঠিন মুহূর্ত আছে। কিন্তু ব্রাজিল বিশ্বকাপে যা হয়েছিল সেটাই সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতি। বার্সিলোনা তারকা বলেন, দেশের মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল আমার শৈশবের স্বপ্ন। কিন্তু একটা চোটের কারণে সবকিছুই খারাপ দিকে যায়, যা আমাকে ফুটবল ছাড়তেও বাধ্য করতে পারত। ক্যারিয়ারের বিশেষ সময়ে পাওয়া চোট শুধু নেইমারকেই নয়, ব্রাজিলের ফুটবলকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। ওই ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পেলের দেশ। নেইমার বলেন, আমার জন্য সেটা সত্যিই কঠিন এক সপ্তাহ ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি আমার পরিবার ও বন্ধুদের কাছাকাছি ছিলাম। এমন একটা সময়ে আপনার ভালবাসার মানুষদের সাহায্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা না হলে কি হতে কে জানে। হয়ত ফুটবলের প্রতি টানটা কমে যেত। এদিকে বিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে থাকা লিওনেল মেসি বার্সিলোনাতেই থাকবে বলে আশাবাদী তার ক্লাব। সম্প্রতি কর ফাঁকির মামলায় ২১ মাসের কারাদ-াদেশ পাওয়ার পর মেসি ন্যুক্যাম্প ছাড়তে পারেন বলে জোর গুঞ্জন চলছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর, মেসির বাবা ও এজেন্ট জর্জ মেসি চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের সঙ্গে দেখা করেছেন। আর এরপরই মেসি বার্সিলোনায় থাকবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। মেসি নিজেও নাকি বার্সা ছাড়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। মেসি অনেকবারই বলেছেন, পেশাদার ফুটবলের শেষপর্যন্ত তিনি বার্সিলোনার সঙ্গেই থাকবেন। তবে কর ফাঁকি মামলায় মেসির ২১ মাসের জেল হওয়ায় ২০১৮ সালে চলতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রাণের ক্লাব ছাড়তে পারেন মেসি। কোপার শতবর্ষী আসরে টাইব্রেকারে চিলির কাছে শিরোপা খোয়ানোর পরই কর ফাঁকি মামলায় মেসির ২১ মাসের জেল হয়। তবে স্পেনের নিয়মানুযায়ী হাজতবাস করতে হবে না আর্জেন্টাইন তারকাকে। তবে এই ঘটনার পর মেসি আরও বিধ্বস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে তিনি বার্সা ছাড়তে পারেন বলে জোর গুঞ্জন চারদিকে। তবে বার্সিলোনার মুখপাত্র জোজেপ ভিভেস এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমরা তার (মেসি) কাছের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। লিওর ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার বিষয়ে আমরা জানি না, এটা আমাদের ভাবনাতেই নেই। বার্সিলোনা সমর্থকরা যেন মেসিকে সমর্থন করতে পারে এজন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি কর্মসূচী শুরু করেছে কাতালানরা। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘আমরা সবাই লিও মেসি’। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে সমর্থকদের মেসির পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন ভিভেস। তিনি বলেন, এটা সাদামাটা এক কর্মসূচী। কিন্তু আমরা আশা করছি এটা প্রমাণ করবে আমরা তাকে কতটা সমর্থন করি। আমরা মেসিকে নিয়ে কথা বলছি, যে ১৯ বছর বয়সে ওই সব চুক্তি করেছিল এবং এটা প্রমাণিত যে সেগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান তার ছিল না। সে শুধু ফুটবলেই মনোযোগ দিয়েছিল এবং পরামর্শকদের কথা মতো চুক্তিগুলোতে সই করেছিল। ভিন্নভাবে দুঃসময়ে বার্সিলোনার মেসির পাশে থাকলেও ক্লাবের এ কর্মকা-ের সমালোচনাও হচ্ছে। অনেক সমর্থকই বলছেন, মেসির দুর্নামের ভাগিদার কেন হবে ক্লাব?
×