ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব দলকে নিয়ে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের তাগিদ ইইউর

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৩ জুলাই ২০১৬

সব দলকে নিয়ে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের তাগিদ ইইউর

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের তাগিদ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এ দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুর উন্নয়ন না হলে বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশের ওপর রবিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে এক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্রাসেলসের পার্লামেল্টে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পার্লামেন্টের সদস্যরা আলোচনাকালে বলেন, বিদ্যমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি পরিস্থিতি অনুধাবন করে সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেয়, তাহলে দেশটির অর্থনীতি ও বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাউথ এশিয়া বিভাগের প্রধান মারিয়া ক্যাসেলো তার বক্তব্যে পার্লামেন্টে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক নানা দিক দিয়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন হামলার প্রেক্ষিতে দেশটির মধ্যে সঙ্কট সৃষ্টি হতে চলেছে। সেখানের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে। মারিয়ার মতে, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যু যদি উন্নতি না হয় তাহলে বাণিজ্য ও অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে অবিলম্বে সরকারকে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে। মারিয়া ক্যাসেলো গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, আসন্ন আসেম সম্মেলনে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি জঙ্গী ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। মঙ্গোলিয়াতে আগামী ১৫-১৬ জুলাই এই সম্মেলন শুরু হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশ সরকারকে স্বাতন্ত্র্য মূল্যবোধ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য জিন ল্যাম্বার্ট তার বক্তব্যে ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জরুরী ভিত্তিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই উদ্বেগ বাংলাদেশ সরকারকে যেন জানানো হয়, যাতে করে জঙ্গী ও সন্ত্রাসরোধে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত ও সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারে। পার্লামেন্টে ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান গুলশান হামলার বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, এই হামলায় বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ গভীর শোকাহত। এই ধরনের হামলা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জঙ্গীবাদ এখন একটি বৈশ্বিক ইস্যু। এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কোন ধর্মই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনাকালে উপস্থিত ছিলেন স্টিফেন ওক, ম্যুলার ম্যান, ইউরোপীয় কমিশনের কর্মকর্তা পাসক্যল আলফাসনো, স্যামুয়েল সাইমন প্রমুখ।
×