ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের দাবি খারিজ করল আন্তর্জাতিক আদালত

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৩ জুলাই ২০১৬

দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের দাবি খারিজ করল আন্তর্জাতিক আদালত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরের সিংহভাগের ওপর চীনের একচ্ছত্র মালিকানার দাবি খারিজ করে দিয়েছে হেগের আন্তর্জাতিক আদালত। মঙ্গলবার আদালত চীনের এই দাবি খারিজ করে ফিলিপিন্সের পক্ষে রায় দেয়। রায়ে আদালত বলেছে, চীনের এই দাবির কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই। এই সাগরের মালিকানা দাবি করে চীন মূলত ফিলিপিন্সের সার্বভৌম অধিকার লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি এই সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সাগরটির প্রাকৃতিক পরিবেশও নষ্ট করা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সাগরের সম্পদ কাজে লাগানোর চীনা অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলাটি দায়ের করে ম্যানিলা। এই রায়কে ফিলিপিন্সের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। অবশ্য এই রায় বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে বেজিং। চীনের কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় তারা মানবে না। খবর বিবিসি ও এএফপির। রায়কে স্বাগত জানিয়ে ফিলিপিন্স বলেছে, বেজিংয়ের এই রায় মানতে হবে অথবা স্বীকার করতে হবে। আর রায়ের পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আমরা অন্য কারও সিদ্ধান্ত মানব না। এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে তাৎক্ষণিক বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় অধিকাংশেরই মালিকানা দাবি করে আসছে বেজিং। এমন কিছু দ্বীপ, চর এবং প্রবাল দ্বীপ চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দখলে নিয়েছে, যেগুলো অন্যান্য দেশগুলোও দাবি করছে। হেগ আদালতের এই রায় মানার আইনী বাধ্যবাধকতা থাকলেও রায় কার্যকর করার কোন ক্ষমতা আদালতের নেই। মঙ্গলবারের এই রায়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কিত জলসীমায় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। অন্যদিকে, পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে মহড়া চালাচ্ছে চীনা নৌবাহিনী। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরোধ দিন দিনই বাড়ছে। দক্ষিণ চীন সাগরের পারাসেল এবং স্প্রাটলিস দ্বীপপুঞ্জ চীনের দখলে থাকলেও এর মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপিন্সি। তাছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ একটি চরের মালিকানা নিয়েও চীনের সঙ্গে ফিলিপিন্সের বিরোধ চলে আসছে।
×