ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চৌদ্দ দলের সমাবেশে নেতৃবৃন্দের ডাক

পাড়া-মহল্লায় জঙ্গীবিরোধী গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১২ জুলাই ২০১৬

পাড়া-মহল্লায় জঙ্গীবিরোধী গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশকে মানুষের ঢলে রীতিমতো ‘মহাসমাবেশে’ পরিণত করে সোমবার রাজধানীতে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবিরোধী বড় ধরনের শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। বিশাল সমাবেশে ১৪ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সংহতি প্রকাশ করতে আসা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শ্রেণী-পেশার নেতারা দ্রুত প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দরে নাগরিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে খুঁজে খুঁজে জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের বের করে প্রতিরোধ ও নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছেন। গুলশান, শোকালিয়াসহ সম্প্রতি নানা স্থানে জঙ্গী-সন্ত্রাসী হামলার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে তাদের সঙ্গে কোন ধরনের ঐক্যের সম্ভাবনাও সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন তাঁরা। ‘জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক ১৪ দলের এ সমাবেশে নেতারা বলেন, এ আক্রমণ দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও পুরো জাতির ওপর আক্রমণ। তাই জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক-মদদদাতাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। এদের শিকড় সমূলে উৎপাটন ও ধ্বংস না করা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ঘরে ফিরে যাবে না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কিছু বিদেশী প্রভু আর জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশী-বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন কোনদিনই পূরণ হবে না। পাকিস্তানী এজেন্ট ও পদলেহনকারীদের সঙ্গে কোনদিন ঐক্যও হবে না। অতীতের মতো দানবীয় শক্তি আবারও মানবতার শক্তির কাছে চরমভাবে পরাজিত হবে। সমাবেশ থেকে আগামী ২০ ও ২১ জুলাই ঢাকায় অভিভাবক ও নারী সমাবেশের নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে এবং এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি ও শাহে আলম মুরাদের পরিচালনায় বিশাল এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ৩১ দলীয় জোট বিএনএর আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ, জাসদের শরিফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির ব্যারিস্টার আরশ আলী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণআজাদী লীগের এসকে সিকদার, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভা-ারি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নুর মোহাম্মদ তালুকদার, বাসদের রেজাউর রশিদ খান, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের একেএম রহমতউল্লাহ, আইনজীবীদের নেতা এ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, চিত্রনায়ক ফারুক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, স্বাচিপের নেতা অধ্যাপক ডাঃ আবদুল আজিজ, শিক্ষক নেতা মাকসুদ কামাল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, যুবলীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পঙ্কজ দেবনাথ, শ্রমিক লীগের শুক্কুর মাহমুদ, যুব মহিলা লীগের নাজমা আক্তার, ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান সোহাগ, এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ। বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবিরোধী ১৪ দলের এ প্রতিরোধ সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই পুরো এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। দুপুর দুটো থেকেই এলাকায় মুুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের ঢল নামে। দু’দফা বৃষ্টি সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিরোধ সমাবেশটি রীতিমতো বিশাল মহাসমাবেশে রূপ নেয়। ১৪ দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও দলে দলে এ সমাবেশে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গী ও বিদেশী নাগরিকদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ধিক্কারের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। সমাবেশ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহিঃবিভাগের সামনের রাস্তায়, টিএসসি, চানখাঁরপুল, হাইকোর্ট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সমাবেশে আসা সবাইকে তল্লাশি চালানো হয়। নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে ঢোকার প্রতিটি পয়েন্টে আর্চওয়ে বসানো হয়। শহীদ মিনারের মূল বেদিতে স্থাপিত মঞ্চে ওঠার সময় নেতাদেরও দুটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। এত নিরাপত্তা ঘেরাটোপের মধ্যেও বিপুলসংখ্যক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি সবার নজর কাড়ে। টিএসসি, জগন্নাথ হল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগ হয়ে দোয়েল চত্বর ছিল লোকে লোকারণ্য। হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ বৃষ্টিতে ভিজেই সমাবেশে মুহুর্মুহু সেøাগান দিয়ে জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী ২০ জুলাই ঢাকায় অভিভাবক সমাবেশ এবং ২২ জুলাই নারী সমাবেশের নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করে বলেন, ১২-২১ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দলের নেতৃত্বে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে সারাদেশে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবিরোধী নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে থাকবে শিক্ষক, চিকিৎসক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা। এ কমিটি খেয়াল রাখবে এলাকায় নতুন কেউ এসেছি কি-না, তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে থানায় জানাবে। এছাড়া কেউ নিখোঁজ থাকলে তাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবে। এছাড়া আগামী ২৪ জুলাইয়ের পর থেকে রংপুর, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুমিল্লাসহ দেশের আরও বেশকিছু অঞ্চলে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশ করবেন, প্রচার চালাবেন। এসব এলাকায় কারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে বের করা হবে। আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, সাবেক জামায়াত-শিবির কর্মীরাই এখন আইএসের নামে মানুষ হত্যা করছে। খালেদা আগুন দিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়েও সফল হননি। এখন জঙ্গীদের দিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন যে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত চলছে, ওই ষড়যন্ত্রের হোতাও হচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান। এসব ঘটনা ঘটিয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু ২০১৯ সালের একদিন আগেও নির্বাচন হবে না, খালেদা জিয়ার এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রও দেশবাসী কোনদিন সফল হতে দেবে না। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, পরাজিত শক্তি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, যা আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। গুলশানের ঘটনার পর খালেদা জিয়া ওই ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করলেন। তিনি এর আগে হেফাজতকে এনেও অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন। এখন আবার তিনি অভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগুন সন্ত্রাসীদের পরাজিত করেছি। এখন তাঁর নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাকিস্তানের এজেন্ট ও পদলেহনকারীদের সঙ্গে কোন ঐক্য হতে পারে না। আমাদের ঐক্য হবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শক্তির মানুষের সঙ্গে। জনতার শক্তি নিয়ে সকল জিঘাংসা, নরহত্যা, জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের পরাজিত করবই ইনশা আল্লাহ। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, চক্রান্তকারীরা বিদেশীদের হত্যার মাধ্যমে জঙ্গীবাদকে আন্তর্জাতিককরণের চেষ্টা করেছে। সংখ্যালঘুদের হত্যা করে দেশে সাম্প্রদায়িক আবহ সৃষ্টি করতে চাইছে। এসব ঘটনা ঘটিয়ে কিছু আন্তর্জাতিক প্রভু আছে তারা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায়। পরিকল্পিত রক্তাক্ত ঘটনা ঘটিয়ে খালেদা জিয়া নতুন নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে উনি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন। দেশের জনগণ তাদের এসব ষড়যন্ত্র কোনদিনই সফল হতে দেবে না। জনতার শক্তির কাছে এরা আবারও পরাজিত হবে। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমানে যে ধারাবাহিক আক্রমণ চলছে, তার শুরু কোথায়? এসব ধারাবাহিকভাবে চলে এসেছে। আগুন সন্ত্রাস যারা করেছেন, তারাই একের পর এক ধারাবাহিক আক্রমণ করছেন। তিনি বলেন, এসব আক্রমণের সঙ্গে ধর্মের বা ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এরা ইসলামের ক্ষতি করছে। ’৭১-এর পরাজিত শক্তি এরা। এদের একাত্তরেও পরাজিত করেছি, এখনও করব। আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, জয় আমাদের হবেই। জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ৩১ দলীয় জোট বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্সের প্রধান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ১৪ দলের নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, খালেদা জিয়ার কথাকে কেন আপনারা গুরুত্ব দেন? তাঁর কথায় গুরুত্ব দেয়ার কী আছে? তাঁর কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে আপনারা আপনাদের কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যান। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা জনগণের হৃদয় জয় করতে পারবেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এ দেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। কিন্তু এখন একদল সন্ত্রাসী অরাজকতা করছে। এ জঙ্গিবাদী কর্মকা- প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক জাগরণ লাগবে। আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, গুলশানে হামলার দিন তারেক রহমানের কর্মচারী পরিচয়ে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান ও লন্ডন থেকে টেলিফোন করা হয়েছিল। এতেই প্রমাণ হয় খালেদা জিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। খালেদা জিয়া প্রথম দিন জাতীয় ঐক্যের কথা বলার দু’দিন পরই বলছেন, এ সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন দিলেই নাকি সব জঙ্গী-সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে কি আপনার (খালেদা) নির্দেশে এ হামলা হচ্ছে? যখন সারাবিশ্বে সন্ত্রাসবাদ চলছে, তখন নির্বাচন দিয়ে আপনি কিভাবে সন্ত্রাস বন্ধ করবেন? জাতিকে তার জবাব আপনাকে দিতে হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা কেউ এসব ঘৃণ্য শত্রুদের পক্ষে আইনী লড়াইয়ে যাবেন না। বরং এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয় সে ভূমিকা পালন করুন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায়ই এসব হামলার ঘটনা ঘটছে। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ দেশ থেকে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাব না। দেশের সর্বত্রই এদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ করা হবে। তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভা-ারি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, গুলশান, শোকালিয়াসহ দেশে যা কিছু ঘটনা ঘটছে, তার সবটাতেই এরা জড়িত।
×