ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহবধূসহ দুই খুন ॥ এক লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১২ জুলাই ২০১৬

গৃহবধূসহ দুই খুন ॥ এক লাশ উদ্ধার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী ও জয়পুরহাটে মাইক্রোবাস চালক খুন হয়েছে। অপরদিকে শেরপুরে পুলিশ উদ্ধার করেছে বৃদ্ধের লাশ। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর ঃ বগুড়া ॥ গাবতলী উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে সোমবার সকালে স্বামীর হাতে স্ত্রী রুবি খাতুন (২৫) খুন হয়েছে। এলাকাবাসী স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ফুল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে দু’জনই পরস্পরের দিকে তেড়ে যায়। এ সময় ফুল মিয়া লাঠি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে ও পরে বটি দিয়ে কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী রুবি খাতুন মারা যান। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, ফুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। জয়পুরহাট ॥ পাঁচবিবির ডুগডুগি গ্রামের সাজামুদ্দিনের ছেলে মাইক্রো চালক সেলিম বাদশাকে (৩০) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। জানা যায়, রবিবার রাতে সেলিম বাদশা মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে তার মাইক্রোবাসে এক যাত্রীবেশে পথচারী ওঠে। বারোকান্দি নামক স্থানে এ যাত্রী তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শেরপুর ॥ শ্রীবরদীতে ফটিক চান ওরফে ফটকে মিয়া (৮০) নামে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ভেলুয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছ থেকে ওই লাশ নামানো হয়। জানা যায়, ফটকে মিয়া দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় শ্রম বিক্রি সংসার চালাত। ঈদে বাড়ি এসেছিল। নিহতের মেয়ে ফজিরন বেগম জানান, সকালে ফোনে তার বাবার লাশ কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত রয়েছে খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে এসেছে। ফটিক চান মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। অবশেষে পুলিশী নিরাপত্তায় বাড়ি ফিরেছে মা-মেয়ে স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ প্রেসক্লাবে আশ্রিত সেই মা ও মেয়েকে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৬টার দিকে দৌলতপুর থানার পুলিশ মা মমতাজ বেগম ও মেয়ে ফারজানা আক্তার অনামিকাকে সঙ্গে নিয়ে ফুলবাড়িগেট এলাকার তাদের বাড়িতে যায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এর আগে পরিবারটির নিরাপত্তা নিয়ে দিনভর একাধিক বৈঠক করেন খুলনার জেলা প্রশাসক, কেএমপি কমিশনারসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। বখাটেদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে মা মমতাজ বেগম ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ফারজানা আক্তার অনামিকা রবিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এসে অবস্থান নেন। সোমবার বিভিন্ন পত্রিকায় জীবন বাঁচাতে মা-মেয়ের খুলনা প্রেসক্লাবে অবস্থানের খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে খুলনা জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান দুপুর সোয়া ১টার দিকে তার দফতরে ভুক্তভোগী মা-মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
×