ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে পর্যবেক্ষক প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১২ জুলাই ২০১৬

মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে পর্যবেক্ষক প্রত্যাহার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আর্থিক সূচকসহ ব্যাংক সুশাসনের উন্নয়ন ঘটায় দুই বছর পর মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে পর্যবেক্ষক প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কেন্টাইল ব্যাংককে পর্যবেক্ষক প্রত্যাহারের বিষয়টি জানায়। রবিবার বিকেলে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের অবনতি ঘটায় এর পরিচালনা পর্ষদে ২০১৪ সালের ৫ নবেম্বর পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্যবেক্ষক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও অডিট কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থেকে ব্যাংক পরিচালনার দিকনির্দেশনা দিতেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, গত দুই বছরে ব্যাংক সুশাসনের উন্নতি ঘটায় ব্যাংকে আর পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নেই। জানা গেছে, এর আগে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এস আহসান বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবিরের কাছে পর্যবেক্ষক প্রত্যাহারের আবেদন জানান। ব্যাংকের আবেদনের এক অংশে বলা হয়েছে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগের ফলে ব্যাংকের সকল প্রকার বৈদেশিক বাণিজ্যসহ ও অন্যান্য কর্মকা- পরিচালনা ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জি২০ দেশগুলো বাণিজ্য ব্যয় কমাতে একমত জি২০ দেশগুলোর মন্ত্রীরা গত রবিবার এক বৈঠকে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য ব্যয় কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সেই সঙ্গে বাণিজ্য নীতিতে সমন্বয় বাড়ানো এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। বৈঠকে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী গাও হুছেং বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মহামন্দার ক্ষত এখনও শুকায়নি। সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অর্থনীতিতে বাণিজ্য ঘাটতি এবং ধীরগতির প্রবৃদ্ধির সমস্যা মোকাবেলায় জি২০ দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে বৈশ্বিক বাণিজ্যে গতি ফিরিয়ে আনতে একটি পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জি২০ মন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সমন্বিত প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির ব্যাপারে সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তারা একমত হয়েছেন। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার খুঁড়িয়ে চলছে পটুয়াখালীর বিসিক শিল্পনগরী সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পটুয়াখালীর বিসিক শিল্পনগরী। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। সমস্যার কথা স্বীকার করে শীঘ্রই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে জানান বিসিকের উর্ধতন কর্মকর্তা। ১৯৮২ সালে পটুয়াখালীর মাঝগ্রাম এলাকায় ১৫ একর জমির ওপর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে বিসিক শিল্পনগরী। শুরুতে ৩২টি শিল্প ইউনিটের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও কার্যক্রম শুরু করে মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে মাত্র ৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর বরাদ্দ দেয়া বাকি জমিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পরিণত হয়েছে গো-চারণ ভূমিতে। পানি ও বিদ্যুতসহ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে ৩৬ বছরেও গড়ে ওঠেনি বিসিক নগরীতে উল্লেখযোগ্য কোন শিল্প কারখানা। এ অবস্থায় ভাল নেই শ্রমিকরাও। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×