ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতাসীন জোটের বিজয় স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি ॥ বেজিং

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে আবের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১২ জুলাই ২০১৬

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে আবের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তার অর্থনৈতিক নীতি এবং দেশের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধন করার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও এ ফলাফল ঘটল। এদিকে, চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা আবের ক্ষমতাসীন জোটের এ বিজয় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি এক বিপদের সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে। কারণ, শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধনের পক্ষপাতী পার্লামেন্ট সদস্যরা এখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অধিকারী। খবর বিবিসি ও ইয়াহু নিউজের। চূড়ান্ত গণনায় দেখা যায়, আবের জোট, সমমনা দল ও স্বতন্ত্ররা সেনাবাহিনীর ওপর সংবিধানের বর্তমান বাধানিষেধ সংশোধনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সুপার মেজরিটি লাভ করেছে। সংবিধান সংশোধনের পদক্ষেপ নেয়া হলে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। সে দেশে জাপানের অতীত সমরবাদের স্মৃতি এখনও ক্ষোভের সঞ্চার করে থাকে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষেও আবের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে তিনি সামরিক তৎপরতার ওপর বাধানিষেধ শিথিল করতে সংবিধান পরিবর্তন প্রশ্নে ভোটাভুটির আয়োজন করতে পারেন। তবে আবে বলেন, এ বিতর্কিত সংশোধনের বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তিনি বলেন, ভোটাররা তার অর্থনৈতিক নীতি সমর্থন করছে। রবিবার নিম্নকক্ষের ২৪২টি আসনের অর্ধেক ১২১টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জোট ইতোপূর্বেই অবশিষ্ট ১২১টি আসনের মধ্যে ৭৭টি নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রধানমন্ত্রী তার অর্থনৈতিক সাফল্যের ভিত্তিতে তার প্রচার চালান। কিন্তু এ নির্বাচনের গূঢ় অভিপ্রায় সংবিধান সংবিধানের ক্ষমতা অর্জন। টোকিও বিবিসির সংবাদদাতা এ মন্তব্য করেন। আবে সংবিধানের ৯ অনুচ্ছেদ, অর্থাৎ তথাকথিত শান্তিবাদী বিধান পরিবর্তন করতে চান বলে মনে করা হয়। এতে জাপানকে বিদেশে যুদ্ধে লিপ্ত হতে নিষেধ করা হয়। ৭০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরাজিত পক্ষের অন্তর্গত জাপানের ওপর ঐ শর্ত আরোপ করে। কোন কোন জাপানী বাধানিষেধকে অযৌক্তিক মনে করেন। চীনের উত্থান এ বাধানিষেধ দূর করা উচিত বলে ব্যক্ত মতকে জোরদার করেছে। এদিকে, সিনহুয়ার মন্তব্যে বলা হয়, জাপানের শান্তিবাদী সংবিধান গুরুতরভাবে বিপন্ন এবং আবের ক্ষমতা বাড়ছে। এটি জাপানের এশীয় প্রতিবেশীদের এবং জাপানেরই নিজের জন্য আশঙ্কার বিষয়। কারণ জাপানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি কোন পক্ষেরই উপকারে আসবে না। সিনহুয়ার মন্তব্য চীনা সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নয়, কিন্তু এতে চীনের সরকারী ভাবনা প্রতিফলিত হয়।
×