ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তবু জার্মানিকে নিয়ে গর্বিত বাস্তিয়ান

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১১ জুলাই ২০১৬

তবু জার্মানিকে নিয়ে গর্বিত বাস্তিয়ান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে ইউরো অভিযান থেমে যায় জার্মানদের। তবে নিজেদের এই অর্জনে সন্তুষ্ট বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার। তিনি মনে করেন জার্মানির মানুষ এরপরও খেলোয়াড়দের প্রতি বিশ্বস্ত ও আস্থাশীল আছেন। মার্শেইতে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে আধিপত্য নিয়েই খেলেছে জার্মানরা। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মুুহূর্তে একটি পেনাল্টি পিছিয়ে দেয় জার্মানিকে। প্যাট্রিস এভরার একটি হেড বক্সের ভেতরে দাঁড়ানো শোয়েনস্টাইগারের হাতে লাগলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স এবং গোল করেন এ্যান্টোইন গ্রিজম্যান। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিজম্যান। অথচ দ্বিতীয়ার্ধেও ফরাসীদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছিল জার্মানি। এ কারণে শোয়েনস্টাইগার মনে করেন ভাগ্যটা তাদের সঙ্গে বিরূপ ছিল বলেই এমনটা হয়েছে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন খেলার স্টাইল ধরে রাখার জন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্বই পাওনা জার্মানির। আর সে কারণেই দুই বছর আগে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ জিততে পেরেছিল জার্মান বাহিনী। এ বিষয়ে শোয়েনস্টাইগার বলেন, ‘এটা সত্যিকারের একটা লজ্জা। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আমরা ফাইনালে যেতে পারিনি। সুতরাং রিও ডি জেনিরোর মতো আরেকটি জাদুকরী রাত আসেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফ্রান্সের বিপক্ষে আমরা অতীব জরুরী কিছু একটা করতে পারিনি। সামান্য ভাগ্যেরও বিষয় আছে। পরাজয় যদিও বেশ দুঃখ দেয়, কিন্তু এটা খেলারই অংশ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গেই প্রতিপক্ষের নৈপুণ্যকে মেনে নিচ্ছি এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি ফরাসী দলকে ফাইনালে ওঠার জন্য। তারা এর জন্য উপযুক্ত ছিল।’ ১৯৯৬ সালে সর্বশেষবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া জার্মানি ২০০৮ সালের আসরে শেষবার খেলেছিল ফাইনাল। গত আসরেও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া দলটি এবারও একই ভাগ্য বরণ করল। তবু দলের নৈপুণ্যে গর্বিত শোয়েনস্টাইগার। তিনি বলেন, ‘আমরা যা অর্জন করেছি সেটা নিয়ে আমি গর্বিত। আমাদের ফুটবল খেলার যে ধরন সেটার প্রতি আমরা আস্থাশীল ও বিশ্বস্ত ছিলাম। আমরা দলগতভাবে নিজেদের উন্নতি করেই যাচ্ছি। গত সাত সপ্তাহ ধরে আমাদের এ ঐকান্তিকতাই দুই বছর আগে ব্রাজিলে আমাদের শক্তিশালী হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। সেটাই এবার ফ্রান্সেও দেখা গেছে। আমাদের ভক্ত-সমর্থকরাও এটার অংশ। লিলে, সেইন্ট ডেনিস, প্যারিস, মার্শেই যেখানেই আমরা গেছি তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাদের এজন্য যে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে সবসময় পাশে পেয়েছি। এটা সবসময় অব্যাহত থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের সবার।’
×