ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা॥ ২০ দোকান-বাড়ি ভাংচুর, আগুন

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১১ জুলাই ২০১৬

হাতিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা॥ ২০ দোকান-বাড়ি ভাংচুর, আগুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া, নোয়াখালী, ১০ জুলাই ॥ দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার খাসেরহাট বাজারে ইউপি নির্বাচনের জের ধরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মুহিনের সমর্থকদের দোকানঘরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় হামলাকারীরা ওই বাজারের দুটি দোকানে অগ্নিসংযোগসহ ২০টি দোকানঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়। একই সঙ্গে মহিউদ্দিন মুহিনের মোটরসাইকেলসহ ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। বাজারের পার্শ্ববর্তী ছিদ্দিক মাস্টারের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরইশ্বর ও চরকিং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খাসেরহাট বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, চরকিং ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহিনের সমর্থক কামাল উদ্দিন, ফখরুল ইসলামসহ ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুরে হাতিয়া সদরের ওছখালী বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ একটি সমাবেশের ডাক দেন। দুপুরে মহিউদ্দিন আহমেদ মিছিলসহকারে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছিলেন। মিছিল থেকে তার নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে খাসেরহাট বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মুহিনের সমর্থকদের দোকানে অতর্কিতে হামলা চালায় তার লোকজন। এমপির দুঃখ প্রকাশ নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১০ জুলাই ॥ পুলিশ অফিসারকে পেটানোর ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সরকারদলীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী। শুধু তাই নয়, শনিবার রাত ৯টায় পটিয়া থানায় এমপির ভাই মুজিবুল হক চৌধুরী ওরফে নবাব উপ-সহকারী পরিদর্শক জাকিরের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশের ওসি বিমল কর্মকার, পটিয়া-ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জিল্লুর রহিম। বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাংলাদেশী নাগরিকদের ভোটার তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে নীলফামারী, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলায় ৩৬টি, লালমনিরহাটে ৫৮টি, কুড়িগ্রামে ১২টি এবং নীলফামারীতে ৪টি ছিটমহল রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তথ্য সংগ্রহকারী কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে দেখা যায়। তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে ১৭ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন চলবে। এরপর ১ আগস্ট প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মিলবে ৪ সেপ্টেম্বর।
×