ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নারী সৈন্যকে যৌন হয়রানি

জনসনকে ফেরত পাঠানো হয় আফগানিস্তান থেকে

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১১ জুলাই ২০১৬

জনসনকে ফেরত পাঠানো হয় আফগানিস্তান থেকে

ডালাস হামলাকারী মিকা জেভিয়ার জনসনকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছিল এক নারী সৈন্যকে যৌন হয়রানির অভিযোগে। তাকে একক হামলাকারী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তবে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গ জঙ্গী গ্রুপগুলোকে অনুসরণ করতেন। খবর ডনের। জনসন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের মেসকুয়েট এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন এবং সেখানে একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে বাস্কেটবল খেলতেন। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণাঙ্গদের একটি বিক্ষোভ মিছিলে জনসনের গুলিতে পাঁচ পুলিশ নিহত ও সাতজনেরও বেশি আহত হয়। পরে শুক্রবার ভোরে পুলিশের রোবট দিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে জনসনের মৃত্যু হয়। ২৫ বছর বয়সী জনসনের বন্ধুরা বলেছেন, তার রাজনীতিতে কোন আগ্রহ ছিল না এবং প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সাবেক এই মার্কিন সেনার সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের কোন সংগঠনের সম্পর্ক নেই। কিন্তু জনসনের ফেসবুক ঘেঁটে পুলিশ জানিয়েছে, ‘আফ্রো-আমেরিকান ডিফেন্স লিগ’ এবং ‘নিউ ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি’সহ বিভিন্ন কৃষ্ণাঙ্গ জঙ্গী সংগঠন তিনি ‘লাইক’ দিয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২০০৯ সালে জনসন মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ইউএস আর্মি রিজার্ভে কাজ করেছেন। এরপর ২০১৩ সালের নবেম্বরে তাকে আফগানিস্তানে পাঠানো হয় এবং এর ছয় মাসের মধ্যে ২০১৪ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে এক নারী সৈন্যকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ‘আদার দেন অনারাবেল ডিসচার্জ’ সুপারিশ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠায় মার্কিন সেনা বলে জানিয়েছেন সামরিক আইনজীবী ব্র্যাডফোর্ড গ্লেনডেনিং। তিনি জনসনের পক্ষে কাজ করতেন। তিনি বলেছেন, এই সুপারিশ ছিল খুবই অস্বাভাবিক। কারণ সাধারণত কোন কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আগে কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়। মিনেসোটা ও লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে পুলিশের গুলিতে দুই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ডালাসে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উঁচু ভবন থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় পাঁচ শ্বেতাঙ্গ পুলিশকে। এটিই ৯/১১’এর পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বন্দুকধারীদের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
×