ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্র নিয়ে দূতাবাসের ও রাজনৈতিক নেতার গাড়ি সন্দেহের তালিকায়

চাপ প্রয়োগে মীর কাশেম আলীকে মুক্ত করাই ছিল মূল লক্ষ্য!

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১০ জুলাই ২০১৬

চাপ প্রয়োগে মীর কাশেম আলীকে মুক্ত করাই ছিল মূল লক্ষ্য!

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত কারাবন্দী জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা ও ধনকুবের মীর কাশেম আলীকে চাপের মুখে মুক্ত করতেই গুলশানে স্মরণকালের ভয়াবহ নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় জঙ্গীরা। এ ঘটনায় পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সরাসরি জড়িত। এ খাতে দেড় শ’ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। হত্যাকা-ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহের তালিকায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের নামও ওঠে এসেছে। গুলশান হত্যাকা-ের বিষয়ে ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা গুলশান কূটনৈতিকপাড়ার মতো জায়গায় অস্ত্র-গোলাবারুদ ও জঙ্গীরা কিভাবে প্রবেশ করেছে সে বিষয়ে বিস্তর অনুসন্ধান চলছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, বিশেষ কোন দেশের দূতাবাস বা বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর গাড়িতে করেই এমন ভারি আগ্নেয়াস্ত্র সেখানে প্রবেশ করতে পারে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা ও ধনকুবের ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত কারাবন্দী মীর কাশেম আলীকে মুক্ত করাটাও গুলশানের জঙ্গী হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে ভারতের নয়াদিল্লীকে বেশ কিছু প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে। সেই প্রাথমিক তথ্যেও এ বিষয়টি ওঠে এসেছে। যে কারণে হামলা হয়েছে, তাতে এমন সন্দেহের কথাই জানানো হয়েছে। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গুলশান ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ভারতীয় গোয়েন্দাগুলোও এসব তথ্য বিশ্লেষণ করছে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলছে। গুলশান হামলার পর সার্বিক পরিস্থিতি ভারতের নয়াদিল্লীকে বাংলাদেশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের তরফ থেকে নয়াদিল্লীকে দেয়া তথ্যে জানানো হয়েছেÑ গুলশানে কমান্ডোদের চালানো অপারেশন থান্ডারবোল্টে পাঁচ জঙ্গী নিহত হয়। নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের সর্ম্পকে অনেক তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। নিহত ওই পাঁচ জঙ্গীকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে দুই মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এরপর তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গীরা যেসব অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়ে নৃশংস হত্যাষজ্ঞের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা থাইল্যান্ড থেকে এসেছে। বিদেশীদের পণবন্দী করে মীর কাশেম আলীকে মুক্ত করার পাশাপাশি সেনাদের বিদ্রোহে উস্কানি দেয়ারও উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, জামায়াত নেতা ও ধনকুবের মীর কাশেম আলীকে মুক্ত করাটাও গুলশান হামলার লক্ষ্য হতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে এখন একমাত্র মীর কাশেমের ফাঁসিই বাকি রয়েছে। এই ফাঁসি ঠেকাতে নানান চক্রান্ত চলছে। গোয়েন্দারা মনে করেন, মীর কাশেম আলীর ফাঁসি ঠেকাতেই সাম্প্রতিক জঙ্গী তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, মীর কাশেম আলী জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী। ১৯৮৩ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান, কেয়ারী গ্রুপে থাকা ১০টি কোম্পানির কর্ণধার, টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে তার পাঁচটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী চলাচল করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধ কোম্পানির মালিক। পাশাপাশি ইবনে সিনা ট্রাস্টেরও সদস্য তিনি। নয়া দিগন্ত নামে একটি দৈনিক পত্রিকার মালিক। বন্ধ হয়ে যাওয়া দিগন্ত টেলিভিশনেরও মালিক ছিলেন তিনি। সরকারী হিসেবে মীর কাশেম আলী অন্তত ১৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছেÑ যুদ্ধাপরাধ মামলায় গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলার সময় মীর কাশেম আলী দেশী-বিদেশী নামী-দামী আইনজীবীদের নিয়োগ করেছিলেন। বিচার বন্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে মার্কিন লবিস্টও নিয়োগ করেছিলেন। তার ফাঁসির রায়ের পর পাকিস্তানের আইনসভায় বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তুরস্ক সরকারও ফাঁসি বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন বিদেশ দফতর থেকেও মীর কাশেমের ফাঁসি রদ চেয়ে সওয়াল করা হয়েছিল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনা সরকারকে ফেলে দেয়া এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক হিসেবে জঙ্গীগোষ্ঠীর হাতে প্রায় দেড় শ’ কোটি টাকা পৌঁছেছে। এ হামলার পেছনে সেই টাকাও থাকতে পারে। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, গত ১ জুলাই শুক্রবার রাতে জঙ্গী হামলা চলার সময় পাকিস্তানের করাচী এবং মধ্য এশিয়ার মধ্যে কয়েক হাজার ফোন কল গিয়েছে। পাশাপাশি দুবাই, সিরিয়া থেকেও ওই সময় ঢাকায় অজস্র ফোন এসেছে এবং গিয়েছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা মনে করছেন, পণবন্দী অবস্থায় করাচী, আরব এবং ঢাকার মধ্যে অজস্র ফোনালাপ থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে কোন কোন দেশ এ ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছে। এছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এসেছে। ওই পাঁচ জঙ্গীর কাছেও আরব থেকে সরাসরি ফোন এসেছিল। গুলশান-বনানী এলাকার ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। তার পরও দেখা যায়, ওই বেকারিতে কয়েকটি স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয় ছিল। জঙ্গীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আরবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। জঙ্গীরা সেনাবাহিনীর অফিসারদেরও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, তাহলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে শরীয়ত (ইসলামী) আইন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ঢাকা থেকে দিল্লীতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার লন্ডনবাসী ছেলে তারেক জিয়ার ফোনও ১ জুলাই সারারাত ব্যস্ত ছিল। তার ফোন থেকেও ঢাকা, করাচী ও আরবে কথা বলার প্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, তার এক খাস চাকরের নামে থাকা ফোনে সেই রাতে কথা বলছিলেন তারেক জিয়া। বাংলাদেশ যে তথ্য পাঠিয়েছে তা বিশ্লেষণ করছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীও গুলশান হত্যাকা-ের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র থাকার ব্যাপারে একমত। জঙ্গীরা শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করছে বলেও ভারতীয় গোয়েন্দারা জেনেছেন। ভারতীয় এক গোয়েন্দা কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আগুন জ্বললে ভারতকেও তার তাপ পোহাতে হবে। এজন্য সতর্ক থাকতে হচ্ছে নয়াদিল্লীকে; তাই জঙ্গী দমনে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। এদিকে বরাবরই বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে আইএস বা আল কায়েদার মতো কোন আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতা নেই। তবে আইএস বা আল কায়েদার অনুসারী রয়েছে। অনুসারীরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোর সদস্য। অনুসারীদের মধ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি (জামায়া’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম অন্যতম। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশীয় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আইএস ও আল কায়েদার অনুসারী। দেশী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলো মূলত যুদ্ধাপরাধী ও তাদের রাজনৈতিক দলটির অনুসারী। যুদ্ধাপরাধীদের গঠিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দেশীয় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোকে মদদ দিয়ে থাকে। যদিও জামায়াতে ইসলামীর দাবি, তারা কোন নিষিদ্ধ বা উগ্র-মৌলবাদী সংগঠনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় বা মদদ দেয় না। এটি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক পলিসির মধ্যে নেই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, মূলত জামায়াত-শিবিরের মদদেই দেশীয় জঙ্গীরা একের পর এক নৃশংস হত্যাকা- ঘটাচ্ছে। আর হত্যাকা- ঘটানোর পর সাইট ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আইএসের মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করা হচ্ছে। দায় স্বীকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা রয়েছে বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। মূলত বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঙ্গীরাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ঠেকাতে, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই চলছে এসব অপতৎপরতা। এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিদেশী গোষ্ঠীও জড়িত। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে একের পর এক নৃশংস হত্যাকা-ের পর সর্বশেষ গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনা ঘটানো হয়। এসব ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, গুলশানের মতো কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা জায়গায় ভারি আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশের বিষয়টিও বিরাট রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এত অস্ত্র-গোলাবারুদ কিভাবে ওই এলাকায় প্রবেশ করেছে সে বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চলছে। অস্ত্র-গোলাবারুদ আনা-নেয়ার কাজে জঙ্গীবাদের মদদদানকারী কোন দেশের দূতাবাস বা বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার গাড়ি ব্যবহৃত হতে পারে। ওই এলাকায় জঙ্গীবাদের মদদদানকারী একাধিক দূতাবাস রয়েছে। সন্দেহের তালিকায় পাকিস্তান দূতাবাসসহ একাধিক দেশের দূতাবাস রয়েছে। কারণ ইতোপূর্বে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের মদদদানের অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশের পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান সরকার। এছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেত্রীর বাড়িও ওই এলাকায়। গুলশান এলাকায় সব রাস্তায় চেকপোস্ট রয়েছে। প্রতিটি চেকপোস্টেই সাধারণ যানবাহনে নিয়মিত তল্লাশি হয়। শুধু বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ওই রাজনৈতিক দলের নেত্রীর গাড়ি সাধারণত চেকিং হয় না। এমন সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কোন গোষ্ঠী কোন দূতাবাস বা কোন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর গাড়িতে করে অস্ত্র-গোলাবারুদগুলো সেখানে মজুদ ও পৌঁছে দিতে পারে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলছেন, গুলশান হামলার তদন্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশ সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে। প্রয়োজনে এসব দেশের কারিগরি সহায়তা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলার ঘটনা আর যাতে না ঘটে এজন্য অনেক কিছুই ঢেলে সাজানো হবে। পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেছেন, দেশে আইএস বা আল কায়েদার কোন তৎপরতা বা অস্তিত্ব নেই। রাজধানীর গুলশানে ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে হামলার সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়া’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) জড়িত। তদন্তে জেএমবির জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশপ্রধান বলেন, সবাই মিলে জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হবে। জঙ্গীরা দেশ ও জনগণের শত্রু। পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছেÑ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদিতে আইএস কিংবা জঙ্গীবাদ সমর্থনে কোন ধরনের ভিডিও, ছবি, কোন বার্তা আপলোড, শেয়ার, কমেন্ট অথবা লাইক দেয়া আইনত দ-নীয় অপরাধ। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়। কোন ব্যক্তি যদি এ ধরনের ভিডিও, ছবি বা বার্তা আপলোড, শেয়ার, কমেন্ট অথবা লাইক দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া এ্যান্ড প্ল্যানিং) একেএম শহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
×