ছেলে ছিল দু’বছর নিখোঁজ, বাবাও পলাতক

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলায় আটক শাফিউল ইসলাম সোহান নিখোঁজ ছিল প্রায় আড়াই বছর ধরে। তার বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামে। সোহানের আটক হওয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়ির মূল ফটক রয়েছে তালা দেয়া। তার বাবার নাম হাই প্রধান। পেশায় ইলেক্ট্রনিক মিস্ত্রি। তিনি গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং জামায়াতের সমর্থক। মামলা দায়েরের ঘটনার পর থেকেই তিনি পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছেন। এদিকে ঈদের দিন শোলাকিয়ার হামলার ঘটনার দিন অর্থাৎ ঈদের দিন সোহানের বাড়িতে মা ও দুই বোন ছিলেন। কিন্তু রাতে সোহানের পরিচয় জানাজানির পর থেকেই তারাও বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছেন। এ বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী জানিয়েছে, শাফিউলদের মূল বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামে। গত ৫ বছর ধরে তার বাবা হাই প্রধান বসবাস করছে রানীগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দেবপুর গ্রামে। তার ছেলে দাখিল পাস করার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে। গত আড়াই বছর ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বাবা জামায়াতের রাজনীতি করে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই সেও পলাতক । বাড়িতে থাকে তার মা ও দুই বোন। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব সোহানের গ্রামে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে সোহানের চাচাত ভাই এনামুল হককে আটক করে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি-১ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ রাজু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এটি কোন আটক নয়। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, সোহানের বাবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সোহান দাখিল পাস করার পর থেকেই নিরুদ্দেশ। তার মা ও বোনও শোলাকিয়ার ঘটনার পর থেকে বাড়ি থেকে সরে পড়েছে। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।