ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ভারত

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১০ জুলাই ২০১৬

সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ভারত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলায় নিহত জাপানী নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে লেখা এক চিঠিতে বারাক ওবামা এ কথা উল্লেখ করেন। খবর বিজনেস-স্ট্যান্ডার্ড ডটকম ও দ্য হিন্দু শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে বারাক ওবামা গুলশানের রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলায় নিহত জাপানী নাগরিকদের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। তিনি জাপানের আহত নাগরিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। চিঠির শেষ অংশে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের পাশে সব সময় থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগেও গুলশান হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বারাক ওবামার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছিলেন। গত ১ জুলাই এ বর্বর হত্যাকা-ের একদিন পর রবিবার সন্ধ্যায় জন কেরি ফোনে বলেন, সন্ত্রাস নির্মূলে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও সহানুভূতি জানান প্রেসিডেন্ট ওবামা। এদিকে বাংলাদেশে জঙ্গী হামলার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীকে চিঠি দিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ঢাকাকে নয়াদিল্লীর সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার ওই চিঠিতে সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ‘সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের’ প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। গত ১ জুলাই শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশীসহ ২০ জনকে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথা জানায় ভারত। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুইজনই হামলার নিন্দা জানান। নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনও করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তার চিঠিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, শোকের এই সময়ে ভারত দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে আছে। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলয়ে কাজ করব। ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের আদর্শের হুমকি থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হবে। সব পর্যায়ের সন্ত্রাস মোকাবেলায় আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। গুলশান হামলার প্রসঙ্গ তুলে সুষমা বলেন, এমন অমানবিক সহিংসতা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে যখন সত্যিকারের বিশ্বাসীদের মন আধ্যাত্মিক জগতের সন্ধানে থাকে। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম ও বিশ্বাস নেই- গুলশান হামলা সে প্রমাণও দিয়েছে মন্তব্য করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সরকার দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে বলেই ভারত বিশ্বাস করে। এদিকে গুলশান হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকালে নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ।
×