ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের দিন শখের টমটমে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১০ জুলাই ২০১৬

ঈদের দিন শখের টমটমে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস

সমুদ্র হক ॥ ঈদের দিন বগুড়া শহরের পথঘাট ফাঁকা। এরই মধ্যে কয়েকটি টমটমের আগমন। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীর আনন্দ দেখে কে। ঘোড়ার গাড়িতে চেপে তারা ঘুরে বেড়ায় গোটা শহর। এবারের ঈদ আনন্দের বড় আকর্ষণ ছিল এই টমটম। শহরের প্রতিটি সড়কে দিনভর টমটমে চড়ে ঘুরে বেড়ায় প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। একেকটি টমটমের দুই পাশের বেঞ্চে তিনজন করে, পাটাতনে তিনজন ও চালকসহ দশজন বসতে পারে। চালক ঘোড়ার চাবুকের কাঠের অংশটি চলন্ত চাকার স্পর্শ করলে টক্কর টক্কর শব্দে হর্ন দেয়। এই শখের গাড়ি টমটম বেশি থাকায় এবারের ঈদের দিনে শহরে মোটরসাইকেল, মোটরকার বেশি চলাচল করতে দেখা যায়নি। যারা ঈদের আনন্দে দূরে কোথাও এবং এ বাড়ি ও বাড়ি গেছে তাদের অনেকেই টমটমে চড়ে ভ্রমণ করেছে। এই দিনে ঈদের বাড়তি রিক্সা ভাড়ার চেয়ে টমটম সাশ্রয়ী ভাড়ায় চলেছে। বর্তমান প্রজন্ম টমটমের সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়। একটা সময় এক ঘোড়াচালিত গাড়ি দ্রুতগামী ছিল শহরে ও গ্রামে। রাজধানী মহানগরী ঢাকাসহ অনেক বড় শহরে ছিল দুই ঘোড়াচালিত এক্কাগাড়ি। বর্তমানে ঘোড়া কমে গিয়ে ঘোড়াগাড়িও কমেছে। বর্ণাঢ্য কোন র‌্যালি, বিয়ের হলুদের অনুষ্ঠানে ঘোড়াচালিত টমটম চোখে পড়ে। তাও কালেভদ্রে। গ্রামের বেশিরভাগ সড়ক পাকা হওয়ায় যন্ত্রচালিত পাবলিক সার্ভিস চলছে। গ্রামীণ জীবনের গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ির দিন আজ ফুরিয়েছে। গরুর গাড়ির চালককে বলা হতো গাড়োয়ান বা গাড়িয়াল ভাই। ঘোড়ার গাড়ির চালকের নাম কোচওয়ান। এই কোচওয়ানদের নিয়ে ঢাকাই রম্য গল্প অনেক আছে। বর্তমানে ঘোড়াগাড়ির চালকদের সেই পরিচিতি হারিয়ে গেছে। কোচওয়ানরা কোন রকমে ঘোড়া পালন করে টমটম রেখে দিয়েছে, কোন দিন ডাক পড়ে এই আশায়। শুধু ঘোড়াগাড়ি চালানো তাদের পেশা নয় এবং নিতেও পারে না। সংসারের ঘানি টানতে তাদের বেছে নিতে হয়েছে দিনমজুরি পেশা। কেউ ছোট কৃষক। পূর্বপুরুষ টমটম চালিয়ে দিন গুজরান করত। যখন রাস্তাঘাট ছিল কাঁচা। এখন প্রযুক্তি ও যন্ত্রযুগে টমটম শুধুই শখের গাড়ি। ঈদসহ নানা উৎসবে শখ করে টমটমে চড়ে। টমটমের যাত্রা এখন এ পর্যন্তই। রাজশাহীতে সিনেমা হলে ব্যাপক ভাংচুর স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ‘উপহার’ সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শনের সময় বারবার যান্ত্রিক ত্রুটিতে অতিষ্ঠ হয়ে হলে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ দর্শক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে দর্শকদের হল থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হল মালিকের। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য, নাকি অন্য কোন কারণে হলে ভাঙচুর হয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও দর্শকদের কয়েকজন জানান, উপহার সিনেমা হলে শুক্রবার রাত নয়টা থেকে রাত্রিকালীন শো শুরু হয়। হলে কলকাতার অভিনেতা জিত অভিনীত ভারতীয় বাংলা সিনেমা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। প্রদর্শনী শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ছবিটির প্রদর্শনী বন্ধ হতে থাকলে দর্শকরা হৈ চৈ শুরু করে।
×