ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাহান মিয়া

জঙ্গী নির্মূল এ মুহূর্তের প্রধান কাজ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১০ জুলাই ২০১৬

জঙ্গী নির্মূল এ মুহূর্তের প্রধান কাজ

গত ১ জুলাই গুলশানে দেশের ইতিহাসে হঠাৎ সংঘটিত ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের আকস্মিকতায় দেশবাসী হয়ে গিয়েছিল স্তম্ভিত। বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ। বর্বর জঙ্গীদের নৃশংসতার সীমাহীন শোকে জর্জরিত হয়েও ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাঙালী জাতি। পবিত্র রমজান মাসে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী শবে কদরের ঠিক আগের দিন শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সারাদিন রোজা রেখে যখন তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে ধাবমান তখনই ঐ নিষ্ঠুর জঙ্গীরা আল্লাহ আকবর ধ্বনি দিয়ে হলি আর্টিজান বেকারি নামে একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে। মানুষ নামক মানবতার শত্রু ঐ নরপশুদের লক্ষ্য ছিল একটাই- মানুষ হত্যা। বর্বর জঙ্গী জানোয়ারদের উগ্র আগ্রাসনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ বিদেশীসহ ২০ জন অসহায় জিম্মি। বিদেশীদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের এবং একজন ভারতের। তাদের অত্যন্ত নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার একটি রেস্টুরেন্টে জঙ্গীরা বিদেশীসহ বেশ কিছু খদ্দেরকে জিম্মি করার খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গত কারণেই তাদের দায়িত্ববোধ থেকে জিম্মিদের উদ্ধারে তৎপর হয়ে ওঠে। আর তাই রেস্টুরেন্টটিতে ত্বরিত ঢোকার চেষ্টা করলে ভেতরে অবস্থানকারী জঙ্গীদের এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমার আঘাতে দুই চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। আহত হন আরও ৩০ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৫০ জন। দেশের ইতিহাসে সংঘটিত এই বর্বরতম ঘটনার অবসানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাত্র ১২ মিনিটের এ সফল অভিযানে ৬ জঙ্গী নিহত হলেও ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজন ছিলেন শ্রীলঙ্কান ও একজন জাপানী নাগরিক। গুলশান হামলার নৃশংসতার মাত্রায় বাংলদেশের মতো স্তম্ভিত হয়েছে সারা বিশ্ব। বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে হামলার খবর প্রকাশের পাশাপাশি জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জঙ্গী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘ সব ধরনের সহায়তা দিতেও প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছেন। গত ২ জুলাই জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারের নেয়া ত্বরিত ব্যবস্থারও প্রশংসা করেছেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাকও সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। এবারের ঈদ এদেশের মানুষের জন্য অনেকটাই বিষাদময় হয়ে গিয়েছিল। গত ১ জুলাই গুলশানে হামলার মাত্র ৫ দিন পর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিন জঙ্গীরা দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জায়গা কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ওদের গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় দুজন পুলিশ, একজন হামলাকারী জঙ্গী এবং নিজ বাসায় অবস্থানরত ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে একজন মহিলা নিহত হন। আহত হন ৭ পুলিশ ও ৩ জন পথচারী। একজন জঙ্গীকে আটক করা হয়। গুলশানে ঘটা জঙ্গী হামলা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানাভাবে এর বিচার-বিশ্লেষণ হলেও এ কথাটি স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, এটি দেশে-বিদেশে চলমান জঙ্গী হামলারই একটি অংশ। গত বছর সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাভেল্লা খুন হন। এরপর রংপুরে একজন জাপানী নাগরিক ছাড়াও বিগত কয়েক মাস ধরে একের পর এক টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার শিকার হন ব্লগার, প্রকাশক, শিক্ষক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে জঙ্গীরা রাজধানীর গুলশানের মতো জায়গায় একটি রেস্টুরেন্টে এরকম পৈশাচিক হত্যাকা- কেমনে ঘটাল সে বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা জানি, গুলশানে ইতালির নাগরিক হত্যা করার পর ঐ এলাকায় দফায় দফায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। তারপরও জঙ্গীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড-বোমা নিয়ে কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাইক্রোবাসে চড়ে কিভাবে রেস্টুরেন্টটিতে পৌঁছে গেল তা নিয়েও জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে একাত্তরে এদেশের কিছু ঘৃণ্য মানুষ ছাড়া আপামর জনসাধারণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। ইয়াহিয়া-টিক্কা-নিয়াজীদের নেতৃত্বাধীন পাপী পাকিস্তানীদের পর্যুদস্ত করে এদেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হয়েছিল। মনে হয়, পঁয়তাল্লিশ বছর পর বাঙালী জাতি নতুন করে আজ এক কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। চরম প্রতিশোধপরায়ণ একাত্তরের পরাজিত শক্তি এদেশের অভ্যুদয়কে কখনই মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়ে আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার শুভযাত্রা থামিয়ে দিতে ওদের এই অপপ্রয়াস। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করাই ওদের লক্ষ্য। তারা আজ জঙ্গী দানবদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের মদদে দস্যু-দানবরূপী জঙ্গীরা শত ফণা তুলে তাদের বিষাক্ত থাবায় ক্ষত-বিক্ষত করতে চাচ্ছে ৩০ লাখ অমূল্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সুপরিচিত দেশটিতে একের পর এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে সে সুনামে কালিমা লেপন করে দিচ্ছে। হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত নারকীয় ঘটনায় বেদনাহত ও ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের মানুষ গত ৩ ও ৪ জুলাই দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে। এখানে উল্লেখ করতেই হচ্ছে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিগত কয়েক মাস ধরে ঐক্য ও গণতন্ত্রের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন। গুলশান হামলায় হত্যার ঘটনা বিগত কিছুদিন ধরে আওড়ানো ঐক্যের ফাঁকা বুলির পুনারাবৃত্তি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এবং তিনি সেই মুখস্থ বুলি পাঠ করে যাচ্ছেন। তিনি বলছেন গণতন্ত্রের কথা। বিএনপির নেত্রীর মুখে আর যা-ই হোক, গণতন্ত্র শব্দটি উচ্চারণ একেবারেই শোভা পায় না। কারণ, এদেশের মানুষ নিশ্চিত পরাজয় জেনে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন শুধু বয়কট করাই নয়, তা বানচাল করতে তার নির্দেশে নিজ দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা কিভাবে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তারা পেট্রোলবোমা মেরে শুধু দুই শতাধিক নিরীহ মানুষকেই অগ্নিদগ্ধ করেনি, তার মুখে উচ্চারিত গণতন্ত্রকেও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছেন। তাই তার মুখে গণতন্ত্রের কথা একেবারেই বেমানান। আর তাই আমাদের সুবক্তা ও স্পষ্টবাদী তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু যথাযথভাবেই খালেদা জিয়াকে ‘আগুন সন্ত্রাসী’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। আরও উল্লেখ করতে চাই যে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলেই এদেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটে এবং তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তখনকার সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও উঠেছিল। সে সময় বাংলাভাইয়ের নেতৃত্বে জঙ্গীরা রাজশাহী শহরে প্রকাশ্যে মোটর শোভাযাত্রাও করে। ২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রায় একই সময়ে সারাদেশের ৬৩টি জেলায় জঙ্গীরা পাঁচ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতার মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ার পর এ দলটিও সর্বতোভাবে জঙ্গীদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে বলে জোরালো অভিযোগ উঠেছে। অনেকে এ কথাটিও জোর দিয়ে বলছেন যে, জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা ও দলটির আর্থিক বিষয়ের নিয়ন্ত্রক মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকরের সম্ভাবনার বিষয়টি খুব কাছাকাছি চলে আসায় এ বিচার ঠেকাতে জঙ্গীরা উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। মাদ্রাসায় পড়া মৌলবাদী মনোভাবের ছেলেমেয়েরাই এক সময় জঙ্গীরূপে আবির্ভূত হয়। গুলশানে হামলার পর এদেশের মানুষের মনের মধ্যে বিদ্যমান এ ধারণাটি কিছুটা হলেও পরিবর্তন ঘটেছে। গুলশানের হামলায় অংশ নেয়া জঙ্গীরা প্রায় সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত সন্তান। একজন জামায়াতের তৃণমূল পর্যায়ের এক নেতার ছেলে। জঙ্গীদের তিনজন রাজধানী ঢাকার একটি ইংরেজী মাধ্যম স্কুল ও বেসরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। একজন মালয়েশিয়ার মনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং আরেকজন ছিল দিনাজপুরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র। অস্ত্র চালনায় এদের ছিল দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ। হামলার সময় জঙ্গীরা আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও আশপাশ থেকে ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনেক জায়গায় যোগাযোগ করে। ঐ সময় ওরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেছে বলেও পত্র-পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। নৃশংস হত্যাকা-ের ছবি তারা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। এই জঙ্গী ছেলেরা যে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান তা ওদের চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। হাসিমুখের আড়ালে যে লুকিয়ে আছে হায়েনার হিংস্্রতা তা ওদের ছবি দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। সচ্ছল পরিবারের শিক্ষিত ছেলেদের কৌশলে জঙ্গী দলে ভিড়িয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভাল করে মগজ ধোলাইয়ের পর ওদের দেয়া হচ্ছে আধুনিক অস্ত্রসহ ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ। বিদেশেও এদের উন্নত ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর তরুণ বয়সের ছেলেরা নিজ পরিবারের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ রাখে না। এসব ছেলেকে মূলত পার্বত্য অঞ্চলেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। মালয়েশিয়ায় গিয়েও বিপথগামী ছেলেরা জঙ্গীবাদের ট্রেনিং নিয়ে থাকে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। পথভ্রষ্ট ছেলেদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সংযোগ রয়েছে বলেও দেশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা মনে করছেন। ইসলাম ধর্মের বিধানমতে রমজান মাসে মুসলমানদের সব রকম বিবাদ-বিরোধ থেকে দূরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী রসুলে করিম (সা) শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করা থেকেও বিরত থাকতেন। শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছু তরুণের খবর পাচ্ছেন না তাদের পিতা-মাতা-অভিভাবক। সরকারের তরফ থেকে পরিবারের অভিভাবকদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গীবাদ নির্মূলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জঙ্গীদের ভয়াবহ কর্মকা- যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তা দেশের সকল স্তরের জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে নির্মূল করতে হবে। ইসলামের নামে জঙ্গীরা মানুষ হত্যা করে জঘন্য পাপ করছে। শান্তির ধর্ম ইসলাম। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি ধর্মের মর্মবাণীই শান্তি। অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয় বিষয়। ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু জঙ্গীরা ধর্ম রক্ষার নামে তরুণদের বিভ্রান্ত করে বিপথগামী করছে। এই জঘন্য কাজটির দ্রুত নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। লেখক : সাংবাদিক
×