ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত: ২৩:২১, ৫ জুলাই ২০১৬

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পরা ভিড়। এ সুযোগে আদায় করা হেেয়ছে অতিরিক্ত ভাড়া। নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের দোহায় দিয়েই এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে। শুধু অতিরিক্ত ভাড়াই নয় একই সাথে বহন করা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। এতে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রীরা পদ্মা নদী পারি দিয়েছে সিবোটে। এসব সিবোটে পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেটও ছিলনা। লঞ্চ ঘাটেও উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে ফেরি চলেছে স্বাভাবিক ভাবে। কোন প্রকার যানজট ছিলনা ফেরি ঘাটে। শিমুলিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘরমুখো যাত্রীরা বাসে করে ঢাকা থেকে এসে শিমুলিয়া ঘাটে নামছে। সেখান থেকে লঞ্চ সিবোটে করে পদ্মা পারি দিয়ে ওপারে গিয়ে আবার অন্য কোন যানবহনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছে। তবে এসব ঘরমুখো যাত্রীদের নদী পার হতে প্রথম পছন্দই ছিল সিবোট। অনেক দিন পর আত্মীয় স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাত করতে গ্রামের বাড়িতে দ্রুত যেতেই তারা সিবোটকে প্রাধান্য দিয়ে অতি অল্প সময়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাই সিবোট ঘাটে যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় ছিল। এই সুযোগে সিবোট চালকরা ৮ জনের ধারণ ক্ষমতার সিবোটে যাত্রী নিয়েছে ১৩ জন। ১২ জনের ধারণ ক্ষমতার সিবোটে যাত্রী নিয়েছে ১৮ থেকে ২২ জন। টোলসহ দেড় শ’ টাকার সিবোট ভাড়া কাউন্টার থেকেই নেয়া হয়েছে ২ শত টাকা। এর পরেও সিবোটে উঠার আগে চালকরা নিয়েছে আরো ৫০ টাকা। সব মিলিয়ে পদ্মা পারি দিতে একজন যাত্রীকে দুই থেকে আড়াই শ’ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে। দুপুরের দিকে নৌ পুলিশের এসপি জুবায়ের আহমেদ সিবোট ঘাট পরিদর্শণে আসলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ ছিল। এছাড়া এসব সিবোটে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটও ছিলনা। কোন কোন সিবোটে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে। অনেকটা খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নদী পার হতে হয়েছে। এতে জীবণের ঝুকি থাকলেও সংশ্লিষ্ট কাউকে এ বিষয়টি দেখার জন্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি ঘাট ইজারাদারের উপর চাপিয়ে দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ঘাট ইজারাদার মো. আশরাফ হোসেন খানের মোবাইলে কয়েক দয়া ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খালেকুজ্জানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিবোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি। নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের মোবাইলে কয়েক দফা ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমোডোর এম মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নৌ পবিহন মন্ত্রী ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস হয়না। সিবোড ঘাট আমারা ইজারা দিলেও ভাড়ার বিষয়টি নির্ধারন করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে আমি বিষয়টি দেখছি এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং ঈদে ঘুরমুখো মানুষকে নিরাপদে পারাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
×