নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ।। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপ ও আমবশ্যার প্রভাবে পায়রা নদী ফুসে উঠেছে। সোমবার স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অবিরাম বর্ষণে জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। শ্রমজীবি মানুষ ঘর থেকে বের হলে পারছে না। কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের কারনে পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। লঘুচাপ ও আমাবশ্যার জোঁ প্রভাবে পায়রা নদী অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তীরে ঢেউ আচার খাচ্ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২/৩ ফুট উচ্চে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তালতলীর তেতুঁলবাড়িয়া, নিদ্রারচর, কবিরাজপাড়া, ফকিরহাট, জয়ালভাঙ্গা, গাবতলী, চরপাড়া, বালিয়াতলী, আমতলী পৌরসভার চরাঞ্চল, বৈঠাকাটা, কালীবাড়ী, গুলিশাখালী, পশুরবুনিয়াসহ চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের বাড়ী ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা বাড়ী ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও সাইক্লোন সেল্টারে অবস্থান নিয়েছে।এদিকে সাগরে মালেক ঘরামির একটি মাছ ধরা ট্রলার ঝড়ের কবলে পরে ডুবে গেছে। জেলেরা উদ্ধার হলেও ট্রলারসহ মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।
ট্রলার মালিক মালেক ঘরামী জানান সকালে সাগরে মাছ ধরতে গেলে ঝড়ের কবলে পরে আমার ট্রলারটি ডুবে গেছে। জেলেদের অন্য ট্রলারের উদ্ধার করা গেলেও ট্রলারটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এতে আমার প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হবে।
নিদ্রার চরের আজাহার উদ্দিন, আউয়াল, হালিমন, গোলভানু, আবুল ও জালাল সরদার জানান “মোগো বাড়ী-ঘর পানতে তলাইয়া গ্যাছে, মোরা ছাইকোলোন সেন্টারে গুরাগারা লইয়া উরছি”।
নিদ্রারচরের কবির আকন জানান বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরের সকল ঘর-বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই সকল বাড়ীর লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ও সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
আবহাওয়াবিধ প্রদীপ চক্রবর্তী জানান লঘুচাপের কারনে সাগর বক্ষে প্রচুর মেঘ মেলা থাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তিনি আরো জানান সোমবার ৩৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: