ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২ জুলাই ২০১৬

  নির্বাচন পরবর্তী  সংঘর্ষে আহত ৩০

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নির্বাচন পরবর্তীতে দুই ইউপি সদস্য সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নজিরউদ্দিন আহমেদ (৭০)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকের দোলাপাড়া গ্রামে ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত হয় ৩০ জন। এর মধ্যে ওই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মমতাজুল রহমান সুজন (৪০)সহ আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হলেন উক্ত ইউপি সদস্যের পরিবারের সদস্য রুস্তম আলী (৫০), জুলেখা বেগম (৪৩), সাকিব আহমেদ (৭), হাফিজার রহমান (৩০), পিয়ারুল ইসলাম (৩৫), ওসমান গনি (৩৫) ও টস্সা মাহমুদ (৩৩)। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নজিরউদ্দিন আহমেদ এক নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মমতাজুল রহমান সুজনের বাবা। এলাকাবাসী জানায়, চতুর্থ দফায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নবনির্বাচিতরা ইতোমধ্যে শপথও গ্রহণ করেছে। কিন্তু মাগুড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মমতাজুল রহমান সুজনের সঙ্গে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমিনুজ্জামান সুজালের বিরোধ চলে আসছিল। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে পূর্বের সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে মাগুড়া ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নজিরউদ্দিন আহমেদ সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে এলে তার সামনেই তার ছেলে এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমতাজুল রহমান সুজনকে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে কোপ মারে। এ দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।
×