ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্মূল কমিটির অঙ্গীকার

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৩০ জুন ২০১৬

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

এনআরবি নিউজ, লন্ডন থেকে ॥ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য জামায়াত-শিবির দেশ-বিদেশে নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু করেছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জামায়াত হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী সংগঠনকে মাঠে নামায়। বক্তারা বলেন, প্রতিটি মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সেই সঙ্গে নব্য রাজাকারদেরও চিহ্নিত করতে হবে। রবিবার বিকেলে ইস্ট লন্ডনের বাংলাটাউনের স্বাদগ্রীল রেস্টুরেন্টে নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাংবাদিক সৈয়দ আনাছ পাশার সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাসনা হেনার সন্তান লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক নাদিম কাদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত অধ্যাপক তালহা ইয়াছিন। শহীদ জননীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাংবাদিক আবু মুসা হাসান, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মাহমুদ এ রউফ, যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন বেলাল, ইউকে নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাট্যকর্মী স্বাধীন খসরু, এ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জামাল খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতিয়ার চৌধুরী, আব্দুল মালেক খোকন, কোষাধ্যক্ষ শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, সদস্য নিলুফা হাসান, ডাঃ আফরোজা খাতুন, সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, শাহ তোফায়েল আহমদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গণআদালতে গোলাম আযমের বিচারের কর্মসূচী সফল করার জন্য জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ছাত্র ও নারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করেছিলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’। মানুষের নিরাপত্তায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নিরাপদ যাতায়াতে যাত্রীকে যেন কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে না হয় তাই এমন উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমপি। ছবিটি গাবতলী থেকে তুলেছেন জনকণ্ঠের আলোকচিত্রী। মানুষকে সচেতন করতে ঈদ এলেই বেড়ে যায় অজ্ঞান ও খপ্পর পার্টির তৎপরতা। এদের খপ্পরে পড়ে মানুষ শুধু সর্বস্ব হারায়, তা-ই নয়, অনেক সময় অনেকে প্রাণও হারায়। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের বিপদ থেকে রক্ষায় রাজধানীর বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে সচেতনতামূলক পোস্টার, প্ল্যাকার্ড লাগিয়েছে ডিএমপি। ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী।
×