ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাওয়া পাওয়ার ব্যবধান

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৩০ জুন ২০১৬

চাওয়া পাওয়ার ব্যবধান

জিতেন্দ্র কুমার সিংহ ঈদ মানেই সীমাহীন আনন্দ-উল্লাস। ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা- এ দুটি উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার অধীর আগ্রহ নিয়ে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান অপেক্ষায় থাকে। সারাটা বছর অভাব-অনটন ও সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতার আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ নিদেনপক্ষে বছরের এ দিন দুটি চিন্তাহীনভাবে কাটাতে চায়। অভাব-অনটন মুক্ত থাকতে চায়। গৃহকর্তা তার পরিবারের সকল সদস্যের-আত্মীয়স্বজনের-প্রতিবেশীর-বন্ধু বান্ধবের মুখে হাসি ফোটাতে চায়। কিন্তু চাইলেই কি হয়? সমাজব্যবস্থা যদি টেকসই না হয়; জাতীয় সমাজনীতি যদি গণমুখী-কল্যাণমুখী না হয়, তবে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়। অর্থাৎ অপরাপর দেশের মুসলমানরা সত্যি সত্যি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারলেও বাংলাদেশের মুসলমানদের ক্ষেত্রে অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। এক, নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে গিয়ে যারা চাকরি করেন, তারা তিন দিনের ছুটি পেয়ে সময়মতো বাড়ি পৌঁছতেও পারেন না এবং সময়মতো কর্মস্থলে ফিরতেও পারেন না। সময়মতো পৌঁছতে না পারার অন্যতম কারণসমূহ হচ্ছে- ঈদের আগে ও পরে একদিন করে ছুটি, পরিবহন সঙ্কটের পাশাপাশি কতিপয় অসৎ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের স্বেচ্ছাচারিতা এবং আপদমুক্ত রাস্তার অভাব ইত্যাদি। দুই, প্রান্তিক কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ তার ন্যায্য মজুরি পায় না এবং যা পায় তাও সময়মতো নয়। এতে ঈদের আনন্দের আমেজ অনেকটা মলিন হয়ে যায়। এছাড়াও বাস্তুহারা ও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যাও নেহায়ত কম নয়। এদের ঈদের আনন্দ পুরোপুরি ধনাঢ্যদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। একদিকে অনিরাপদ সড়কপথ ও নৌপথের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা এবং চাঁদাবাজির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে থাকে ঘরে ফেরা মানুষ। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে দেশের মানুষ যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে, তা দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরী। মৌলভীবাজার থেকে
×