ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রায়পুরে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান বেড়েছে

প্রকাশিত: ২০:৪২, ২৮ জুন ২০১৬

রায়পুরে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান বেড়েছে

সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপের কারণে অতি দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। বেড়েছে কর্মসংস্থান। এ লক্ষ্যে কাবিখা, একটি বাড়ি একটি খামার, টাবিটা, ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন ও কর্মস্ংস্থানের লক্ষ্যে নেয়া এসব প্রকল্প উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মাঠ পর্যায়ের কঠোর তদারকি ও সফল বাস্তবায়নে এর সুফলভোগ করছে এ অঞ্চলেন অতি দরিদ্র সাধারণ মানুষ। ফলে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যেতে রায়পুর উপজেলাকে মডেল হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা যায়, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে কর্মহীন অতি দরিদ্র অতি দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্ঠির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র পরিসরে অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য সরকার ১ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা টাকা বরাদ্ধ দেন। স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ১ নং চর আবাবিল ইউনিয়নে ১২৫টি, ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে ২’শটি, ৩নং চর মোহনা ইউনিয়নে ১৭০টি ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নে ১শটি, ৪নং চরপাতা ইউনিয়নে ৭৫টি, ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে ১৮০টি, ৭নং বামনী ইউনিয়নে ১৫০টি, ৮নং দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নে ১৪০টি, ৯নং চরআবাবিল ইউনিয়নে ১৭৫টি এবং ১০নং রায়পুর ইউনিয়নে ৬৫টি ইজিপিপি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এসব প্রকল্পের উপকারভোগী ১৩শ ৮০জন সবাই হত-দরিদ্র ও কর্মক্ষম। প্রকল্প হাতে নেয়ার পর মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম সরেজমিনে গিয়ে তদারক করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারি প্রকৌশলীসহ প্রকল্পের সভাপতি সম্পাদকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক ও মতবিনিময় করে প্রথম পর্যায়ের কাজ সফলভাবে শেষ করেন। এসব কাজের সফলতার পুরস্কার হিসেবে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আলম বলেন,‘দিন বদলের সনদ'-এ দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। গ্রাম-বাংলার দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে পারলে আমাদের ধনী দরিদ্রের ব্যবধান কমে আসবে। তাই দায়িত ¡গ্রহণের পর থেকেই দারিদ্র্য বিমোচনের কর্মসূচীগুলোকে বাস্তবায়নে বিশেষ গুরত্ব দিয়েছি। রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের উন্নয়নকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়েছে। সরকার দারিদ্র্যকে আমাদের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাই আমাদের সরকার দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম মূল লক্ষ্য হচ্ছে, গ্রাম-বাংলার দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা। নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা বিধান করা। নারীর ক্ষমতায়ন করা। নারীকে আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডে সমানভাবে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমেই কেবল টেকসই দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। বর্তমান সরকারের শাসনামলে রারপুরে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মস্থান বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রকল্পে আশাতীত সাফল্য এসেছে।
×