স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ঈদ ঘিরে পশ্চিমাঞ্চলের রেল পুলিশ (জিআরপি) সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। এ জন্য জিআরপি পুলিশের ঈদ ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্র জানায়, বড় বড় স্টেশনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সন্দেহভাজন যাত্রীদের তল্লাাশি করা হচ্ছে। ট্রেনে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এতে স্থাপিত হটলাইনে ভুক্তভোগী যাত্রীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ট্রেনে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট ও পোস্টার। যাতে লেখা রয়েছে ওই হটলাইন নম্বর। সুত্র মতে ট্রেনে যাত্রীর নিরাপত্তা, টিকিট কালোবাজারি রোধ ও নাশকতা ঠেকাতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১২টি থানা ও ১৬টি ফাঁড়ির প্রধান কার্যালয় নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশের জারী করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সুত্র এ সব তথ্য জানিয়ে উল্লেখ করে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলার অধীন রয়েছে সৈয়দপুর সদর, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট, বোনারপাড়া, সান্তাহার, ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রাজবাড়ী, পোড়াদহ ও খুলনা সহ ১২টি থানা। এ ছাড়া ১৬টি রেলওয়ে ফাঁড়ি রয়েছে বিভিন্ন রেলস্টেশনে।
ওই প্রজ্ঞাপনের তথ্য মতে ঈদে রেলস্টেশনগুলোতে টিকিট কালোবাজারি , ট্রেনে যাত্রীর চাপ, ট্রেনে যাত্রীদের লাগেজ চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। এসব মাথায় রেখে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ২৬টি রেলওয়ে স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র। ওই কেন্দ্র থেকে যাত্রীসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে রেলপুলিশ।
সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তাই এখন সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ জন্য রেল পুলিশের সব রকম ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বলেন, কোনোভাবে ট্রেনে অরাজকতা বরদাশত করা হবে না। এ জন্য নিয়োজিত থাকছেন ৬৬২ জন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া ২০০ ব্যাটালিয়ন আনসার, রেলপথ-সংশ্লি¬ষ্ট জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহযোগী হিসেবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: