ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৮ জুন ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

কাল বাদে পরশু বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ অফিস। অবশ্য সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের। তারপরই ছুটি হচ্ছে টানা নয় দিনের। সম্ভবত ঈদের ছুটির ব্যাপারে এটি একটি রেকর্ড। সরকারী ছুটি হলেও বেসরকারী নাগরিকদের ওপরও তার কিছুটা প্রভাব পড়বে। না, তাদের ছুটি বাড়ছে না। কিন্তু সরকারী কার্যালয় বন্ধ থাকার কারণে সেসব কার্যালয়ের কাজ স্থগিত থাকবে। যারা সচরাচর যেমন পান তেমনই পাওয়া তিন দিনের ছুটি কিভাবে হিসেব করে খরচ করবেন তার ছক কষছেন। অপরদিকে টানা নয়দিনের ছুটি যারা পাচ্ছেন তাদের একটা পরিকল্পনা করতেই হচ্ছে। দুদিকেই আছেন লাখো ঢাকাবাসী। তবে যেদিকেই থাকুন, ঈদে ঢাকা যারা ছাড়ছেন না তাদের জন্য ঈদ মৌসুমে ঢাকা যে অনেকটা আরামপ্রদ হয়ে উঠবে, সেটি বলাইবাহুল্য। তবে চলতি সপ্তাহে ঢাকা যে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে উঠেছে, সম্ভবত বছরের সেরা ব্যস্ততা যাচ্ছে শহরটির- সেকথা বলা দরকার। যানজট সত্যিই মানুষের জানে জট লাগানোর দশায় পৌঁছে গেছে। প্রতিটি বড় মার্কেটে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকছে লোকে লোকারণ্য। মহানগরীর প্রতীক লিফট! ঢাকা মহানগরীর প্রতীক কি? মানে যে-বিষয়টি দৃশ্যমান হলে ঢাকাকে শনাক্ত করা সহজ হয়। আগে যেমন ঢাকাকে বলা হতো মসজিদের শহর। এত মসজিদ দেশের আর কোথাও নেই। পৃথিবীতেই আছে কি? এরপর বলা শুরু হলো ঢাকা হলো রিক্সার শহর। তা বটে, রিক্সায় সয়লাব এই শহর। বৈধ-অবৈধ রিক্সার বাহুল্যে রাস্তা সব বেদখল। ধীরে ধীরে অবশ্য প্রধান প্রধান সড়ক থেকে রিক্সা তুলে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন রিক্সা চলে অপ্রধান সড়ক ও আবাসিক এলাকার অলিগলিতে। রিক্সার তুলনায় প্রাইভেট গাড়িও কি কম এই শহরে। তবু ঢাকাকে প্রাইভেট গাড়ির শহর বলা যাবে না। ছবিতে কংক্রিটের শাপলা ফুল দেখা গেলে বুঝি এটি আমাদের রাজধানী। আগে যেমন ডিআইটির ঘড়িঅলা ভবনটি ছবিতে ব্যবহৃত হলে বোঝা যেত ঢাকার দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। তবে ঢাকা যেভাবে পরিকল্পনা ছাড়া ফুলে ফেঁপে উঠেছে, তিন কাঠা-পাঁচ কাঠা- দশ কাঠা জমি পেলেই তর তর করে উঠে গেছে আকাশছোঁয়া সব ভবন। এমনকি খাল-ডোবা-পুকুর-জলাশয় ভরাট করেও বানানো হয়েছে স্কাইস্ক্র্যাপার, তাতে ঢাকার একটা বস্তুগত প্রতীক হতে পারে লিফট- বহুতল ভবনে প্রবেশের জন্য অতিদরকারি মাধ্যম। তা সে আবাসিক ভবন হোক, কিংবা হোক বাণিজ্যিক ভবন। ঢাকার হাজারে হাজার ভবনের সবগুলোতেই যে লিফট স্থাপন করা হয়েছে এমন নয়। ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় এখনও সাত তলা ভবন রয়েছে যেগুলোয় লিফট লাগানো হয়নি। সে যাক, ঘনবসতিপূর্ণ শহরের একটা প্রতীক হতে পারে এই লিফট। আমরা অহরহ যেটি ব্যবহার করি, কিন্তু তাতে আটকা না পড়লে আমাদের বোধোদয় ঘটে না। গত সপ্তাহে ঢাকার আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল লিফট দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারের জাহাঙ্গীর টাওয়ারের লিফটে আটকা পড়েছিলেন দুই প্রতিমন্ত্রী। এরপর ২৪ ঘণ্টা পেরোয়নি। এর আগেই শুক্রবার বিকেলে ছিঁড়ে পড়ল উত্তরার একটি বহুতল বিপণি বিতানের লিফট। লিফট দুর্ঘটনা ও আগুন লাগার ঘটনাটি এককথায় ভয়াবহ। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে সাতজনের আর আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক। আহত ব্যক্তিদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। লিফটের তার ছিঁড়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চ মাসে নিউমার্কেট এলাকায় একটি ভবনের লিফটের তার ছিঁড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের মে মাসে রাজধানীর ধানম-ির একটি ভবনের চারতলা থেকে নামার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে এক প্রাইভেট কারচালক প্রাণ হারান। দেখা যাচ্ছে দেশে একদিকে বহুতল ভবন নির্মাণ বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে লিফট দুর্ঘটনা। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রকৌশলীরা বলছেন, যাঁদের বাড়ির লিফট ১০-১৫ বছরের পুরনো, তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। লিফটের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। লিফট ছিঁড়ে পড়া খুব সহজ নয়। প্রতিটি লিফটে ৪ থেকে ১২টি পর্যন্ত মোটা ধাতব তার থাকে। লিফটের গায়ে যে ধারণক্ষমতা লেখা থাকে, তার চার গুণ ওজন তোলা হলেও লিফট ছিঁড়ে পড়ার কথা নয়। চারটি ধাতব তারের তিনটি ছিঁড়ে গেলেও শুধু একটি তার লিফটকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে। এছাড়া লিফটে ‘স্পিড গভর্নর’ আছে, তার ছিঁড়ে লিফট নিচের দিকে নামতে থাকলে স্পিড গভর্নর গতি নিয়ন্ত্রণ করে ও থামিয়ে দেয়। ধাতব তার ছিঁড়ে যাওয়ার বেশ আগেই আয়তনে লম্বা হয়ে যায়। তখন লিফট মেঝের সঙ্গে মিশে না গিয়ে ওপরে বা নিচে গিয়ে থামে। যেসব ভবনে নিয়মিত লিফট রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সেখানে এমন উপসর্গ দেখা গেলেই ভবন মালিকদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। তবে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, স্পিড গভর্নরের দাম লাখখানেক টাকা। অনেক অসচেতন মানুষ টাকা বাঁচাতে কখনও কখনও এই স্পিড গভর্নর লাগান না। সেখানেও বিপত্তি ঘটে। উত্তরায় লিফট দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকে অনেক প্রতিক্রিয়া এসেছে। একজনের প্রতিক্রিয়া তুলে দিচ্ছি তাতে জনতার অভিমত সম্পর্কে একটা ধারণা মিলবে। কর্তৃপক্ষও সজাগ হবে। অরাত্রিকা রোজী লিখেছেন : ইফতারের কিছুক্ষণ আগে উত্তরার ৩ নং সেক্টরে অবস্থিত ‘আলাউদ্দিন টাওয়ার’-এর লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায় এবং তাতে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এতে ১৫/২০ লিফট আরোহী মারাত্মকভাবে ঝলসে যায় ... এই সংবাদ শুনতে পাই, আমি কিচেন আইটেম কিনতে ৩ নং সেক্টরের ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস-এ গেলে ওখানকার লোকজন বলাবলি করছিল, তখন সংবাদটা পাই। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে... হতাহতদের উদ্ধারের জন্য ভোঁ বাজিয়ে যাচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স। এর আগেও এই ‘আলাউদ্দিন টাওয়ারে’ একাধিকবার আগুন লাগার ইতিহাস আছে। মাত্র একবারের জন্য পাওয়া জীবনটি বাঁচাতে, ঈদ উপলক্ষে বহুতল ভবনে কেনাকাটা করতে গেলে লিফট পরিহার করুন...কারণ, ব্যবসায়ী শুধু চেনে ‘টাকা’... ঈদের আগে লিফট মেইনটেনেন্স? কী দরকার? খালি খালি ট্যাকা নষ্ট! অতএব আপন জানের জন্য আপন সচেতনতার বিকল্প নেই! এই ক্ষেত্রে হতাহতদের বহুতল ভবন মালিক কর্তৃক মোটাদাগে আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য বাধ্য করা না গেলে, এই রকম অব্যবস্থাপনা ও অসতর্কতা এড়ানোর কোন পথ আছে বলে মনে হয় না। আমরা আসলে বারোয়ারি মেলায় যে জোকারটি সরু দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে যায়, ঠিক সেই মতো বিপুল ক্যারিশম্যাটিক পদ্ধতিতে দেশময় হেঁটে বেড়াচ্ছি অগাধ নৈপুণ্য নিয়ে! ...একটু অসতর্ক হয়েছি তো... ধুম ধুম... ধুমাস... একেবারে প্রপাত ধরণী তল! রেস্তরাঁয় সেহরি সময় বদলেছে। ঢাকার ভোজন রসিক এবং অভিনবত্ব সন্ধানী সচ্ছল মানুষ আজকাল মধ্যরাতে সেহরি খাওয়ার জন্য নামী-দামী হোটেল-রেস্টুরেন্টের উদ্দেশে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। কেউ কিছু একটা শুরু করলে ঢাকায় তা ফ্যাশনে পরিণত হতেও খুব একটা সময় লাগে না। ফেসবুক সংস্কৃতির কল্যাণে এই হুজুগ বাড়তেও বিশেষ দেরি হয় না। অবশ্য শখের বশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরাও রেস্তরাঁর সেহরি চাখায় শামিল হচ্ছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট-মেডিক্যালের ছাত্রাবাসগুলোয় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রোজা রাখেন সেহরির সময়ে তাদের খাবারের একটা সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। সাধারণত ছাত্রাবাসের ভেতর কিংবা ছাত্রাবাস সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট ছাত্রদের প্রয়োজনের দিকটি বিবেচনা করে সেহরির বন্দোবস্ত করে থাকে। সে কথা আলাদা। এখন রেস্তরাঁর সামনে ঝুলন্ত ব্যানারে থাকে সেহরির বিজ্ঞাপন। প্রতি মধ্যরাতে ৬০ থেকে ১০০ লোক আসছেন একেকটি নামী রেস্তরাঁয়। রাতে ঢাকা শহরের ভিন্নরূপ, যানজটমুক্ত পরিবেশ। এ সময় সেহরি করতে বের হওয়াটা অনেকের কাছে রোমাঞ্চকরও বটে। ঈদযাত্রায় সহযোগী রমজান মাসের মাঝামাঝি ভিড় কি কেবল শপিং মল আর মার্কেটেই থাকে? আরেকটা জায়গায় থাকে বিরাট ভিড়। ভুক্তভোগী পাঠক এরই মধ্যে সঠিকভাবে বিষয়টা অনুমান করতে পেরেছেন। জ্বি, সেটা হলো ঈদে ঘরে ফেরার জন্য বাস, ট্রেন ও লঞ্চের কাউন্টারের সামনে ভিড়। বিশেষ করে বাসের টিকেটের জন্য বিক্রির প্রথম দিন লোকে সেহরি খেয়েই চলে যান বিভিন্ন বাস সার্ভিসের কাউন্টারে। লম্বা লাইন দিতে হয়। এবার গাবতলী-কল্যাণপুরে বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার খোলার আগেই ভোর রাতে লাইনে দাঁড়িয়ে যান টিকেটপ্রার্থীরা। সবার ভাগ্যে তারপরও শিকে ছেড়ে না। বিফল হয়ে টিকেট ছাড়াই বাসায় ফিরতে হয়। আর যারা টিকেট কিনতে সমর্থ হন, তাদের ঈদ শুরু হয়ে যায় হাতে টিকেট পাওয়ার পরপরই। মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে দেশের বাড়ি যেতে চাইবেন ঈদের আগেই, পরে নয়। সেজন্য ছুটির দিনগুলোও থাকে নির্ধারিত। তাই ঈদের দু-তিন দিন আগে থেকে চানরাত পর্যন্ত টিকেট পেতে চান সবাই। চাঁদ দেখা যাওয়ার আগে সুনির্দিষ্টভাবে ঈদ কবে হবে সেটা বলা যায় না। তবে মানুষ সাধারণত ২৯ রোজার পরদিনই ঈদ হওয়ার সম্ভাবনার কথাটি মাথায় রেখে সে হিসেবেই টিকেট কিনতে চান। বাস্তবতা হলো বহু মানুষ তার চাওয়া মতো টিকেট পান না। ফলে অনেকেরই ঈদে ঘরে ফেরা হয় না। অনেকে আবার ঈদের পরদিন রওনা দেন। অবশ্য এখন রাজধানীবাসী তাদের অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আগেভাগেই একটা পরিকল্পনার ছক আঁকেন। অনেকে ঈদের আগে বা পরে কিংবা বছরের অন্য কোন সুবিধাজনক সময়ে দেশের বাড়ি যান। যদিও সাধারণ বিচারে রোজার ঈদেই ঢাকার মানুষ বেশি যেতে চান দেশে। দেশের বাড়িতে অবস্থানরত বাবা-মায়ের কাছে তাদের একাধিক সন্তানদের সবার একটি ইচ্ছা থাকে এই ঈদেই সবাই মিলিত হওয়ার। ঢাকায় এখন এমন বহু পরিবার আছেন যারা বাবা-মাকেই ঢাকায় নিয়ে আসেন ঈদের সময়। ফলে ঢাকায় অবস্থানকারী সন্তান-সন্ততিরা তাদের সঙ্গে ঈদ করতে পারেন। আবার ঈদের ভিড়ের ভেতর ঢাকা ছাড়ার বাড়তি বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয় না। ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার বিষয়টিও রয়েছে। বুদ্ধিমানরা তাই আগে ভাগেই আত্মীয়দের মাধ্যমে ফেরার টিকেট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নেন। কিন্তু আমার ভাবনা তাদের নিয়ে যারা টিকেট না পেয়ে ভেঙে ভেঙে লোকাল বাসে চেপে, হেঁটে রিকশায় ভ্যানে করে কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছান ঈদের আগে-আগে। আবার অনেকের বাড়ি যাওয়ার সাধ পূর্ণ হয় না। কাগজে এমন ছবিও ছাপা হয়েছে গবাদিপশু বহনকারী ট্রাকে চেপে মানুষ ঈদে বাড়ি যাচ্ছে। কী দুর্ভাগ্য! শুধু যানবাহনের অভাবে আজকের এই যুগে মানুষ তিন শ’ চারশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন না! এজন্যে কী বিকল্প ব্যবস্থা গৃহীত হতে পারে? সরকারকেই এর সুরাহা করতে হবেÑ এমন কথা খুব সহজেই বলে ফেলা সম্ভব। ঈদ উপলক্ষেও কি সব দায় সরকারের ওপরে চাপিয়ে দেব? আমরাও কিছু করতে পারি মানবতার স্বার্থে। আমাদের বিত্তবানদের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই? বিল গেটস, ডেভিড রকফেলারদের মতো বিশ্বের ৬ সেরা ধনীর অর্ধেক বিত্তই এখন দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। দানশীলতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা সামাজিক সংগঠনগুলো কেন এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে না? এমন তো হতে পারে মহানগর আওয়ামী লীগ বা যুবদল ঘোষণা দিল রাজধানীর এক হাজার মানুষের বাড়ি ফেরার জন্য যানবাহনের দায়িত্ব তারা নেবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বা এ ধরনের কোন জোট বা সাংস্কৃতিক সংগঠন ঘোষণা দিল দু’পাঁচ শ’ করে লোকের ঈদযাত্রার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা তারা করবে। ভাবতেই পারি, এক শ’ গাড়ির মালিক মাত্র দু’দিনের জন্য একখানা গাড়ি ড্রাইভারসহ দিয়ে দিল কোন ওয়ার্ড কমিশনারকে। তিনি তার এলাকার টিকেটবঞ্চিত ঘরমুখো মানুষের একটা তালিকা করলেন। বিনে পয়সায় নয়, তারা ন্যায্য ভাড়াই নিক, ক্ষতি কী। তবু ঈদে দেশের বাড়িতে যাওয়া নিশ্চিত হোক। ২৬ জুন ২০১৬ [email protected]
×