ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা স্থগিতে খালেদার লিভ টু আপীল

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ২৭ জুন ২০১৬

কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা স্থগিতে খালেদার লিভ টু আপীল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপীল করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। রবিবার আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এই আপীল দায়ের করেন। এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট বিচারপতি মোঃ নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে রায় দেন। গত ২৫ মে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের নয় মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনী হবে না জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় অভিযোগপত্রে। খালেদা মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেয়া হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশ আপীল বিভাগেও বহাল থাকায় আটকে যায় বিচার। সাত বছর পর গত বছরের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাইকোর্টের দেয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয়। এই দুর্নীতি মামলা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা দুটি আবেদন আপীল বিভাগে খারিজ হয়ে গেছে। এই দুই জামায়াত নেতাই সে সময় খালেদা সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
×