ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান অসুস্থ, তিন মাস হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৭ জুন ২০১৬

জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান অসুস্থ, তিন মাস হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশের শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান। তিনি কোমর ব্যথা, হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। গত তিন মাস ধরে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বছর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডাঃ এম আর খানকে যে ক’জন চিকিৎসক দেখছেন, তাদের একজন হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি রবিবার জনকণ্ঠকে জানান, গত কয়েক মাসে দেশে বিদেশে অধ্যাপক ডাঃ এম আর খানকে তিনবার অপারেশন করা হয়েছে। তার প্রভাব রয়ে গেছে শরীরে । পাশাপাশি রয়েছে হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা। সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের সহকারী পরিচালক ডাঃ আতিয়া বেগম জনকণ্ঠকে জানান, হাসপাতালের ৭১১ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান। সিঙ্গাপুরে অপারেশন করানোর পর তার কোমর ব্যথা অনেকটাই লাঘব হয়েছে। তিনি দুর্বলবোধ করছেন এবং বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যায় ভুগছেন বলে জানান ডাঃ আতিয়া। এক নামেই তিনি পরিচিত ডাক্তার এম আর খান। তিনি দেশের জাতীয় অধ্যাপক, বাংলাদেশের শিশু চিকিৎসার জনক হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত। তিনি নিজেই একটি ইতিহাস, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি এ দেশের শিশুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের পথিকৃৎ। তিনি গড়ে তুলেছেন একের পর এক চিকিৎসা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। পেনশনের টাকা দিয়ে গড়েন ডাঃ এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে জাতীয় পর্যায়ের শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয়, উত্তরা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা নার্সিং হোমসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া তিনি দেশ থেকে পোলিও দূর করতে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন, কাজ করেছেন ধূমপানবিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠান ‘আধূনিক’-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ম্যানিলা এ্যাওয়ার্ড, একুশে পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার।
×