ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপা জয়ের প্রত্যাশায় কোচ কোটান-টিটু

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৭ জুন ২০১৬

শিরোপা জয়ের প্রত্যাশায় কোচ কোটান-টিটু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দু’জনের মধ্যে প্রচুর মিল। দু’জনেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। দু’জনেই জিতেছেন ফেডারেশন কাপের শিরোপা। দু’জনেই সেটা জিতেছেন এক বার করে! বলা হচ্ছে জর্জ কোটান এবং সাইফুল বারী টিটুর কথা। একজন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের কোচ। অন্যজন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। দু’জনেই আজ ডাগআউটে দাঁড়াবেন শিরোপাজয়ের অভিলাষে। দ্বিতীয় সাফল্যের সন্ধানে। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের জমজমাট ফাইনালে আজ মুখোমুখি হচ্ছে আবাহনী-আরামবাগ। কে জিতবেবন বিজয়ীর হাসি? কে হবেন গর্বিত কোচ? ‘ভালো কিছু করার প্রচেষ্টা ছিল খেলোয়াড়দের মধ্যে। ফাইনালে এসে জেতার জন্যই খেলতে চাই। দলের গুরুত্বপূর্ণ দু’জন খেলোয়াড় এখনও অনুশীলন করেনি চোট সমস্যার কারণে। দেখা যাক, আজ কি হয়।’ কথাগুলো সাইফুল বারী টিটুর। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবলে চমক জাগানিয়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের এই কোচ আরও বলেন, ‘ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পাইনি। টুর্নামেন্টে যেভাবে শুরু করতে চেয়েছি, সেভাবেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। মাঝে আমি জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও কোচিং স্টাফ যারা ছিলেন, তারাই দলটাকে ঠিকঠাক প্রস্তুত করেছে।’ এই আসরে আরামবাগ ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে তাদের অসাধারণ লড়াকু স্টাইলের জন্য। শেখ জামাল এবং বিজেএমসির সঙ্গে খেলায় তারা পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে মাঠ ছেড়েছে। এ প্রসঙ্গে টিটু বলেন, ‘এ আসরে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা লড়াই করে খেলেছি। ফাইনালকে সামনে রেখে আমাদের মোটিভেশন ভালো আছে। তবে মান অনুযায়ী আবাহনীই এ মৌসুমের অন্যতম সেরা দল। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা খেলব। আমার স্ট্র্যাটেজি হবে আমার খেলোয়াড়ের এ্যাবিলিটি ও কোয়ালিটি অনুযায়ী হবে এবং আমরা সে অনুযায়ী খেলব। তবে কোন আসরের ফাইনাল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের কম। তবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আমরাই জিতব।’ আবাহনীর আক্রমণভাগের প্রশংসা করেন টিটু। বিশেষ করে তাদের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডেকে বিপজ্জনক মনে মনে করেন তিনি, ‘ওর মতো খেলোয়াড়কে স্পেস দিলে খুব বিপদ।’ শিরোপা জিততে চাইলেও নিজেদের দলকে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই ভাবতে পছন্দ করছেন টিটু! ২০১১ সালে ফেডারেশন কাপে শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের কোচ ছিলেন টিটু। তারও আগে ২০০৩ আসরে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে কোচ হিসেবে শিরোপাজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন অস্ট্রিয়ান কোচ কোটান। তিনি বলেন, ‘এ আসরে প্রথম ম্যাচে আরামবাগের কাছে হারলেও ৩-৪ টা গোল পাবার মতো শতভাগ সুযোগ ছিল। কিন্তু ছেলেরা পারেনি। তাই বলে তারা একটুও মানসিকভাবে পিছিয়ে নেই। বরং তারা আমাকে জানিয়েছে আমরা বদলা নিতে প্রস্তুত। আবাহনীর মতো দল ৪-৫ গোলে জেতার সামর্থ্য রাখে। আরামবাগের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য তারা রক্ষণাত্মক খেলে। আর আমরা আক্রমণাত্মক খেলি।’ আবাহনীর অধিনায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আরামবাগ ফাইনাল খেলছে, অবশ্যই তারা ভালো দল। তবে জেতার জন্যই কাল (আজ) খেলব আমার।’ আরামবাগের অধিনায়ক মিতুল হাসান বলেন, সামনে ফাইনাল। গত কয়েক মাস আমরা কোচ টিটু ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে যে ফল পেয়েছি, সেটাই বড় পাওনা। কোচ আমাদের সবসময় বলেন মেন্টালি চাঙ্গা থাকতে। কর্মকর্তারাও আমাদেরকে সব সময় উৎসাহিত করেছেন।’ আজকের ফাইনাল খেলায় ভিআইপি টিকেটের মূল্য ৪০ এবং গ্যালারি ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
×