ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নোয়াখালীতে আমানত না পেয়ে ইন্স্যুরেন্স অফিস ঘেরাও

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৭ জুন ২০১৬

নোয়াখালীতে আমানত না পেয়ে ইন্স্যুরেন্স অফিস ঘেরাও

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ২৬ জুন ॥ নোয়াখালীতে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ক্ষুদ্র বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও আমানতসহ লভ্যাংশ না পেয়ে জেলার আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করেছে গ্রাহকরা। রবিবার বেলা ১১টার দিকে শতাধিক গ্রাহক প্রথমে জেলার দত্তেরহাটে অবস্থিত কোম্পানির কার্যালয় ঘেরাও করে পরে তারা প্রধান সড়ক অবরোধ করে। আফরোজা বেগম নামে এক গ্রাহক বলেন, তিনি ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ১০ বছর মেয়াদী প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ডিপিএস করেন। ২০১৪ সালের নবেম্বর মাসে ডিপিএসটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। তিনি আমানত ও লভ্যাংশসহ প্রায় ৪৮ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী সকল কাগজপত্র জমাও দিয়েছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আরও দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার আমানত ও লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানি। নিজবাড়ি থেকে দত্তেরহাট অফিস পর্যন্ত প্রায় ৫০ বারের মতো তিনি এসেছেন। অনেক টাকা যাতায়াতে খরচ হয়েছে। কিন্তু লভ্যাংশ তো দূরের কথা আমানতের টাকাও পাচ্ছে না। এখন কী করার আছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। শুধু আফরোজা বেগম নয় একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন গীতা রানী শীল, সুরমা বেগম, জাহানারা বেগম, কাজল রানীসহ অর্ধশত নারী। এছাড়া সময়মতো কোম্পানি গ্রাহকদের আমানত ও লভ্যাংশের টাকা না দেয়ায় সীমাহীন দুরবস্থায় রয়েছেন মাঠপর্যায়ের নারী কর্মীরা। কোম্পানির কর্মী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর গ্রামের শিরিন আক্তার বলেন, ওই এলাকায় তার মাধ্যমে শতাধিক গ্রাহক ডিপিএস করেছেন। ২০১৪ সালের দিকে এসব ডিপিএসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা এখনও পর্যন্ত তাদের আমানত ও লভ্যাংশের টাকা পাচ্ছেন না। এতে গ্রাহকরা প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমান এবং তার সঙ্গে অসদাচরণ করছেন। সম্প্রতি গ্রাহকরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান তার বাড়িঘর বিক্রি করে হলেও গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহকের পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ বাসন্তী রায় বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্রাহকদের কাগজপত্র তারা ঢাকা পাঠিয়েছেন। এক থেকে দেড় হাজার গ্রাহকের আমানত ও লভ্যাংশ দিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি গ্রাহকদের টাকা কেন দিচ্ছে না কোম্পানি তা তিনিও বুঝে উঠতে পারছেন না।
×