ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটা হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৭ জুন ২০১৬

কুয়াকাটা হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসা বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৬ জুন ॥ টানা ছয় দিন ধরে কুয়াকাটার ২৫ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে তা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মান্নানও জানাতে পারেননি। ফলে প্রতিদিন কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে যথাযথ চিকিৎসাসেবা ছাড়াই ফিরে যাচ্ছে। একমাত্র চিকিৎসক কামরুজ্জামান ছুটিতে থাকায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার এমন বেহাল দশা হয়েছে। জানা গেছে, ২০ জুন থেকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে এক অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কামরুজ্জামানকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ওই ডাক্তার রোগীর বাবা জাকির ফকিরের বিরুদ্ধে মহীপুর থানায় মামলা করেই ছুটিতে চলে যায়। তখন থেকেই হাসপাতালে জরুরী বিভাগসহ ইনডোর ও আউটডোরের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসাসেবা চালু রাখতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী (সেকমো) সালমা বেগমকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন তাকে দিয়ে জোড়াতালি দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। তিনি জানান, কোনমতে আউটডোর সামাল দিচ্ছি। হাসপাতালের ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট অসীম চন্দ্র মালী জানান, হাসপাতালে ডাক্তার নেই। ছুটিতে থাকায় এবং কোন কর্মচারী না থাকায় সব বিভাগ বন্ধ। টানা ছয় দিন প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে ধুলা-বালি, ময়লা-আবর্জনা, অপরিষ্কার। প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলছে। চিকিৎসা নিতে আসা ছালেহা বেগম জানান, চিকিৎসা তো দূরের কথা, কোন ডাক্তারই নেই। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চিকিৎসায় প্রাথমিক ভরসা এ হাসপাতালটি। অথচ ছয়টি দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। একজন চিকিৎসক পদায়ন করা হয়নি। তারা জানান, হাসপাতাল বন্ধ রেখে কর্মচারী-ডাক্তারদের গণছুটি কিংবা বদলির এমন নজির তারা আগে কখনও দেখেননি। পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া জনকণ্ঠকে জানান, রোগীর স্বজনদের হাতে এক ডাক্তার লাঞ্ছিতের ঘটনায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা যাবে না। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
×