ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুইজারল্যান্ডের হুমকি পোল্যান্ডের লেভানডোস্কি

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৫ জুন ২০১৬

সুইজারল্যান্ডের হুমকি পোল্যান্ডের লেভানডোস্কি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবারই প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর টিকেট কাটে পোল্যান্ড। ‘সি’ গ্রুপ থেকে ২ জয় আর ১ ড্রয়ের সৌজন্যে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রানারআপ হয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেয় তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার পথে আজ শক্তিশালী সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে পোল্যান্ড। সাঁতে ইচেনাতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুইজারল্যান্ডও রানারআপ হয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়। গ্রুপ পর্বে ১টিতে জয় আর বাকি দুই ম্যাচে ড্র করে তারা। শক্তিমত্তার বিচারে দুই দলই সমান। গ্রুপ পর্বেও প্রমাণ মিলেছে তার। গ্রুপ পর্বের কোন ম্যাচেই হারেনি এই দুই দল। তবে সুইসদের ভয় ইউরোর বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলা রবার্ট লেভানডোস্কিকে। সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান সোমার নিজের মুখেই স্বীকার করলেন তা। ম্যাচের আগে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে নিশ্চিতভাবেই তারা বেশ কঠিন। আমরা সবাই লেভানডোস্কিকে বেয়ার্ন মিউনিখ থেকে চিনি।’ পোল্যান্ডের সেরা স্ট্রাইকার লেভানডোস্কি। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে কোন গোলের দেখা পাননি তিনি। তবে বেয়ার্ন মিউনিখের এই পোলিশ তারকা নিজের জাত ছিনিয়েছেন ইউরোর বাছাইপর্বেই। ১৩ গোল করে বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতার তকমাটাও মাখিয়ে নেন তার গায়ে। তাই গ্রুপপর্বে গোলের দেখা না পেলেও যে কোন সময়ই জ্বলে উঠতে পারেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের হফেনহেইম ডিফেন্ডার ফ্যাবিয়ান শায়ের তাই বেশ সতর্ক। তার মতে, ‘লেভানডোস্কি বড় মাপের খেলোয়াড়। কিন্তু তাদের দলের অন্য খেলোয়াড়রাও ইউরোপের সেরা সেরা লীগে খেলেন। আমরা তাদের অবশ্যই সমীহ করি তবে ভয় পাই না।’ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে পোল্যান্ড অনেক এগিয়ে। ১০ বারের মোকাবেলায় ৪টিতে জয় পেয়েছে পোল্যান্ড। বাকি ৫ ম্যাচে ড্র এবং একটিতে হার। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেন তারা। তাও আবার ১৯৮০ সালে ইউরোর বাছাইপর্বে। সেবার পোলিশরা ২-০ গোলে হারিয়েছিল সুইজারল্যান্ডকে। ২০১৪ সালে সর্বশেষ মোকাবেলায় ২-২ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। ফ্যাবিয়ান শায়ের সেই ম্যাচকে স্মরণ করে বলেন, ‘পোল্যান্ড জার্মানির মতো বড় দল না হতে পারে তবে তারা যে কতটা শক্তিশালী ২০১৪ সালের নবেম্বরে ২-২ গোলে ড্র ম্যাচেই প্রমাণ করেছিল।’ তবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডও ছেড়ে কথা বলবে না। এখন পর্যন্ত না হারা সুইজারল্যান্ড গ্রুপপর্বে স্বাগতিক ফ্রান্সকেও রুখে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, পোল্যান্ডের চেয়ে সুইজারল্যান্ড দুই দিন বেশি বিশ্রামও পেয়েছে। তাই তাদের হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না লেভানডোস্কিও। এ প্রসঙ্গে বেয়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা বলেন, ‘দল হিসেবে সুইসরা খুবই ভাল। ইউরোপের সেরা দলগুলোর একটি এমনকি ফেবারিট হিসেবেই এবার খেলতে নামে তারা। তবে অন্য দলগুলোর মতো তাদেরও কিছু দুর্বল দিক আছে। আশাকরি তাদের বিপক্ষে সেই দুর্বল দিকগুলোই আমাদের এগিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। তবে আমি মনে করি এখানে চারদিন পাওয়া বিশ্রামই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এটা যে খুব বেশি পার্থক্য গড়ে দিবে আমার তা মনে হয় না।’ এদিকে পরের ম্যাচে প্যারিসে মাঠে নামছে দুর্দান্ত ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড। ২ জয় আর ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডকে টপকে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ ষোলোর টিকেট কাটে ওয়েলস। আর উত্তর আয়ারল্যান্ড গ্রুপের তৃতীয় স্থানের দল হিসেবে অনেকটা সৌভাগ্যক্রমেই শেষ ষোলোতে জায়গা পায়। ‘সি’ গ্রুপে মাত্র ১ ম্যাচে জয় পায় তারা। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর এবারই ফুটবলের বড় মঞ্চে খেলছে ওয়েলস। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ওয়েলসের গ্যারেথ বেল। গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচের সবকটিতেই গোল করেছেন তিনি। যে কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিট বেল-রামসির ওয়েলস। এই ম্যাচে জিতলেই ৫৮ বছর পর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার নতুন ইতিহাস গড়বে তারা।
×