ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেকহ্যামকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় রুনি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৫ জুন ২০১৬

বেকহ্যামকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় রুনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এবার ফেবারিট হিসেবে খেলতে নামে ইংল্যান্ড। কিন্তু গ্রুপপর্বে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি তারা। তিন ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। আর বাফক দুই ম্যাচ ড্র করে থ্রি লায়ন্সরা। নক-আউটপর্বে সোমবার খর্বশক্তির দল আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। আর এই ম্যাচ দিয়েই নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করবেন দলের সেরা তারকা ওয়েইন রুনি। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৫ ম্যাচ খেলা ডেভিড বেকহ্যামের রেকর্ডে ভাগ বসাবেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ খেলোয়াড়ের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন পিটার শিলটন। আর তারপরই অবস্থান ডেভিড বেকহ্যামের। ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ কিংবদন্তি ১১৫ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ১৭ বার বল জড়ান। আর ২০০৩ সাল থেকে খেলে আসা রুনি ১১৪ ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যেই ৫২ বার বল জড়ান প্রতিপক্ষের জালে। সেইসঙ্গে দেশটির সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটিও দখল করে নেন তিনি। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে কিংবদন্তি বেকহ্যামকে স্পর্শ করবেন রুনি। তার আগে দারুণ রোমাঞ্চিত রুনি। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, এবার দলে অনেকেই ম্যাচজয়ের ভূমিকা রাখছেন। এ প্রসঙ্গে রুনি বলেন, ‘বড় বড় টুর্নামেন্টের আগে সবসময়ই আমি ভাবতাম এবার যদি ভাল পারফর্ম করতে না পারি তাহলে আমরা জিততে পারব না। তবে এই টুর্নামেন্টে আসলাম আমার অনেক সতীর্থদের নিয়েই যাদের অনেকেই জাদুকরী কিছু করার যোগ্যতা রাখে। আমাদের দলে এখন অনেক ম্যাচজয়ী আছেন। এই মুহূর্তে পাঁচ থেকে ছয়জন ম্যাচজয়ী খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদের সবসময় এরকমটা ছিল না।’ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব ইংল্যান্ড ফুটবল দলের মধ্যে পড়বে না বলে মনে করেন আইসল্যান্ড দলের কোচ লার্স লাগেরব্যাক। আগামী বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক গণভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছে বৃটেনের জনগণ। যা সংক্ষেপে বেক্সিট নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এর ফলে আর্থিক এবং রাজনৈতিক সবকিছুতেই একলা চল নীতির পক্ষে সম্মতি দিল যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা। নকআউট পর্বের ম্যাচ উপলক্ষে এ্যালিয়াঞ্জ রিভিয়েরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইসল্যান্ডের এক সাংবাদিকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইসল্যান্ড কোচ এ মত দেন। শেষ আটে জায়গা করে নিতে আইসল্যান্ড দলেরও আরেকটি বেক্সিট প্রয়োজন বলে ওই সাংবাদিকের মন্তব্যের জবাবে কোচ বলেন, ‘আমরা সবসময় এমন প্রত্যাশা করতেই পারি। এটি একটি ভাল পন্থা। তবে জানি না বেক্সিট ভাল হবে নাকি খারাপ হবে। এ বিষয়ে অবশ্য আমি কোন মন্তব্যও করতে চাই না।’ ১৯৬৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর আর কখনই শিরোপার দেখা পায়নি তারা। তবে বড় বড় টুর্নামেন্টে সবসময়ই ফেবারিট হিসেবে খেলতে নামে থ্রি লায়ন্সরা। কিন্তু মূলমঞ্চ থেকে হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় তাদের। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপেও এমন চিত্রনাট্য দেখে ফুটবল বিশ্ব। তবে ফ্রান্সে চলমান ইউরোতে কতদূর এগুবে ইংল্যান্ড? ফুটবলপ্রেমীদের সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
×