ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বোল্টকে দেখার জন্য অপেক্ষায় নেইমার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৫ জুন ২০১৬

বোল্টকে দেখার জন্য অপেক্ষায় নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ৬৪ বছর পর ২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বড় কোন ক্রীড়া আসর বসেছিল ব্রাজিলে। এবার আরেকটি বিরাট ক্রীড়াযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগস্টে শুরু হবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ হিসেবে বিবেচিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। আর সেখানে দেখা যাবে বিশ্বের নামীদামী এবং কিংবদন্তি কিছু এ্যাথলেটকে। এর মধ্যে সর্বকালের সবচেয়ে গতিধর মানব উসাইন বোল্টও থাকবেন সারাবিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের দৃষ্টির কেন্দ্রে। ব্রাজিল ফুটবল দলের সুপারস্টার নেইমারও এবার অলিম্পিকে খেলবেন। তাই দারুণ সুযোগ অলিম্পিক ভিলেজে বোল্টের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার। নেইমার জানিয়েছেন বোল্টের দেখা পেতে এবং তার নৈপুণ্য দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি। কারণ বোল্টের বড় ভক্ত ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। দুই ভুবনের দুই তারকা। নেইমার ফুটবলে এখনও বিশ্বজয় করতে পারেননি, কিন্তু কোটি কোটি ভক্ত আর অনুরাগী ঠিকই ছড়িয়ে আছে প্রতিটি প্রান্তে। আর বোল্ট ইতোমধ্যেই হয়ে গেছেন কিংবদন্তি। গত দুই অলিম্পিক আসরেই তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। আছে ১০০ মিটারে ৯.৫৮ সেকেন্ড টাইমিং। আজ পর্যন্ত স্প্রিন্ট ইতিহাসে যা কেউ করে দেখাতে পারেননি। আরেকটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে নিজের গড়া ইতিহাসটাকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ জ্যামাইকান ‘বিদ্যুৎ’ বোল্টের। আর সেটা সরাসরি দেখার জন্য তর সইছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সুপারস্টার নেইমারের। তিনি বলেন, ‘আমি উসাইন বোল্টকে এ্যাকশনে দেখার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আমি তার অনেক বড় ভক্ত।’ বিশ্ব ফুটবলের সব বড় মাপের আন্তর্জাতিক শিরোপাই জিতেছে। বাকি আছে শুধু অলিম্পিক স্বর্ণ জয়। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে দুর্দান্ত একটি দল ছিল ব্রাজিলের। সেবার থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে খেলেছিলেন নেইমারও। কিন্তু স্বর্ণ জেতা হয়নি। এবার ঘরের মাটিতে অলিম্পিক স্বর্ণের খরা কাটাতে মরিয়া ব্রাজিল। সে কারণে এবার লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ খ্যাত ‘কোপা আমেরিকা’ আসরে নেইমারকে না খেলিয়ে অলিম্পক দলে রেখেছে। তবে নেইমার শুধু ফুটবলেরই না অন্য বেশ কয়েকটি ইভেন্টে ব্রাজিলের সাফল্য কামনা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই ব্রাজিল ভলিবল, বাস্কেটবলেও দারুণ সাফল্য পাক। আমি দেখতে চাই আমাদের সাঁতারু ও জুডোকাসরা যেন ব্রাজিলের মানুষের জন্য এমন কিছু করে যেটা অলিম্পিক ভিলেজের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়। লন্ডন অলিম্পিকে আমরা অন্য এ্যাথলেটদের সঙ্গে ছিলাম না, কিন্তু এবার থাকব। তাই এবারে ভিন্নতর কিছু অনুভূতি কাজ করছে। তবে লন্ডন ছিল আমার প্রথম অলিম্পিক গেমস এবং সেটার স্মৃতি সত্যিই বিশেষ ধরনের। আমি জীবনের বাকিটা সময় ধরেই ওই স্মৃতিটা ভুলতে পারব না। কিন্তু আমরা সবাই যে স্বপ্নে বিভোর সেই ফুটবলে যদি এবার স্বর্ণ জিততে পারি সেক্ষেত্রে বলা যাবে যে আমাদের সময় এসে গেছে।’
×