ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন ॥ আতঙ্কে পদ্মপুকুরের ৩০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৫ জুন ২০১৬

বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন ॥  আতঙ্কে পদ্মপুকুরের  ৩০ হাজার মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই আতঙ্কে কাটে দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর ইউনিয়নবাসীর। কপোতাক্ষ আর খোল পেটুয়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বেশিরভাগ বেড়িবাঁধ এখন জীর্ণ। ২৫ ফুট বাঁধের অবশিষ্ট আছে এক হাত থেকে দুই হাত। বর্ষা মৌসুমে প্রবল পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে পুরো ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম। আর এমনই আতঙ্কে রাতে ঘুম হয় না পাঁচবার নদীতে ভেসে যাওয়া পদ্মপুকুরের বৃদ্ধ দেবেন্দ্র নাথ ম-লের। তার আশঙ্কা এবার ভাঙলে আর যাওয়ার জায়গা থাকবে না। ২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্কারী জলোচ্ছ্বাস আইলায় ল-ভ- হয়ে যায় গোটা উপকূলীয় এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উপকূলীয় এবং কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ৩৪ কিলোমিটার বাঁধ বেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর। পরে কোন মতে বাঁধ সংস্কার করা হলেও টেকসই হয়নি। প্রায়ই ভাঙনের কবলে পড়ে জীর্ণ বাঁধ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইউনিয়নের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন। নদী ভাঙ্গন চলছে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাপা, কামালকাটি, চাউলখোলা, চন্ডিপুর, বন্যতলা, পাতাখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে। এসব এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে কোথাও দুই ফুট, কোথাও বা তিন ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। জোয়ারের পানির চাপে যে কোন সময় ভেঙ্গে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কায় রয়েছে। ঝাপা গ্রামের উত্তর কুমার ম-ল জানান, আইলার পর পার হলেও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে আজও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বেড়িবাঁধ ভাঙলেই যেনতেনভাবে সংস্কার করা হয়। কিন্তু তার আগেই নষ্ট হয়ে যায় সব খাদ্যশস্য, মৎস্য সম্পদসহ ঘরবাড়ি। কামালকাটি গ্রামের শিক্ষক অসীম কুমার ম-ল জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙলে ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সব ভেসে যায়। নষ্ট হয়ে যায় সব অবকাঠামো। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ ন ম গোলাম সারওয়ার জানান, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পোল্ডার ৭/১ এর আওতাভুক্ত। সেখানকার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বর্তমান অবস্থা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বাজেটের স্বল্পতা রয়েছে। বাজেট পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
×