মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স/ডিপ্লোমা (প্রফেশনাল) ডিগ্রীর কোর্সসমূহের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবেদন পূরণে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভর্তিচ্ছুরা দফায় দফায় চেষ্টা করেও ফরম পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগ করছেন গত দু’মাস ধরে। বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিভাগকে অবগত করলেও সফটওয়্যারের কোন পরিবর্তন হয়নি দীর্ঘ দুই মাসেও। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের মাস্টার্স (প্রফেশনাল) ভর্তি কার্যক্রমে ৯টি কোর্সে অনলাইনে ভর্তির আবেদন সংগ্রহ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে গত ১২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত। অনলাইনে পূরণকৃত ফরমের প্রিন্ট কপি ২৮ মে’র মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ১২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত অনলাইনে এসব কোর্সের আবেদন পূরণের নির্ধারিত সময় দিলেও তা আবার বর্ধিত করে। এক্ষেত্রে ২৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তি আবেদন করার সময়সীমা দেয়া হয়। ২৫ জুনের মধ্যে ৩শ’ টাকা আবেদন ফিসহ প্রাথমিক আবেদনের প্রিন্ট কপি স্বাক্ষরসহকারে সংশ্লিষ্ট সেন্টারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মাস্টার্স (প্রফেশনাল) ভর্তি নির্দেশিকা ২০১৬ অনুযায়ী এসব কোর্সের জন্য চলমান শিক্ষাবর্ষ প্রযোজ্য হওয়ার কথা রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, চলমান শিক্ষাবর্ষ বলতে কর্তৃপক্ষ ২০১৬-১৭ তথা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষকে নির্দেশ করেছে, নাকি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্নাতক ডিগ্রীর শিক্ষাবর্ষকে উল্লেখ করেছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এ ভর্তি ফরম পূরণ নিয়ে সফটওয়্যারে নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিভাগে যোগাযোগের জন্য যেসব নম্বর দেয়া হয়েছে সেগুলো কেউ রিসিভ করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মোবাইল ফোন (০১৯৫৫০৭০২৯৭) থেকে অটোমেটিক মেসেজ দিয়ে বলা হচ্ছে ‘আই এ্যাম কারেন্টলি নট এ্যাভেলেবেল টু রিসিভ এ্যানি কল। প্লিজ ট্রাই টু কল লেটার’। এ মোবাইলটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ভর্তি বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের। এ মোবাইলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত যখনই কল করা হয় তখনই ওই মেসেজটি মোবাইলে এসে নিরাশ করে দেয় ভর্তিচ্ছুদের। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা ফয়জুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত মোবাইল নম্বরগুলো কেন রিসিভ করছেন না সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে তিনি দুটি টিএ্যান্ডটি ফোনের নম্বর (৯২৯১০৬৮ ও ৯২৯১০৭০)-এ যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে দেখা গেছে টিএ্যান্ডটির প্রথম নম্বরটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হলেও বিকল রয়েছে। অপর নম্বরটি দীর্ঘ সময় রিসিভার সেট থেকে তুলে রাখার ঘটনা ঘটে। তবে ২-৩ দিন চেষ্টার পর দ্বিতীয় নম্বরটিতে ভর্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা কলটি রিসিভ করে সফটওয়্যার সংশোধনের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।