ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৫ জুন ২০১৬

কুড়িগ্রামে অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা

রাজুমোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ আষাঢ়ের শুরুতেই নেমেছে অঝর ধারায় বৃষ্টি। এক রাতের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম শহর হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম পৌর কর্তৃপক্ষের ড্রেনেজ সিস্টেমের অব্যবস্থাপনার কারণে সোয়া লাখ অধিবাসী পড়েছে চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে সরকারী কোয়ার্টারগুলোতে পানি ওঠায় অনেকে বাসা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বাসভবন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর, জজকোর্ট চত্বর, জেলা আইনজীবী সমিতি চত্বর, পুলিশ লাইনস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা, সদর হাসপাতাল রোড, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ধরলা ক্লিনিক রোড, কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জেলা স্টেডিয়াম, সদর থানা কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর, হাটিরপাড়, হাসপাতালপাড়া, রৌমারীপাড়া, ভেলাকোপা, সওদাগরপাড়া, চামড়ার গোলা এলাকার রাস্তাঘাট পানির নিচে। বৃহস্পতিবার শহর ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্র থৈ থৈ পানি আর পানি। পৌরবাসীর পাশাপাশি জেলা শহরে বিভিন্ন সেবা নিতে আসা হাজার হাজার মানুষ শিকার হয় চরম দুর্ভোগের। জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন কুড়িগ্রাম শহর বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল অফিস-আদালত, হাসপাতাল, স্থাপনা, রাস্তাঘাট, সরকারী কোয়ার্টারসহ বেশ কয়েকটি পাড়া পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটুপানি জমে আছে। পানি নিষ্কাশনের কোন উদ্যোগ নেই। অথচ এসব দেখভালের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের। ড্রেনেজ সিস্টেমের অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেয়রকে বলেছি ইনিশিয়েটিভ নেয়ার জন্য। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিনের সৃষ্ট এ সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে। পানি নিষ্কাশনের বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। তিনি দাবি করেন, পূর্ববর্তী মেয়ররা পরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেম চালু না করায় এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
×