ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখছে ঝর্ণা পরিবার

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৫ জুন ২০১৬

রাঙামাটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখছে ঝর্ণা পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙামাটি ॥ রাঙামাটি শহরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উজ্জীবিত করে তুলেছে র্ঝণার পরিবার। তাদের বলিষ্ঠ পদচারণায় রাঙ্গামাটির সাংস্কৃতিক অঙ্গন আরও অধিক সমৃদ্ধি লাভ করেছে। ঝর্ণা বড়ুয়ার পরিবারটি একটি দরিদ্র পরিবার। স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে কোন রকমে সংসার চলে। তার পরিবাটি দীর্ঘ দিন ধরে জেলার সংস্কৃতি অঙ্গনকে মাতিয়ে রেখেছে। জেলায় ও জেলার বাইরে নানা সাংস্কৃতিক আঙ্গনে গিয়ে জেলার সুনাম অর্জন ও বিশেষ অবদান রাখছে সংস্কৃতিমনা পরিবার হিসেবে ইতোমধ্যে রাঙামাটির সঙ্গীত শিল্পী ঝর্ণা বড়ুয়া পম্পি বড়ুয়া, পিংকি বড়ুয়া এবং পুত্র প্রত্যয় বড়ুয়া প্রান্তকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সংবর্ধনা দিয়েছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দিয়েছেন। জেলার নানা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঝর্ণা বড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা অসংখ্যবার সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথি ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। সঙ্গীত শিল্পী ঝর্ণা বড়ুয়া গান গাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরি এবং বিক্রি করে পরিবার চলায়। তার কন্যা পম্পি বড়ুয়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পে বিজয়ী হয়। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৬তে রাঙ্গামাটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম ও জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় হয়ে জেলার সুনাম অক্ষুণœœ রেখেছে। ঝর্ণা বড়ুয়ার আরেক কন্যা পিংকি বড়ুয়া ২০০০ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ইন্টারন্যশনাল দ্বিতীয় চিলড্রেন আর্ট বায়োনেল বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়। ২০০১ সালে গোধূলী আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাবদল কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ স্কাউটস শাপলা কাব এ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট পায়, চিত্রকর্ম মিৎসুবিশি ইমপ্রেশন গ্যালারি এশীয় শিশুদের চিত্রকলা উৎসব ২০০১-২০০২ এর বাংলাদেশ শিশুদের বিশেষ প্রদর্শনীতে তার চিত্র স্থান পায়। ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর থেকে সপ্তাহব্যাপী ৪৭তম অল ইন্ডিয়া এ্যানুয়েল ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে সনদপত্র ও ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করে, আরজু চলচ্চিত্র ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দ্বিতীয় চিলড্রেন আর্ট কম্পিটিশন সিএইচটি-২০০৭ এ অংশগ্রহণ করে সি গ্রেডে বিজয়ী হয় । ইউনেসকো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রামে-২০১৪-২০১৫ আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অংশ নিয়ে রাঙামাটি জেলার সুনাম বয়ে আনে। ঝর্ণা বড়ুয়ার ছোট ছেলে প্রত্যয় বড়ুয়া প্রান্ত সঙ্গীতে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। এক কথায় এই পরিবারটি সঙ্গীত, চিত্রকলা, নৃত্য, আবৃত্তিতে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এই পরিবারটি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে। এমনটাই মনে করেন জেলার সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা।
×