ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একাদশে শূন্য আসনে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৫ জুন ২০১৬

একাদশে শূন্য আসনে  ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের  দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলেজ ভর্তিতে শূন্য আসনের ভিত্তিতে মনোনীত শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শুক্রবার দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। নতুন তালিকায় সাত লাখ ১৮ হাজার ৯২২ জন স্থান পেয়েছে, যা শূন্য আসনের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ। মনোনীত শিক্ষার্থীরা আজ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে। এরপর ২৮ জুন থেকে ভর্তি উন্মুক্ত করে দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় কলেজ ভর্তির ওয়েবসাইটে (িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ) তালিকা প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের রোল, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল দেখতে পারছে। এছাড়াও আবেদনকৃত প্রতিটি কলেজে মেধাতালিকায় অথবা অপেক্ষমাণ তালিকায় ফল পাওয়া যাচ্ছে। আবেদনকৃত কলেজের নোটিস বোর্ডেও ফল দেখতে পারছে শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সবন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দ্বিতীয় তালিকা আমরা প্রকাশ করেছি। এখন কলেজগুলো তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সিরিায়াল অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। আগের শিক্ষার্থী না এলেই কেবল পরবর্তী অবস্থানের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যাবে। কিন্তু পেছনের দিকে থাকা শিক্ষার্থীরা কিভাবে জানবে তারা কবে ভর্তি হতে পারবে? কিংবা আদৌ ভর্তি হতে পারবে কিনা? এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, এ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। আমরা কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন নোটিস বোর্ডে নির্দিষ্ট করে সিরিয়াল নম্বরসহ লিখে দেন কবে কোন সিরিয়ালের শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তথ্য জানিয়ে দিলে কারও কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। চেয়ারম্যান জানান, শূন্য আসনের বিপরীতে অন্তত পাঁচগুণ শিক্ষার্থীকে এবারের তালিকায় রাখা হয়েছে। যাতে প্রথমদিকের সিরিয়ালের শিক্ষার্থীরা ভর্তি না হলে পরবর্তী সিরিয়াল থেকে কলেজগুলো ভর্তি করতে পারে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আসফাকুস সালেহীন জানান, এবারের তালিকায় আসনের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে রাখা হয়েছে, যাতে কলেজগুলো ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পেতে পারে। কারণ এবার একেকজন শিক্ষার্থী ২০টি কলেজে আবেদন করার সুযোগ পায়। অনেকেই ৮ থেকে ১০টি কলেজে মনোনীত হয়েছে, যারা একটি কলেজে ভর্তি হয়ে বাকি আসন ছেড়ে দেবে। ছেড়ে দেয়া আসনে সিরিয়ালের পেছনের দিকে থাকা শিক্ষার্থীরাও ভর্তি হতে পারবে। কলেজগুলো তাদের ভর্তির তথ্য নির্দেশনা নোটিস বোর্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্নীতি ঠেকাতে এবার অপেক্ষমাণ তালিকারও মেধাক্রম তৈরি করে দেয়া হয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, কোন শিক্ষার্থী যদি প্রথম মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি হয়েও থাকে, সেও এবারের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী (শূন্য আসনের বিপরীতে) ভর্তির সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে সে যে কলেজে ভর্তি হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে। এদিকে কলেজের অধ্যক্ষরা জানিয়েছেন, তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দিনই নোটিস বোর্ডে তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে কবে কোন সিরিয়ালের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বলেছেন, আমরা তথ্য নোটিস বোর্ডে দিয়ে দেব। সেখান থেকেই শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কবে কোন সিরিয়ালের ভর্তি। আসন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। জানা গেছে, এবারের তালিকা থেকে ভর্তির পরও বিলম্ব ফিসহ ভর্তি হওয়া যাবে ১০ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই থেকে। গত ১৬ জুন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ভুল আবেদনের হিড়িক ॥ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এরা সবাই আবেদন করার জন্য নানা ধরনের ভুল করেছে। সবচেয়ে বেশি ভুল করেছে কোটা পদ্ধতি পছন্দ করার ক্ষেত্রে। কারণ অধিকাংশ ভর্তিচ্ছুরা শিক্ষা কোটার নামে যে কোটা আছে সেটি পূরণ করেছে। কলেজ পরিদর্শক বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বুঝতে পারেনি শিক্ষা কোটা আসলে কী। এজন্য আবেদনের সময় তারা শিক্ষা কোটা পূরণ করেছে। কলেজ ভর্তির সময় এর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারায় সবাই বোর্ডে এসেছে। সবার আবেদন আমরা জমা রাখছি। এরপর ভুল করেছে বিভাগ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ভুলে মানবিক কিংবা বাণিজ্যেÑ একই ভুল করেছে অন্য বিভাগের ভর্তিচ্ছুরাও। তবে সবাই ভর্তি হতে পারবে। জানা যায়, সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার কলেজ রয়েছে। এতে আসন সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৯ লাখ। তবে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন। চলতি বছরে উত্তীর্ণদের সঙ্গে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের পাস করা শিক্ষার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। আবেদন করেছে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন।
×