বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গুপ্তহত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য পবিত্র রমজান মাসের প্রতিদিনই মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। শুক্রবার রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, খালেদা মিথ্যাচার করে রোজার মাসের পবিত্রতা নষ্ট করছেন। তার মুখে দেশপ্রেম মানায় না। উনি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন তখন মানুষ দেখেছে তাঁর দেশপ্রেম।
মাহবুব-উল-আলম হানিফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সকালে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনে যান। সেখানে তাঁরা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। গত ১৫ জুন স্বামী ধ্রুবেশানন্দকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করেছি, আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। গুপ্তহত্যা বা ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। দু-একজন ধরা পড়ার পর সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনে আমাদের এই আসাটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ। এই আসার মাধ্যমে এইটুকু নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেই দায়িত্ব পালনে আমরা সরকারী দল, সক্রিয় ও সচেষ্ট আছি। শুধু একদিন এসেই আশ্বস্ত করে যাওয়া নয়, ধারাবাহিকভাবে এটা মনিটরিং করতে চাই। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরে আর কখনও কেউ যেন গুপ্তহত্যা বা আতঙ্ক সৃষ্টির সুযোগ না পায়, সে কারণেই মূলত আসা।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং তাদের মিত্ররা সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা-ের অংশ হিসেবে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একটি চিঠি এসেছিল। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা এখানে এসেছিলেন।
পরে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং সত্যিই তারা আছেন।’ মঠ ও মিশনের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
