ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোর শেষ ষোলোতে সোমবার মুখোমুখি হবে ২০১২ সালের দুই ফাইনালিস্ট

স্পেনকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী ইতালি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৪ জুন ২০১৬

স্পেনকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী ইতালি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ। শনিবার থেকে শুরু হবে নকআউট পর্ব। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে এবার শেষ ষোলোতেই মুখোমুখি হচ্ছে ২০১২ সালের দুই ফাইনালিস্ট স্পেন আর ইতালি। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ থেকে দুই জয় আর ১ হারে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেয় আজ্জুরিরা। অন্যদিকে সমান দুই ম্যাচে জয় আর বাকিটিতে হারলেও ‘ডি’ গ্রুপের রানার আপ হিসেবে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয় স্পেন। তবে সোমবারই তাদের অগ্নিপরীক্ষা। কেননা সেই ম্যাচে যারাই হারবে তারাই যে ছিটকে পড়বে টুর্নামেন্ট থেকে। ২০১২ সালে কিয়েভে অনুষ্ঠিত ইউরোর ফাইনালের সেই স্মৃতিটা এখনও তরতাজা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে স্পেন ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইতালিকে। সেই সঙ্গে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়ে লা রোজারা। এবারও শিরোপা ধরে রাখতে পারলে সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করবে ভিসেন্তে দেল বস্কের দল। তবে এবার গত আসরে ফাইনালে হারার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া আজ্জুরিরা। সেজন্য ইতালিয়ানরা সব ধরনের চেষ্টাই করছেন বলে জানিয়েছেন ইতালির অভিজ্ঞ কোচ এ্যান্টনিও কন্টে। এ প্র্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রা তাদের সব ধরনের চেষ্টাই করছেন। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে এবং আমাদের উচিত হবে সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো। তাদের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের কোন ধরনের উদ্বেগের কারণ নেই।’ আইফেল টাওয়ারের দেশ ফ্রান্সে চলমান ইউরোতে এবারের শুরুটা দুর্দান্ত করে ইতালি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ২-০ গোলে উড়িয়ে দেয় শক্তিশালী বেলজিয়ামকে। দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেনকেও হারিয়ে দেয় তারা। সেই সঙ্গে টানা দুই জয়ে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করে ফেলে আজ্জুরিরা। কিন্তু গ্রুপ পর্বে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় এ্যান্তনিও কন্টের দল। তবে এই ম্যাচে সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামেননি কন্টে। যার মাশুল দিতে হলো পরাজয়ে। তবে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন ইতালির কোচ। জানিয়ে দিয়েছেন গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে যেভাবে খেলছিলেন তার শিষ্যরা ঠিক স্পেনের বিপক্ষেও সেই খেলাটাই দেখতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে এ্যান্টনিও কন্টে বলেন, ‘এবার আমাদের প্রথম লক্ষ্যই ছিল শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয়া। আমাদের সামনে এখন টুর্নামেন্টের ফেবারিট প্রতিপক্ষ স্পেন। তবে আমরা কোথায় থেকে শুরু করেছিলাম সেটা ভুলে গেলে হবে না। কিন্তু এই মুহূর্তে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের ব্যাপকভাবে উদ্দীপিত করছে। তাদের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে, যেমনটি খেলেছিলাম বেলজিয়ামের বিপক্ষে। কারণ দল হিসেবে স্পেন এখন শ্রেষ্ঠ।’ ইউরোতে এবার ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নামে স্পেন। আর তাদের পরই শিরোপার দাবিবার জার্মানিও। তবে সেরা দল হিসেবে ইউরোতে মিশন শুরু না করলেও স্পেনকে হারাতে আশাবাদী ইতালিয়ান তারকা ড্যানিয়েল ডি রোসিও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পেন কিংবা জার্মানির মতো সেরা দল নই কিন্তু আমাদের শক্তিমত্তা দিয়ে খেললে স্পেনের বিপক্ষে অবশ্যই জিততে পারি।’ ইউরোতে এখন পর্যন্ত একবারই চ্যাম্পিয়ন ইতালি। তাও আবার ১৯৬৮ সালে। এরপর ২০০০ এবং ২০১২ সালে ফাইনালে উঠে শিরোপা জয়ের আশা জাগিয়েছিল আজ্জুরিরা। কিন্তু দুইবারই ব্যর্থ হয় তারা। এবার শিরোপা খরা ঘুচাতে মরিয়া ইতালিয়ানরা। এদিকে ইউরোতে স্পেনে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৬৪ সালে। এরপর ২০০৮ এবং ২০১২ সালে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর মুকুট জিতে স্পেন। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের একমাত্র দল হিসেবে ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো জয়ের রেকর্ড গড়ে ভিসেন্তে দেল বস্কের দল। স্পেনকে এবারও ইউরোর শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরাতে মরিয়া পিকে-ইনিয়েস্তাদের কোচ। কারণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পরই যে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। যে কারণে শেষবেলাতে চ্যাম্পিয়নের হাসি নিয়েই বিদায় বলতে চান দেল বস্ক।
×