ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ॥ ও. কাদের

২ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর চার লেন সড়ক উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৪ জুন ২০১৬

২ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর চার লেন সড়ক উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর চার লেন সড়ক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলে উল্লেখ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ সড়কে বিআরটিএর ওয়ানস্টপ মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরামদায়ক, সহজতর, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মোড় থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়, যা ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের দু’পাশে দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় হাইওয়ের মানদ- নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বর্তমান সরকার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদনের সময় এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৯২ কোটি টাকা। আর প্রকল্পের কাজ শেষ করার মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয়েছিল ২০১৩ সালের জুন মাস। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা কারণে প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে বেড়ে যায় ব্যয়ও। সর্বশেষ এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এদিকে ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ উদ্বোধন করার কথা ছিল চলতি বছরের মে মাসেই। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ার আগে উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেয়ায় বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একদিনেই মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ॥ হয়রানি ও কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই একদিনের মধ্যে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আওতায় রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ (রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে) বিআরটিএর উদ্যোগে স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একদিনেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় রেজিস্ট্রেশন নম্বরও। এতে খুশি গ্রাহকরাও। বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনবল সঙ্কটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এ সেবাটি আপাতত নিয়মিত করা হচ্ছে না একদিনের জন্যই দেয়া হচ্ছে। ‘আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে বিশ্বের অনেক দেশ পরিবহন সেক্টরে বিভিন্ন বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট ফি জমা দিলেই রেজিস্ট্রেশন ও নম্বর পাওয়া যায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকার মোটরসাইকেল এই স্পটে রেজিস্ট্র্রেশন করা হয়েছে। প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল একদিনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। ঈদে কোন মহাসড়কে যেন ঘুরমুখো মানুষের ভোগান্তি না হয় এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকার ১৫টি স্পটে থাকে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এরা সবাই স্কাউটের সদস্য। তারা অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রম দেবে জনস্বার্থে। তিনি বলেন, প্রায় সবকটি মহাসড়কেই ভাল। রাস্তা নষ্ট হওয়ার কারণে কোন মহাসড়কে এ বছর দুর্ভোগ হবে না। আশা করি যানজটমুক্ত থাকবে সবগুলো মহাসড়ক। এছাড়া সড়ক মহাসড়কে থাকবে সেনাবাহিনীর রেকার। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে নেয়া হবে। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে নিয়োজিত থাকবেন।
×