ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাঙালীর যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৪ জুন ২০১৬

বাঙালীর যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে দেশসেবায় ব্রত হওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে বলেই বারংবার আঘাত ও ভাঙ্গার চেষ্টা করার পরও কেউ সফল হয়নি। বরং যারা আওয়ামী লীগকে ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন তারাই বুঝেছেন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের শিকড় কত গভীরে। তাই যতবারই আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে, যতবার এই দল ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই আওয়ামী লীগ আরও দৃঢ় উজ্জ্বলতর হয়ে জনগণের সামনে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে, আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র হোক, আঘাত আসুক, নীতি-আদর্শ নিয়ে পথচলা আওয়ামী লীগের বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারেনি, পারবেও না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, রোজার মাসে একজন নেত্রী ইফতারের সময় প্রতিদিনই অজস্র মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। অথচ ক্ষমতায় থাকতে দেশের জন্য কিছুই করেননি, বরং নিজেদের বিলাস-ব্যসনে ব্যস্ত ছিলেন। আর বাঙালী জাতি যা কিছু পেয়েছে এবং বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। তাই অতীতে বার বার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে, ভাঙ্গার চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ভাঙ্গার চেষ্টা সবাই করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মানুষের কল্যাণ ও ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের শিকড় এতই গভীরে যে, ইস্কান্দার মির্জা থেকে শুরু করে ইয়াহিয়া-জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বারংবার আওয়ামী লীগকে ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তারা পারেননি। উপরের নেতারা মাঝে মাঝে কিছু ভুল করেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতারা কখনও ভুল করেন না। তাই আগামীতেও আওয়ামী লীগের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেনÑ সমাজবিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, দলটির প্রবীণ নেতা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ এমপি ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। শুরুতেই আওয়ামী লীগের এ ৬৭ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে দলের জন্য আত্মত্যাগকারীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জন্য ইফতারের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্যের শুরুতে নেতাকর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিতে হাস্যোজ্জ্বল মুখে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজ মুখেই সেøাগান দিয়ে বলেন, ‘শুভ শুভ শুভ দিন আওয়ামী লীগের জন্মদিন।’ প্রত্যুত্তরে হলভর্তি নেতাকর্মীরা গগনবিদারী সেøাগান দিয়ে পুরো মিলনায়তনকে প্রকম্পিত করে তোলেন। সততা নিয়ে রাজনীতি করার জন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততাই হচ্ছে শক্তি। সততা থাকলে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায়, উঁচু কণ্ঠে সব সত্য কথা বলা যায়। আর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষের যে প্রত্যাশা, সে প্রত্যাশা পূরণে আমরা সব সময় অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই আপনারা একটি কথা মনে রাখবেন, একজন রাজনৈতিক নেতার জীবনে শুধু ব্যক্তিস্বার্থ আর ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া যারা দেখেছে তারা কিন্তু দেশকে কিছুই দিতে পারে না। মানুষকে কিছু দিতে পারে না। একজন নেতা যদি ত্যাগ স্বীকার করতে না পারে, তার যদি ভোগের দিকে মন চলে যায়, কত দামী জিনিস পরব, কত দামী জায়গায় থাকব, কত উঁচু আসনে থাকব ও কী পাব- এ চিন্তা যদি করে তাহলে তারা দেশকে কিছুই দিতে পারে না এটা প্রমাণিত। কারণ ’৭৫-এর পর থেকে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ভোগ-বিলাসেই মত্ত থেকেছে। নিজেদের বিলাস কিংবা নিজেদের বিলাস ভূষণ নিয়েই তারা সব থেকে চিন্তিত ছিল। দেশের মানুষের কথা ভাবেননি। দেশকেও কিছু দিতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শুধু দলের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই মন্ত্রী হওয়ার লোভে দলত্যাগ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আমিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেখিয়ে যাওয়া পথ অনুসরণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমার চাওয়া-পাওয়া বা হারাবার কিছু নেই। যে দেশের জন্য আমার বাবা-মা ও ভাইরা জীবন দিয়ে দেছেন, সে দেশের মানুষের জীবনের ভাগ্যের পরিবর্তন, কল্যাণ ও হাসি ফোটানোই আমার রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের মুক্তি, কল্যাণ ও অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছে। তাই আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের জনগণ কিছু পেয়েছে। আওয়ামী লীগই এ দেশের জনগণকে ভাষার অধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা দিয়ে গেছে। আমরা এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগোচ্ছি। ইনশা আল্লাহ আমরা জনগণকে অর্থনৈতিক মুক্তিও দিতে পারব। তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগকে জনগণের অধিকার আদায়ে চার-চারটি সামরিক স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগকে অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। দেশের জন্য একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আত্মোৎসর্গ করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলের সে ইতিহাস নেই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতাসীনরা এ দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল, অন্যের কাছে হাত পেতে আমাদের চলতে হতো। বিএনপির নীতি ছিল খাদ্য ঘাটতি দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষা এনে লুটপাট করে খাওয়া। কিন্তু আমরা কারোর কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হলো কারোর কাছে হাত পেতে নয়, আত্মনির্ভরশীল হয়ে চলা। আমরা সে আদর্শ নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ’৭৫ পরবর্তী হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধানকে লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে একাত্তরের গণহত্যাকারী, পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় পুনর্বাসন করেন জেনারেল জিয়া। জিয়া যেমন যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী-উপদেষ্টা-মন্ত্রী বানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীও বঙ্গবন্ধুর খুনী ফারুক-রশিদকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে এমপি বানিয়ে সংসদে বসিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য মৃত্যুদ-প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। আর এইচএম এরশাদও কম যাননি। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মদদ দেয়া ছাড়াও এক খুনীকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী পর্যন্ত করিয়েছিলেন। পুরো দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে পরিচালিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ধারায় ফিরে আসে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের আদর্শ বুকে ধারণ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছি। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবই ইনশা আল্লাহ। অন্যান্য নেতারা যা বলেন ॥ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. অনুপম সেন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যেই সারাবিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম অগ্রসর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেজন্য দেশবাসীরও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখা। কারণ দেশের যা কিছু অর্জন হয়েছে তা সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বাঙালী জাতি তার অভ্যুদয়, রাজনৈতিক-সামাজিক এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনই তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি, লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে গেছে, এখনও যাচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগ চার-চারটি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আর দলের জন্য এত আত্মত্যাগের ইতিহাসও পৃথিবীর কোন রাজনৈতিক দলের নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাস গৌরব, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও অর্জনের ইতিহাস। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী না হতেন তবে কোনদিন বঙ্গবন্ধুর খুনী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচর ও স্বপ্নের পদ্মা সেতু কোনদিনই হতো না। তাই খালেদা জিয়া আজ হতাশ। তাই অগ্রযাত্রা রুখতে ষড়যন্ত্র করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি এক থাকে, তবে বিশ্বের এমন কোন শক্তি নেই যারা দেশের এ অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন পতাকা আমাদের দিয়ে গেছেন, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে তা গর্বের মতো মাথা উঁচু করে পত পত করে উড়ছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা- যে পতাকা তাঁরে দিয়েছ, বহিবার শক্তি দাও তাঁরে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমাদের প্রথম ও শেষ পরিচয় আমরা আওয়ামী লীগ করি। এটা আমাদের গর্ব। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। সারাদেশের মানুষের কণ্ঠে এখন একই আওয়াজÑ ‘শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার’। ইনশা আল্লাহ আগামী নির্বাচনেও খালেদা জিয়াকে পরাজিত করে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
×