ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহবধূ পোশাক কর্মী ও যুবক খুন

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৪ জুন ২০১৬

গৃহবধূ পোশাক কর্মী ও যুবক খুন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ টেকনাফে গৃহবধূ, সাভারে পোশাক শ্রমিক ও দামুড়হুদায় যুবক খুন হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের। কক্সবাজার ॥ টেকনাফের হ্নীলায় জা’র ছুরিকাঘাতে অপর জা মারা গেছে। জাদীমুরা এলাকার মৌলভী আবু তাহেরের দুই পুত্রবধূর মধ্যে বাগবিত-াকে কেন্দ্র করে এক জা ছুরিকাঘাত করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর জা মরিয়মকে টেকনাফ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা ঘাতক জা হাসিনাকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মৌলভী আবু তাহেরের ছোট ছেলে ইউনুছের স্ত্রী (ছোট জা) হাসিনা বড় ছেলে মুহাম্মদ ইলিয়াছের স্ত্রীকে সেহরি শেষে কক্ষে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে। সাভার ॥ আশুলিয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছে সুমন শিকদার (৩০) নামের এক পোশাক শ্রমিক। সে আশুলিয়ার জামগড়া কাঁঠালতলা এলাকার আফতাব আলী শিকদারের ছেলে ও জামগড়া এলাকার ‘দি রোজ ড্রেসেস’ নামক পোশাক কারখানায় কাজ করত। বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁঠালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন ভোরে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে সুমন ঘর থেকে বের হলে ২ যুবক তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা ॥ উপজেলার দর্শনা অদূরে দোয়েল ইটভাঁটি সংলগ্ন পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের (২৬) অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বন্ধুকে হত্যার স্বীকারোক্তি নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৩ জুন ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্র নোভা হোসেন সেলিমকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তার বন্ধু শামীম হোসেন। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে শামীমের স্বীকারোক্তিমতে লাশ উদ্ধারের জন্য ঠাকুরগাঁও টাঙ্গন ব্যারেজে অভিযান চালায় রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও পুলিশ। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও লাশ উদ্ধার করতে পারেনি ডুবুরি দল। জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর মাদ্রাসাপাড়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে নোভা হোসেন সেলিম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ সেলিমের মা সেলিনা বেগম তিনজনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ শামীম ও মির্জাত আলী নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে আসামিরা জানায়, সেলিমকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ বাক্সের ভেতর তালাবদ্ধ অবস্থায় টাঙ্গন ব্যারেজ এলাকায় নদীতে ফেলে দিয়েছে। পরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুকান্ত সাহার আদালতে শামীমের জবানবন্দী গ্রহণ করে তা রেকর্ড করা হয়। এ সময় শামীম আদালতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্ধু নোভা হোসেন সেলিমের হত্যার বর্ণনা দেয়। এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাশেদুল ইসলাম। শামীম হোসেন তার স্বীকারোক্তিতে বলেছে, সে ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সালন্দর মাদ্রাসাপাড়ায় মামার বাসায় থাকত। এ সময় সেলিমের সঙ্গে খুব ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে সেলিমের বোনের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন পর সেলিম ওই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে।
×