ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ

লালদীঘি ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ চলছে

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৪ জুন ২০১৬

লালদীঘি ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ চলছে

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি ভরাট করেই চলছে মুচি মার্কেট নির্মাণ কাজ। বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের মুখেও থেমে নেই মার্কেট নির্মাণ কাজ। ফলে সচেতন মহলে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। মাত্র কয়েকজন মুচির ভাগ্য বদলানোর জন্য শতবর্ষীয় এই লালদীঘি এখন শুধু ইতিহাস হতে চলছে। লালদীঘি খনন ও ঐতিহ্য রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেছিল। কক্সবাজারের ঐতিহ্যের ধারক বাহক লালদীঘিটি নিচিহ্ন হতে চলছে। পর্যটন শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এ লালদীঘি সাঁতার প্রতিযোগিতা, বড়শী দিয়ে মাছ ধরাসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত গোসলসহ দৈনন্দিন ব্যবহার ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। বর্তমানে লালদীঘির সেই আগের জৌলুস আর নেই। লালদীঘির পাড় বেশিরভাগ অংশ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। সংস্কারবিহীন অবস্থায় থাকতে থাকতে লালদীঘিটি পানি শূন্য হয়ে পড়ে। দৃষ্টিনন্দন লালদীঘিতে গ্রীষ্মকালে কিশোররা ক্রিকেট খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে। বলতে গেলে লালদীঘির আশপাশের মানুষ বর্তমানে পানি সঙ্কটে ভুগছে। এক সময় লালদীঘি থেকে পানি নিয়ে শহরের অপ্রত্যাশিত অগ্নিকাণ্ড নেভানোর কাজে ব্যবহার করত ফায়ার সার্ভিস। এখন লালদীঘি পানি শূন্য। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে লালদীঘি সংস্কার না করেই দীঘির পশ্চিমপাশে মুচি মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পুকুরটির তলদেশ থেকে কিছু মাটিও সরানো হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত জতা সেলাইয়ের দোকানগুলো স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য পুকুর পাড়ে স্থায়ী পাকা দালান নির্মাণ কাজও শুরু করেছে। কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুধু শহর নয় পুরো জেলার ঐতিহ্য হচ্ছে লালদীঘি। এ দীঘিটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু মুচির স্বার্থ চিন্তা করেই লালদীঘিরপাড় দখল করে পাকা দালাল নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ লালদীঘির ঐতিহ্য রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, জতার কারিগররা দীর্ঘদিন যাবত এই শহরে ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ মুচি মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন দোকানগুলো থেকে পৌরসভার রাজস্ব আয় হবে বলেও জানান তিনি।
×