ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে কুমড়ার চাষ;###;ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

স্বল্প খরচে অর্থকরী সবজি

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৪ জুন ২০১৬

স্বল্প খরচে অর্থকরী সবজি

কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ আমার এককালীন জ্যেষ্ঠ সহকর্মী। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে হারিয়ে যাওয়া তরুণের শোকাবহ পটে, বাড়ির কোনায় লতিয়ে পড়া কুমড়ার ডগা ও পাতাকে মাতৃত্বের মায়া ও ¯েœহের নিলয় হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। সকল গৃহস্থালির আঙ্গিনায় লতিয়ে পড়া কুমড়ার অবস্থানকে তিনি শান্ত ও মায়াময় জীবনের প্রতীক হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এখনও একুশের প্রেক্ষাপটে লেখা এই কবিতাটি যখন আবৃত্তি করি তখন শান্ত ¯িœগ্ধ মাতৃত্বের মায়ার পটে কুমড়া গাছের সহজে না ছেঁড়া লতায় লাগানো সবুজ পাতার কথা দেশ ও ভাষার প্রতি মায়ের টান অম্লান অবয়বে তুলে ধরে। সেই কুমড়া গাছের উৎপাদনশীলতার ওপর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১৪ সালে একটি জরিপ সম্পাদন করেছে। এই জরিপে গৃহস্থালি প্রতি ১ শতাংশ বা তার চাইতে বেশি পরিমাণ জমিতে উৎপাদিত কুমড়ার উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যুক্তিসঙ্গতভাবে ধরে নেয়া যেতে পারে যে গৃহস্থালি প্রতি ১ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণ জমিতে উৎপাদিত কুমড়া বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়। এছাড়া যে, কুমড়া ঘরের আনাচে-কানাচে উৎপাদন হয় তা সংশ্লিষ্ট গৃহস্থ নিজের খাওয়ার জন্য ব্যবহার করে। এই জরিপ অনুযায়ী সারা বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ার চাষ হয়। বাণিজ্যিক চাষের বাইরে গৃহস্থালিতে খাওয়া বা ব্যবহারের জন্য কুমড়া চাষে প্রযুক্ত জমি প্রায় একই পরিমাণ হবে বলে ধরা যায়। এই হিসাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার একর জমিতে কুমড়া উৎপাদিত হয় বলে ধরে নেয়া যায়। কুমড়া লতাবিশিষ্ট গাছ ১৮ থেকে ২৭ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রায় উৎপাদিত হয়। কুমড়া গাছ বাড়ার জন্য সবচাইতে লাগসই তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রী সে.। সেজন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস এই মৌসুমে কুমড়ার ফলন ভাল হয়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অর্থাৎ শীতকালেও কুমড়ার চাষ হয়। কুমড়া উৎপাদনের জন্য বেশ পরিমাণ পানিযুক্ত বা আর্দ্র জমির প্রয়োজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি সরবরাহ আবার কুমড়ার উৎপাদনকে ব্যাহত করে। কুমড়ার পুষ্টিগুণ উচ্চমানের। এতে শর্করা খাদ্যের বাইরে ভিটামিন ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান বিদ্যমান। রোপণের পর লতায় কুমড়া ধরে ২-৩ মাসে এবং পাকে ৩-৪ মাসে। কুমড়া কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। কুমড়া পাকার সময় পাতা ও লতা শুকিয়ে যায়। কুমড়ার কাঁচা বা সতেজ কচি পাতা শাক ও তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষকৃত কুমড়ার পাতা সরবরাহ বেশি হলে তা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কুমড়ার বীজ ভেজেও খাওয়া যায়। এভাবে ভাজা বীজ রুটি ও আটা, ময়দার সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহৃত হয়। গাছ থেকে তোলা কাঁচা ও পাকা কুমড়া ৩ থেকে ৬ মাস ঘরের তাপমাত্রায় প্রাকৃতিকভাবেই সংরক্ষিত থাকে। এর জন্য হিমাগার বা হিমায়ন প্রয়োজন হয় না। ২০১৪ সালের এ জরিপে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া উৎপাদনে প্রযুক্ত সব জমির শতকরা ৭৬.৫১ ভাগ চাষীর বা উৎপাদনকারীর নিজস্ব ভাগ-চাষে প্রদত্ত কুমড়া চাষের আওতায় থাকা জমির পরিমাণ শতকরা ৬.৪৪ ভাগ। ইজারায় নেয়া জমির পরিমাণ কুমড়া চাষে প্রযুক্ত সকল জমির শতকরা ১০ ভাগের চেয়ে কম। এসব থেকে এ কথা সুস্পষ্ট হয় কুমড়ার বাণিজ্যিক চাষের আওতায় বেশিরভাগ জমির উন্নয়ন কিংবা সেইসব জমিতে নতুন বা উফশী বীজ, সেচ বা সার প্রয়োগ ব্যক্তি মালিকানায় তিন-চতুর্থাংশ জমি থাকার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন নয়। একই জরিপে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া উৎপাদনে প্রযুক্ত জমি বরিশাল বিভাগের ক্ষেত্রে সকল জমির শতকরা ৮.৮৩ ভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগের ক্ষেত্রে শতকরা ২৪.৭ ভাগ, ঢাকা বিভাগের ক্ষেত্রে শতকরা ২২.৫৩ ভাগ, রাজশাহী বিভাগের ক্ষেত্রে শতকরা ১০.৩৫ ভাগ, রংপুর বিভাগের ক্ষেত্রে শতকরা ৯.৫ ভাগ এবং সিলেট বিভাগের ক্ষেত্রে শতকরা ৪.৩ ভাগ। সকল বিভাগের তুলনায় চট্টগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষের প্রাধান্য সম্ভবত মাটির গঠন ও ভূ-প্রকৃতির জন্য হয়েছে। একই দৃষ্টিকোণ থেকে সিলেটে কুমড়া চাষ কেন সবচেয়ে কম তার বোধগম্য কারণ জরিপে প্রাপ্ত উপাত্তাদি থেকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কুমড়া গাছ স্থান বিশেষে মাচায় লতিয়ে দেয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত কুমড়া লতাকে সমতল এলাকায় জমিতে খড় বা শুকনা গাছগাছালির ওপর বৃদ্ধি ও ফল দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। জরিপে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত সকল কুমড়ার মধ্যে শতকরা ৫২.৬৬ ভাগ স্থানীয় বীজ উৎসারিত। সম্প্রতি কুমড়া উৎপাদনে শঙ্কর বা হাইব্রিড বীজের ব্যবহার বেড়েছে। জরিপে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষে প্রযুক্ত জমির প্রায় শতকরা ৪৭ ভাগে হাইব্রিড বীজ ব্যবহৃত হয়। এই হাইব্রিড বীজ দেশী বীজের তুলনায় প্রান্তিক মাত্রায় অধিকতর উৎপাদনশীল; কিন্তু অধিক সম্ভাবনাময় উফশী বীজ নয়। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, কুমড়ার ক্ষেত্রে এখনও আমরা সত্যিকার উফশী বীজ উদ্ভাবন বা ব্যবহার করছি না। উত্তর আমেরিকা বা ইউরোপে উৎপাদিত কুমড়া আমরা এই দেশে উৎপাদন করি না। একই জরিপে দৃষ্ট হয়েছে যে, এসব কুমড়া শতকরা ৫৮.৪৫ ভাগ জমিতে একক ফসল হিসেবে এবং শতকরা ৪১.৫৫ ভাগ জমিতে মিশ্র ফসল হিসেবে উৎপাদিত হয়। অন্য কোন ফসল বা শাকসবজির সঙ্গে কুমড়া একই জমির অধিকতর উৎপাদনশীল মাত্রায় যে মিশ্র ফসল হিসেবে চাষযোগ্য তা এখনও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে শনাক্ত ও চাষীদের মাঝে সম্প্রসারিত করা সম্ভব হয়নি। একর প্রতি এক মৌসুমে কুমড়া উৎপাদনে বীজ বপনের জন্য ৭, নিড়ানির জন্য ১৩ এবং ফসল তোলার জন্য ২২ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। দৃশ্যত কুমড়া চাষে কোন যান্ত্রিক পদ্ধতি প্রযুক্ত করার পরিধি সীমিত। এক্ষেত্রে তাই যান্ত্রিক চাষের আওতায় কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন কমানোর তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষে প্রযুক্ত ইজারায় নেয়া জমি সকল জমির শতকরা ১০ ভাগের চেয়ে বেশি নয়। একর প্রতি এই ইজারায় নেয়া জমির গড় বাৎসরিক ব্যয় বা মূল্য ৫ হাজার ৮৫৪ টাকা। ধারণা করা যাচ্ছে যে, পার্বত্য কিংবা চর এলাকায় অন্য কোন লাভজনক ফসল উৎপাদনে প্রযুক্ত জমির তুলনায় বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষের জন্য ইজারায় নেয়া জমির বাৎসরিক ব্যয় খুব বেশি নয়। এর অর্থ কুমড়া সাধারণভাবে উৎপাদনশীল জমিতে উৎপাদনের জন্য রোপণ বা উৎপাদন করা হয় না। বাণিজ্যিকভাবে স্থানীয় বীজ উৎসারিত কুমড়ার একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় ২৩ হাজার ১৪৭ টাকা। শঙ্কর বা হাইব্রিড বীজভিত্তিক কুমড়া উৎপাদনে একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় ২৬ হাজার ৩৫১ টাকা। গড়ে সারাদেশে এক মৌসুমে একর প্রতি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত কুমড়ার উৎপাদন ব্যয় ২৪ হাজার ৬৬২ টাকা। বরিশালে একর প্রতি এই উৎপাদন ব্যয় ২৩ হাজার ৮৬৫ টাকা, চট্টগ্রামে ২৫ হাজার ১৮০ টাকা, ঢাকাতে ২৫ হাজার ৯৯০ টাকা, খুলনায় ২৪ হাজার ১০৪ টাকা, রাজশাহীতে ২৫ হাজার ৬১৭ টাকা, রংপুরে ২২ হাজার ১৪৬ টাকা, সিলেটে ২৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ধারণা করা যায় যে, রংপুর ও সিলেটে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় প্রান্তিকভাবে কম হওয়ার কারণ এই দুই বিভাগে কৃষি মজুরির অপেক্ষাকৃত কম হার। কুমড়া চাষের ক্ষেত্রে একর প্রতি সার্বিক উৎপাদন খরচের সবচেয়ে বেশি অংশÑ শতকরা ২১.৫ ভাগ সার বাবদ, শতকরা ১৩.২৭ ভাগ জমি তৈরিকরণ, শতকরা ১৭ ভাগ বীজ রোপণ, শতকরা প্রায় ৮ ভাগ নিড়ানি, শতকরা ৯.৬ ভাগ সেচ এবং শতকরা ৮ ভাগ কীটনাশক বাবদ ব্যয় হয়; প্রায় শতকরা ২ ভাগ ব্যয় হয় হরমোন প্রয়োগে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, কুমড়া উৎপাদনের জন্য এখন যে পরিমাণে সার প্রয়োগ করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ সারের ব্যবহার এখন থেকে বাড়বে। এক্ষেত্রে জমি তৈরিকরণে কিংবা বীজ রোপণে যান্ত্রিকীরণের পরিধি দৃশ্যত সীমিত থাকায় এ বাবদ উৎপাদন ব্যয় বাড়ানোর তেমন কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। একর প্রতি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত কুমড়ার গড় বার্ষিক উৎপাদন ৫ হাজার ৪৭০ কেজি। সারাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষে প্রযুক্ত জমির একর প্রতি বাৎসরিক উৎপাদনের মূল্য বা দাম ৫৭ হাজার ৯৬৮ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ঢাকা বিভাগে- ৬৫ হাজার ৩৭৩ টাকা। চট্টগ্রাম একর প্রতি উৎপাদিত কুমড়ার মূল্য ৬১ হাজার ৩২৯, বরিশাল বিভাগে ৫৬ হাজার ৮৯৯, সিলেটে ৫৩ হাজার ১৬২, রাজশাহীতে ৫৭ হাজার ৬৭৯ এবং খুলনাতে ৫৩ হাজার ৩৪৪ টাকা। ধারণা করা যায়, অন্য বিভাগের তুলনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে একর প্রতি কুমড়ার উৎপাদন মূল্য বেশি হওয়ার কারণ এই দুই বিভাগে বাজারের বিস্তৃতি। এসব এলাকার নগরায়িত বাজারের বিস্তৃতির বিবেচনায় বলা চলে এমন বিস্তৃতি কুমড়ার মূল্যমাত্রা এবং তার থেকে উৎসারিত লাভজনকতা অনেকাংশে নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট যে, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ার চাষ লাভজনক। যদি যথাযথ গবেষণার মাধ্যমে কুমড়ার প্রকৃত উফশী বীজ উদ্ভাবিত হয় এবং চাষের পদ্ধতি অধিকতর উৎপাদন অনুকূল হয় তাহলে কুমড়া চাষ উৎসারিত আয় বাড়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। এই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান পার্বত্য ও চর এলাকায় যেখানে সংশ্লিষ্ট জমিতে প্রতিযোগী ধান, গম, ভুট্টা কিংবা আলু উৎপাদন হয় না। অন্যান্য এলাকায় ধান, গম, আলু, ভুট্টা চাষের বিস্তৃতি ও লাভজনকতা বিদ্যমান থাকায় বাণিজ্যিক কুমড়া চাষ বিস্তৃতিকরণের পরিধি খুব ব্যাপ্ত নয় বলে মনে হয়। তথাপি বলা চলে দেশে মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে ভোগমাত্রা ও মূল্য বাড়লে কুমড়ার চাষ বিস্তৃত হবে। তাজা ও হিমায়িত তরকারি হিসেবে বর্তমানে কুমড়া রফতানি হয় না বললেই চলে। কুমড়া সবজি হিসেবে ব্যবহার এই উপমহাদেশে ও দক্ষিণ এশিয়ায় সীমিত। এসব দেশে অবশ্য তাদের ব্যবহার্য পরিমাণ কুমড়া উৎপাদিত হয়। ইউরোপ ও আমেরিকায় উৎপাদিত কুমড়ার আকার এবং সম্ভবত স্বাদ ভিন্নতর। এ দেশ থেকে ওসব দেশে কুমড়ার রফতানি পরিবহন বেশি জায়গার দাবিদার। রফতানি করার পথে এ একটি পথবন্ধক ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বাঙালী এবং দক্ষিণ এশিয়ান অভিবাসীদের মধ্যে কুমড়ার চাহিদা আছে বলা চলে। এই চাহিদা মেটানো এবং কুমড়া সবজি হিসেবে ব্যবহার এই দুই মহাদেশের জনসাধারণের মধ্যে বাড়ানোর জন্য সেখানকার বাঙালী ও ভারতীয়দের বাজার এবং তাদের পরিচালিত হোটেল ও রেস্তরাঁর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা ফলদায়ক হবে বলে মনে করা যায়। এক্ষেত্রেও অধিকতর পরিবহন- স্পেসের প্রয়োজন পথবন্ধক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে হয়। সম্প্রতি চীন ও থাইল্যান্ডে উদ্ভাবিত সবজি রোস্টের অবয়বে সংরক্ষণ ও বিপণন এ দেশে গ্রহণ করা গেলে কুমড়ার দেশে ভোগমাত্রা ও বিদেশে রফতানি বাড়বে বলে ধারণা করা যায়। লেখক : সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী
×