ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জনসেবা দিবসে এনবিআরের পাঁচ প্রতিজ্ঞা

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ২৩ জুন ২০১৬

জনসেবা দিবসে এনবিআরের পাঁচ প্রতিজ্ঞা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ আন্তর্জাতিক জনসেবা দিবস উপলক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে সকলকে পাঁচটি প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিজ্ঞাগুলো হলো- সময়মত যথাযথ আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধ করা; কোন ক্ষেত্রেই মিথ্যা ঘোষণা বা কর ফাঁকি না দেওয়া, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার না করা, মেলার পরিবেশে সারা বছর সবাই কাজ করা এবং সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সকলের অংশীদার হওয়া। বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষ্যে এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানানো হয়। জনসেবা দিবসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য করদাতাদের অভিনন্দন জানিয়ে এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাজস্ব পরিশোধের ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠতে দেখে এনবিআর উৎসাহ বোধ করছে। সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং একাডেমিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রাজস্ব প্রদান ও রাজস্ব বিষয়ক আলোচনায় অধিকতর মনোনিবেশ করায় আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের চিত্র পর্যালোচনায় প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে এনবিআর কর্তৃক রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৬৬ (একশত ছেষট্টি) কোটি টাকা। যেখানে প্রায় চার দশক ব্যবধানে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭’শ কোটি টাকা। প্রায় ৮২৩ গুণ বেশি। ‌ইতোমধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মে’ ২০১৬ মাস পর্যন্ত নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে এনবিআর । করদাতাগণের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতায় আগামী অর্থবছরেও সার্বিক রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে এনবিআর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরকে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস, ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন, আয়কর মেলার আয়োজন, আধুনিক ডিজিটাল এনবিআর প্রতিষ্ঠাকল্পে ই-পেমেন্ট, ভ্যাট অনলাইন ও অ্যাসাইকুডা পদ্ধতি বাস্তবায়ন, মামলার জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) ব্যবস্থা প্রবর্তন, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে রাজস্ব সংলাপসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া এনবিআর থেকে আরো জানানো হয়, এশিয়ার অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে ৯ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি মানুষ নিয়মিত সরকারকে আয়কর প্রদান করে। অথচ বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ১২ লাখ মানুষ নিয়মিতভাবে আয়কর প্রদান করছে। অনেকেই বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ পরিমাণ কর প্রদান করছেন না। করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও যথাযথ পরিমাণ কর দেন না অনেকেই। তাই সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে এবং দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে আমাদের সময়মত যথাযথ আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধ করা; মিথ্যা ঘোষণা বা কর ফাঁকি বন্ধ করা, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার না করা, মেলার পরিবেশে সারা বছর কাজ করা এবং সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশীদার হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। একই সঙ্গে সকলকে মনে রাখতে হবে, জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে যেমন প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তেমনি দেশের উন্নয়নের জন্য প্রচুর রাজস্বের প্রয়োজন হয়। ##
×