ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, বিফলে স্যামুয়েলসের সেঞ্চুরি, ৬ উইকেটে হার স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের

দারুণ জয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২৩ জুন ২০১৬

দারুণ জয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ জয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করল স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার লীগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ৬ উইকেটে হারায় স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের। বার্বাডোজে মারলন স্যামুয়েলসের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে (১২৫) ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ (৭৮) ও অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের (৭৯*) চমৎকার দুটি হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হলেও দলের হার দেখতে হয় স্যামুয়েলসকে। শুক্রবার শেষ প্রিলিমিনারি ম্যাচে তৃতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ক্যারিবীয়রা। ওই ম্যাচের বিজয়ী দল রবিবারের ফাইনালে অসিদের মোকাবেলা করবে। স্যামুয়েলসের সেঞ্চুরিই উইন্ডিজকে ২৮২ রানের ফাইটিং স্কোর এনে দেয়। ১৩৪ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১২৫ রান। সপ্তাহ খানেক আগে সেন্ট কিটসে সর্বশেষ দুই দলের দেখায় স্যামুয়েরস ৯২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। ১৪ বছরেরও বেশি সময়ে পর ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার প্রথম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে রামদিনও কম যাননি, নবম ওভারে দলীয় ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চাপের মুখে তখনই তিনি ক্রিজে আসেন। চতুর্থ উইকেটে ১৯২ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ে ৯১ রানে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪১ বছর আগে লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্লাইভ লয়েড ও রোহান কানহাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৯ রানের জুটি গড়েছিলেন যা এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল। ম্যাচে স্যামুয়েলস ৫ হাজার ওয়ানডে রানের আর রামদিন প্রথম ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। জবাবে স্মিথ ও মিচেল মার্শের হাফসেঞ্চুরি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ৪৬ রানের ওপর ভর করে ৮ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্য পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। দ্রুত ৩ উইকেট পতনের পরে স্মিথ ও মার্শ মিলে চতুর্থ উইকেটে ১২২ রানের ম্যাচ জয়ী পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এই জুটির কল্যাণেই অস্ট্রেলিয়া লড়াইয়ে ফেরে। ৪২তম ওভারে ৭৮ রানে স্মিথ রান আউট হওয়ার পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যতটুকু সম্ভাবনা বেঁচে ছিল তা শেষ করে দেন ম্যাক্সওয়েল। নিজের পুরনো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মাত্র ২৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান তুলে ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের সব চিন্তা দূর করেন ম্যাক্সওয়েল। অপরপ্রান্তে ৭৯ রানে অপারজিত ছিলেন মার্শ। ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত স্মিথ বলেন, ‘পুরো ইনিংসেই মার্শ বেশ ভাল খেলেছে, আর শেষের দিকে গ্লেন ছিল অসাধারণ। আমরা জানতাম লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সবার চেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।’ স্কোর ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ॥ ২৮২/৮ (৫০ ওভার; স্যামুয়েলস ১২৫, রামদিন ৯১, পোলার্ড ২০, ড্যারেন ব্রাভো ১৫, ফ্লেচার ৯; স্টার্ক ৩/৫১, ফকনার ২/৫৬, বোল্যান্ড ২/৬৯) অস্ট্রেলিয়া ॥ ২৮৩/৪ (৪৮.৪ ওভার; মিচেল মার্শ ৭৯*, স্মিথ ৭৮, ম্যাক্সওয়েল ৪৬, বেইলি ৩৪, খাজা ১৭, ফিঞ্চ ১৬; গ্যাব্রিয়েল ১/৪৩, বেন ১/৪৭, ব্রেথওয়েট ১/৬২) ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ স্যামুয়েলস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
×